গতকালই করমণ্ডল এক্সপ্রেস নিয়ে বিস্ফোরক দাবি করেছিলেন প্রাক্তন রেলমন্ত্রী তথা বিজেপি নেতা দীনেশ ত্রিবেদী। তৃণমূল থেকে বিজেপিতে যোগ দেওয়া দীনেশ দাবি করেন, এই দুর্ঘটনা জেনে বুঝে ঘটানো হয়েছে। এর নেপথ্যে রয়েছে অন্তর্ঘাত। তাঁর এই অভিযোগের পরই এবার ময়দানে মানল কংগ্রেস। ইউপিএ জমানার রেলমন্ত্রীকে তোপ দাগলেন কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশ। এই নিয়ে রমেশ বলেন, 'দিল্লির অভিযাত এলাকায় বাংলো ধরে রাখতেই এই সব বলেছেন প্রাক্তন রেলমন্ত্রী।' সরাসরি দীনেশের নাম না নিয়েই চাঁচাছোলা ভাষায় আক্রমণ শানান তিনি।জয়রাম রমেশ বলেন, '৭ মাস দায়িত্বে থাকা এক প্রাক্তন রেলমন্ত্রী ভুলভাল তত্ত্ব বানাচ্ছেন ওড়িশার মর্মান্তিক দুর্ঘটনা নিয়ে। তিনি বর্তমানে বিজেপিতে আছেন। এবং সে দলের শীর্ষ নেতৃত্বর মন জয় করার জন্য আপরাণ চেষ্টা করছেন। দিল্লির অভিযাত জায়গায় তাঁর যে বাংলো আছে, সেটা ধরে রাখতেই এই কাজ করছেন তিনি। ১৮ মাস আগেই তাঁর সাংসদপদের মেয়াদ শেষ হয়েছে। তাও সেই বাংলোতেই আছেন তিনি। দুর্ভাগ্যজনক।'এর আগে নিউজ ১৮-কে দীনেশ ত্রিবেদী বলেছিলেন, 'ইন্টারলকিং সিস্টেম সম্পর্কে যা বুঝি বা যা ইনপুট পেয়েছি তাতে এটা বোঝা যাচ্ছে যে এই দুর্ঘটনা অন্তর্ঘাতের কারণে হয়েছে। এটার পেছনে একটা বড় কারচুপি রয়েছে। তার জেরেই করমণ্ডল এক্সপ্রেস মেইন লাইন থেকে লুপ লাইনে চলে গিয়েছিল। আরও ফাইন্ডিংস সামনে আসছে। আমি ১০০ শতাংশের থেকে বেশি নিশ্চিত যে এই সংঘর্ষের পেছনে অন্তর্ঘাত রয়েছে। এটা কোনও সাধারণ দুর্ঘটনা নয়।' দীনেশ ত্রিবেদী অভিযোগ করেন, 'যদি কোনও ইন্টারলকিং সিস্টেম কাজ না করে তবে অন্য সিস্টেম কাজ করতে শুরু করে। এটাকে বলে ফেইল সেফ। যদি ফেইল সেফ কার্যকরী হয়ে যায় তবে ওই লাইনে টানা লাল সিগন্যাল হয়ে যায়। আর যদি এই লাইনে সিগন্যালের গাফিলতি থাকত তাহলে লাইন ব্লক হয়ে যেত।'এদিকে জ্ঞানেশ্বরী রেল দুর্ঘটনার প্রসঙ্গ টেনে এনে মমতার বিরুদ্ধে মুখ খোলেন দীনেশ ত্রিবেদী। তিনি বলেন, '২০১০ সালে জ্ঞানেশ্বরী দুর্ঘটনা হয়েছিল। মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় সেই সময় রেলমন্ত্রী। তিনি সেই সময় সিবিআইকে তদন্তভার দিয়েছিলেন। তিনি সেই সময় সিপিআইএম-কে রাজনীতি করতে বারণ করেছিলেন। আর এখন তিনি নিজেই এই কাজ করছেন।' এই আবহে তৃণমূলের সাকেত গোখলেও দীনেশ ত্রিবেদীকে আক্রমণ শানিয়েছেন। তিনি বলেন, 'সাংসদ না থাকা সত্ত্বেও দিল্লির বাংলো যাতে খালি না করতে হয়, তার জন্য দীনেশ ত্রিবেদীকে সংসদীয় কমিটিতে রাখা হয়েছে। সংসদের লাইব্রেরির ডিজিটালাইজেশনের সেই কমিটিতে দীনেশ ত্রিবেদীই একমাত্র সদস্য।'