চলতি বছরে ৫ অগস্ট বাংলাদেশ ছেড়ে ভারতে চলে আসেন সদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শেখ হাসিনা পরবর্তী সময়ে এবার ৬ বছর পর প্রথমবার কোনও প্রকাশ্য অনুষ্ঠানে দেখা গেল বাংলাদেশে বিএনপির নেত্রী খালেদা জিয়াকে। এদিন, সশস্ত্র বাহিনী দিবীস উপলক্ষ্যে ঢাকায় সেনাকুঞ্জে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াকে দেখা যায়। একই মঞ্চে উপস্থিত ছইলের বাংলাদেশের বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান মহম্মদ ইউনুস। তাঁর সঙ্গে এদিনের মঞ্চে খালেদা জিয়ার বেশ কিছুটা খোশগল্প হতে দেখা যায়।
সশস্ত্র বাহিনী দিবসের অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে অংশ নিলেন দীর্ঘ ১২ বছর পর অংশ নেন খালেদা জিয়া। উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশের সেনা প্রধান জেনারেল ওয়াকার উজ জামান, নৌবাহিনীর প্রধান মহম্মদ নাজমুল হাসান, বিমান বাহিনীর প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল হাসান মেহমুদ খান। তাঁরা সকলেই ইউনুস ও জিয়াকে অভ্যর্থনা জানান। এদিন তিনি বেলা গড়াতেই তাঁর গুলশানের বাসভবন ফিরোজা থেকে রওনা হন অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়ার জন্য। এদিনের মঞ্চে জিয়াকে সংবর্ধনা জানানো হয়। সেখানে হাজির ছিলেন বিএনপির মহাসচিব মির্দা ফকরুল আলমগির। তিনি জিয়াে অনুষ্ঠানে দেখে কান্নায় আবেগাপ্লুত হন। এদিকে, খালেদা জিয়ার উদ্দেশে বাংলাদেশের বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান মহম্মদ ইউনুস বলেন,' খালেদা জিয়া আজ এখানে আমাদের মধ্যে উপস্থিত আছেন৷ এক যুগ ধরে তিনি এই মহাসম্মিলনীতে অংশগ্রহণ করার সুযোগ পান নাই৷ আজকে সুযোগ পেয়েছেন৷ আমরা সবাই আনন্দিত এবং গর্বিত যে, এই সুযোগ দিতে পেরেছি আপনাকে'। এরইসঙ্গে তিনি বলেন,' শারীরিক অসুস্থতা সত্ত্বেও এই বিশেষ দিবসে সবার সাথে শরিক হওয়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ৷ এই অনুষ্ঠানে আপনাকে বিশেষভাবে স্বাগত জানাচ্ছি।'
( Mamata on WB Police: CID-তে রদবদলের ডাক মমতার! কয়লা-বালি চুরি নিয়ে ক্ষোভের সুরে বললেন ‘পুলিশেরও কিছু লোক টাকা খেয়ে..’)
( WBCHSE HS Exam practical Date: উচ্চমাধ্যমিকের প্র্যাক্টিক্যাল পরীক্ষার তারিখ ২০২৪ এ কবে? বিধি সহ দিন জানাল সংসদ)
উল্লেখ্য, বাংলাদেশের রাজনীতিতে শেখ হাসিনার আওয়ামি লিগ ও খালেদা জিয়ার বিএনপি যুযুধান দুই পক্ষ। তাঁদের রাজনৈতিক সংঘাত বিগত কয়েক বছরে তুঙ্গে ওঠে। এদিকে, বর্তমানে মুজিব কন্যা শেখ হাসিনা নেই বাংলাদেশে। তাঁর দল আওয়ামি লিগও ছত্রভঙ্গ। এদিকে বাংলাদেশের প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি জিয়া উর রহমানের স্ত্রী খালেদা, তাঁর স্বামীর প্রতিষ্ঠিত দলের হাল ধরে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর তখতেও এককালে বসেছিলেন। দুর্নীতির অভিযোগে তাঁ কারাবাস হলেএ, তাঁর শারীরিক কারণে তাঁর বেশিরভাগ সময়ই হাসপাতালে বন্দি অবস্থায় কেটেছে। তবে হাসিনা পরবর্তী সময়ে তাঁর এভাবে প্রকাশ্য সমাবেশে আসা রাজনৈতিকভাবে তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।