সোনি আর জিয়ের মধ্য়ে একাধিক ইস্যুতে মতবিরোধ ক্রমশ বেড়েছিল। অন্তত ২০টি ক্ষেত্রতে তারা একমত হতে পারছিল না। রাশিয়ার সম্পত্তি সংক্রান্ত কিছু বকেয়া মেটাতে পারেনি ভারতীয় ওই সংস্থা। এমনটাও জানা গিয়েছে।ভারতে ও লস অ্য়াঞ্জেলেসে সোনির লিগাল ও অন্যান্য এক্সকিউটিভদের সঙ্গে জাপানের ওই সংস্থার একাধিক সমস্য়া তৈরি হয়েছিল। যার জেরে গত ২২ জানুয়ারি তারা সিদ্ধান্ত নিয়েছিল জিএর সঙ্গে ১০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের যে চুক্তি সেটা কার্যত বাতিল করে দেওয়া হয়েছিল।এদিকে ২০ ডিসেম্বর ও ৯ জানুয়ারি দুই কোম্পানির পদস্থ কর্তাদের মধ্য়ে নানা ইমেল আদানপ্রদান হয়। সেখানে একে অপরের বিরুদ্ধে নানা দোষারোপ করা হয়েছে। জি-এর কর্তারা বার বার জানাতে থাকেন তারা সীমার বাইরে থেকে কোনও কাজ করছেন না। এমনকী এই যে চুক্তি বন্ধ করে দেওয়ার ডেডলাইন সেটা আরও সম্প্রসারিত করার ব্যাপারে তারা আবেদন করেন। খবর এনডিটিভি সূত্রে।লস অ্য়াঞ্জেলেসের এক সোনির এক এক্সিকিউটিভ একটা ইমেলে লিখেছিলেন, নানা ঘটনা, পরিস্থিতি, শর্ত এসব হয়েই চলেছে। যার একটা বিরূপ প্রভাব পড়েছে।তার এক সপ্তাহ পরেই জিএর তরফ থেকে আসে অপর ইমেল। সেখানে দাবি করা হয়, ভিত্তিহীন কিছু বক্তব্যকে হাজির করা হচ্ছে। তবে জি ও সোনির তরফ থেকে মুখপাত্ররা এনিয়ে মুখ খুলতে বা প্রতিক্রিয়া দিতে চাননি।ইমেলের মাধ্যমে এটা বোঝা যাচ্ছে যে সোনি ও জি-এর মধ্য়ে জোর দ্বন্দ্ব চলছিল। রয়টার্স সূত্রেও এর ইঙ্গিত মিলেছে। ২০২২ সালে জি ডিজনির সঙ্গে একটা চুক্তি সম্পাদিত করে। ১.৪ বিলিয়ন ডলারের চুক্তি ছিল সেটা। ভারতের জন্য় কিছু ক্রিকেট দেখানোর অধিকার কিনতে চেয়েছিল জি।এদিকে সোনির দাবি জি এই চুক্তির জন্য একটি ব্যাঙ্ক গ্যারান্টি ও ৪০৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলার জমা রাখার সিদ্ধান্তের কথা বলেছিল।জি এজন্য় ধার নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। কিন্তু সেখানে সোনির কাছ থেকে কোনও অনুমতি নেওয়া হয়নি।