২০১৮-১৯, ২০১৯-২০ অর্থবর্ষে জি এন্টারটেনমেন্ট এন্টারপ্রাইজ লিমিটেডের অডিটে ত্রুটির কারণে ডেলয়েটকে ২ কোটি টাকা জরিমানা করল ন্যাশনাল ফিনান্সিয়াল রিপোর্টিং অথরিটি। এছাড়াও এই ঘটনায় আরও ২ জন চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টকে জরিমানা করেছে এনএফআরএ। রিপোর্ট অনুযায়ী, সিএ এবি জানিকে ১০ লাখ টাকা জরিমানা করেছে ন্যাশনাল ফিনান্সিয়াল রিপোর্টিং অথরিটি। এরই সঙ্গে আগামী পাঁচবছর এবি জানি কোনও সংস্থার অডিট করতে পারবেন না বলে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। এছাড়া সিএ রাকেশ শর্মাকে পাঁচ লাখ টাকা জরিমানা দিতে বলা হয়েছে। এরই সঙ্গে তাঁর প্র্যাক্টিসের ওপর ৩ বছরের নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। (আরও পড়ুন: এবার লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসের কয়েক কোটি টাকা বাজেয়াপ্ত করছে ইডি, জানানো হল আদালতে)
আরও পড়ুন: 'যে ৩-৪-৫% ডিএ…', রাজ্যের সরকারি কর্মীদের মহার্ঘ ভাতা নিয়ে সামনে এল বড় কথা
রিপোর্ট অনুযায়ী, ইয়েস ব্যাঙ্কে জি এন্টারটেনমেন্টের ২০০ কোটি টাকার ফিক্সড ডিপোজিটে অনিয়ম ছিল। তবে সেই তথ্য রিপোর্ট করতে ব্যর্থ হয় ডেলয়েট। এই কারণেই তাদের ২ কোটি জরিমানা দিতে বলা হয়েছে। উল্লেখ্য, ২০১৮ সালে জি চেয়ারম্যান ইয়েস ব্যাঙ্ককে চিঠি লিখেছিলেন। তিনি এসেল গ্রুপের প্রোমোটারও ছিলেন। এই আবহে ইয়েস ব্যাঙ্কে জি-এর ২০০ কোটি টাকার ফিক্স ডিপোজিটকে গ্যারান্টি রেখে এসেল গ্রুপের একটি কোম্পানির জন্যে ঋণ নেন জি-এর চেয়ারম্যান। পরে ২০১৯ সালে ইয়েস ব্যাঙ্ক সেই ফিক্সড ডিপোজিটের মাধ্যমেই এসেলের ঋণের টাকা মিটিয়ে নেয়। তবে তাতে জি-এর শেয়ার হোল্ডারদের অনুমতি ছিল না। এই আবহে ডেলয়েট এবং দুই অডিটকে শোকজ নোটিশ পাঠায় ন্যাশনাল ফিনান্সিয়াল রিপোর্টিং অথরিটি। তাদের থেকে পাওয়া জবাবের ভিত্তিতেই জরিমানা এবং নিষেধাজ্ঞার নির্দেশ শোনায় এনএফআরএ। ন্যাশনাল ফিনান্সিয়াল রিপোর্টিং অথরিটির বক্তব্য, ডেলয়েট এবং দুই অডিটরের কাজে গাফিলতি ছিল। (আরও পড়ুন: বাংলাদেশের 'পারমাণবিক আশা' পাকিস্তান এখন বিদ্রোহী! জোর গলায় USA-কে শেহবাজ বললেন…)
আরও পড়ুন: অনিশ্চয়তায় ভুগছে বিশ্ব, ভারত কীভাবে এগিয়ে যাবে? বাজেটের আগে বৈঠকে মোদী
এদিকে ডেলয়েট জানিয়েছে, ন্যাশনাল ফিনান্সিয়াল রিপোর্টিং অথরিটির নির্দেশটি তারা হাতে পেয়েছে। তারা বিষয়টি খতিয়ে দেখছে। এই নিয়ে ডেলয়েট মুখপাত্র বলেন, 'আমরা বিষয়টি খতিয়ে দেখছি। পরবর্তী পদক্ষেপ নিয়ে তারপর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে।' এদিকে ন্যাশনাল ফিনান্সিয়াল রিপোর্টিং অথরিটির নির্দেশে লেখা ছিল, 'ফিক্সড ডিপোজিট তৈরি ও রক্ষণাবেক্ষণ বা ব্যাঙ্কের দ্বারা এর পুনঃনিয়োগ কোনটাই কোম্পানির পর্ষদ বা শেয়ারহোল্ডারদের অনুমোদনে হয়নি। সংবিধিবদ্ধ অডিটররা এই ভুল চিহ্নিত করতে এবং রিপোর্ট করতে ব্যর্থ হয়েছেন।'