ভয়ঙ্কর তুষারপাত চলছে জম্মু-কাশ্মীর ও হিমাচল প্রদেশের বিস্তীর্ণ অংশে। তারজেরে হিমাচলের কুলুর রাস্তায় আটকে পড়েছিলেন ৫ হাজার পর্যটক। অবশেষে বরফ সরিয়ে তাদের উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছ। পুলিশ জানিয়েছে, আটকে থাকা পর্যটকদের নিরাপদে উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। এখনও উদ্ধারকাজ চলছে। এদিকে, জম্মু ও কাশ্মীরেও ভারী তুষারপাতের কারণে ২ হাজার যানবাহন আটকে পড়েছে। সেগুলিকে উদ্ধারের কাজ চলছে।
আরও পড়ুন: ভারি বৃষ্টি-তুষারপাতের কবলে হিমাচল!৫০০ রাস্তা বন্ধ, যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন
হিমাচল প্রদেশের কুলুতে শীত পড়লেই নৈসর্গিক দৃশ্য উপভোগ করতে প্রচুর পর্যটকের ভিড় হয়। কুলু পুলিশ জানিয়েছে, সোলাং নালায় ভারী তুষারপাতের কারণে ১০০০ গাড়ি আটকে পড়েছিল। শুক্রবার থেকে উদ্ধার অভিযান শুরু করা হয়েছিল।তবে নতুন করে তুষারপাতের কারণে সমস্যা হয়। শেষ পর্যন্ত এই গাড়িগুলোকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। তাতে প্রায় ৫০০০ পর্যটক ছিলেন বলে পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, যানবাহন এবং পর্যটকদের উদ্ধার করে নিরাপদ স্থানে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। উদ্ধারকাজ অভিযান এখনও চলছে। এর পাশাপাশি শুক্রবার লাহৌল-স্পিতি, চাম্বা, কাংড়া, সিমলা এবং কিন্নরেও ভারী বৃষ্টিপাত এবং তুষারপাত হয়েছে।
এদিকে, শুক্রবার জম্মু ও কাশ্মীরে বেশ কয়েকটি জায়গাতেও ভারী তুষারপাত হয়েছে। কাশ্মীরের বেশিরভাগ এলাকায় হালকা থেকে মাঝারি তুষারপাত রেকর্ড করা হয়েছে। যার মধ্যে রয়েছে - শ্রীনগর, গন্ডারবাল, অনন্তনাগ, কুলগাম, শোপিয়ান এবং পুলওয়ামা জেলার বিস্তীর্ণ এলাকা। এখানে মরশুমের প্রথম তুষারপাত হয়েছে। শ্রীনগরে ৩ ইঞ্জি তুষারপাত হয়েছে।
এছাড়া, গুলমার্গের বিখ্যাত স্কি রিসর্ট, সোনামার্গ এবং পাহলগামের পর্যটন রিসর্ট, গুরেজ, জোজিলা অক্ষ, সাধনা টপ, মুঘল রোড এবং বান্দিপোরা, বারামুল্লা এবং কুপওয়ারা জেলার অনেক এলাকাতেও তুষারপাত হয়েছে। ভারী তুষারপাতের ফলে শ্রীনগর-লেহ হাইওয়ে এবং মুঘল রোড বন্ধ হয়ে যায়। শ্রীনগর-জম্মু জাতীয় মহাসড়কেও যান চলাচল ব্যাপকভাবে প্রভাবিত হয়েছে। প্রায় ২০০০ যানবাহন আটকে পড়ে।
এরপরই জম্মু ও কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লাহ বলেছেন, ‘বরফ পরিষ্কারের চেষ্টা চলছে। বানিহাল থেকে শ্রীনগর পর্যন্ত একটানা তুষারপাত হয়েছে। পরিস্থিতি বেশ কঠিন। ২০০০ গাড়ি আটকে আছে। আমার অফিস দক্ষিণ কাশ্মীরের প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে।’
উল্লেখ্য, আইএমডি আগেই তুষারপাতের পূর্বাভাস দিয়েছিল। তাতে বলা হয়েছে, আজ শনিবার দুপুরের পর থেকে আবহাওয়ার উন্নতি হতে পারে। আবহাওয়া বিভাগের তরফে পর্যটক এবং স্থানীয়দের প্রয়োজনীয় সতর্কতা অবলম্বন করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল।