'বল এখন চিনের কোর্টে।' এমনটাই জানিয়ে বেজিংকে শুল্ক চুক্তি করার আহ্বান জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। যতদিন যাচ্ছে চিন এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে বাণিজ্য যুদ্ধ আরও তীব্রতর হচ্ছে। মঙ্গলবার আরও এক ধাপ এগিয়ে বেজিং তার বিমান সংস্থাগুলিকে মার্কিন বহুজাতিক সংস্থা বোয়িং থেকে জেট সরবরাহ বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছে। তারপরেই কিছুটা সুর নরম করে পাল্টা চিনকে শুল্ক চুক্তির বার্তা দিয়েছেন ট্রাম্প। (আরও পড়ুন: দোষ ঢাকতে ‘প্রায়শ্চিত্ত’ চিনের? দিল্লির মন গলাতে ভারতীয়দের জন্যে বিশেষ ‘ছাড়’)
আরও পড়ুন-মধ্যবিত্তের পকেটে স্বস্তি! দেশে ৬ মাসে সর্বনিম্ন পাইকারি মূল্য সূচক
এক বিবৃতিতে হোয়াইট হাউসের প্রেস সচিব ক্যারোলিন লেভিট জানিয়েছেন, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প সিদ্ধান্ত নিয়েছেন যে, 'বল এখন চিনের কোর্টে। চিনকে আমাদের সঙ্গে একটি চুক্তি করতে হবে। আমাদের তাদের সঙ্গে কোনও চুক্তি করার প্রয়োজন নেই।' তিনি আরও বলেন,'চিন এবং অন্য দেশের মধ্যে কোনও পার্থক্য নেই। আমাদের যা আছে তা চায় চিন, প্রতিটি দেশই তা চায়-মার্কিন গ্রাহক অথবা অন্যভাবে বলতে গেলে, তাদের আমাদের অর্থের প্রয়োজন।' (আরও পড়ুন: 'শিবের আশীর্বাদে' ভারত-চিন সম্পর্ক স্বাভাবিক হওয়ার পথে,চূড়ান্ত পর্যায়ে বোঝাপড়া)
আরও পড়ুন: ভারতের বিরুদ্ধে 'প্রতিশোধ' নিতে গিয়ে নিজেদের পায়ে কুড়ুল মারল বাংলাদেশ?
মঙ্গলবারই বেজিং তার বিমান সংস্থাগুলিকে মার্কিন বহুজাতিক সংস্থা বোয়িং থেকে জেট সরবরাহ বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছে। পাশাপাশি বোয়িং নির্মিত বিমানের যন্ত্রাংশ ও অন্যান্য সরঞ্জাম কেনার ক্ষেত্রেও নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে চিন। চিনের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র লিন জিয়ান জানান, 'বাহ্যিক অনিশ্চয়তার মুখে বেজিং মুষ্টিযুদ্ধের পরিবর্তে করমর্দনের উপর জোর দেবে, বাধা তৈরির পরিবর্তে দেয়াল ভেঙে ফেলবে, বিচ্ছিন্ন করার পরিবর্তে সংযোগ স্থাপন করবে।' তারপরে ট্রুথ সোশ্যাল নেটওয়ার্কে ট্রাম্প জানান, চিন বোয়িং চুক্তি থেকে সরে এসেছে। এরপরেই চিনকে শুল্কর আহ্বান জানান ট্রাম্প। (আরও পড়ুন: 'তালিবানের সঙ্গে ডাবল গেম...', পাকিস্তানের মুখোশ টেনে খুললেন জয়শংকর)
আরও পড়ুন: 'ওদের পিছনে সময় নষ্টের কোনও মানে হয় না', পাকিস্তানকে তুচ্ছতাচ্ছিল্য জয়শংকরের
চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকে বিশ্বের দুই বৃহত্তম অর্থনৈতিক দেশ পরষ্পরের বিরুদ্ধে সম্মুখ সমরে নেমেছে। ট্রাম্প চিন থেকে আমদানির উপর ১৪৫ শতাংশ পর্যন্ত শুল্ক আরোপ করছেন। বেজিং এর তীব্র প্রতিক্রিয়ায় ওয়াশিংটনের এই পদক্ষেপকে 'গুন্ডামি' বলে অভিহিত করেছে। পাল্টা দিতে মার্কিন পণ্যের উপর ১২৫ শতাংশ পাল্টা শুল্ক আরোপ করেছে চিন।
আরও পড়ুন: 'পাশে ২ নার্স…', ভেন্টিলেশনে থাকা বিমানসেবিকাকে যৌন হেনস্থা হাসপাতালে
প্রসঙ্গত, ট্রাম্পের পাল্টা শুল্ক আরোপ বিশ্ব বাজারে শোরগোল ফেলে দিয়েছে। গত সপ্তাহে ডোনাল্ড ট্রাম্প অন্যান্য দেশের শুল্ক বৃদ্ধির উপর স্থগিতাদেশ জারি করেছেন। শুধু ব্যতিক্রম চিন। বেজিংকে কোনওদিক থেকেই ছাড় দেওয়া হয়নি। শুক্রবার মার্কিন কর্মকর্তারা স্মার্টফোন, সেমিকন্ডাক্টর এবং কম্পিউটারের মতো প্রযুক্তিগত পণ্যের জন্য চিন এবং অন্যান্যদের বিরুদ্ধে সর্বশেষ শুল্ক থেকে অব্যাহতি ঘোষণা করেছেন।