Health Tips: বাংলার মাঠে ঘাটে ঝোপঝাড় অযত্নে বেড়ে ওঠা শাকপাতা কিন্তু হাজার একটা গুণে ভরপুর। চারদিকে রোগের বাড়বাড়ন্ত যখন, এইসব শাকসবজি রোগ নিরাময়ে অনেকটাই কাজে আসে। তেমনই একটি শাক হল শুষনি শাক।
শুষনি শাকের পুষ্টিগুণ
শুষনি শাকের মধ্যে রয়েছে একাধিক ফাইটোকেমিকাল যেমন ট্যানিন, ফ্ল্যাভোনয়েড, বিটুলিনিক অ্যাসিড, ফ্যাটি অ্যাসিড ও স্টেরল। এর মধ্যে থাকা কোয়ারসেটিন ওষুধ তৈরির কাজেও লাগে। এছাড়াও, অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে ভরপুর এই শাক।
আরও পড়ুন -
শুষনি শাকের উপকারিতা
১. ডিমেনশিয়ার ঝুঁকি কমায় - একাধিক নিউরোপ্রোটেকটিভ উপাদানে ভরপুর শুষনি শাক। ফলে ব্রেনের কোশগুলিকে সতেজ রাখে এই শাক। ডিমেনশিয়া, অ্যালজাইমার্সের মতো রোগের ঝুঁকিও কমায়।
২. হজমের সমস্যা দূর করে - ফাইবারে ভরপুর এই শাক হজমের সমস্যা দূর করে। অনেকেই বদহজম, অ্যাসিডিটি ইত্যাদি সমস্যায় ভোগেন। শুষনির ফ্ল্যাভনয়েডস এগুলি দূর করতে উপকারী।
৩. অ্যাজমার রোগীদের জন্য- শুষনি শাক সেদ্ধ করা জল অনেকেই ফেলে দেন। কিন্তু এই জল ফেলে না দিয়ে অল্প অল্প করে পান করা যায়। এতে শ্বাসনালি আরও প্রসারিত হয়। অ্যাজমার রোগীদের জন্য এই শাক উপকারী।
আরও পড়ুন -
৪. রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় - একাধিক অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে ভরপুর শুষনি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। সিজন চেঞ্জের সময় এই শাককে প্রথম পছন্দ হিসেবে বেছে নেওয়াই তাই বুদ্ধিমানের কাজ।
৫. মাইগ্রেনের যন্ত্রণা কমায় - স্নায়ুকোশগুলির প্রদাহের কারণে মাইগ্রেনের সমস্যা দেখা দেয়। যারাআ এই সমস্যায় ভোগেন তারা শুষনি শাক খেলে উপকার পেতে পারেন।
৬. কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে মুক্তি - কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যায় নিয়মিত যারা ভোগেন, তারা প্রায়ই ওষুধে ভরসা রাখেন। বিকল্প হিসেবে এই শাক কিন্তু যথেষ্ট উপকারী।
শুষনি শাকের আর কিছু দিক
- শুষনি শাক অতিরিক্ত পরিমাণে না খাওয়াই ভালো। ফাইবার রয়েছেন বলে এতে ডায়রিয়ার সমস্যা দেখা দিতে পারে।
- অতিরিক্ত ফাইবার পেট ফাঁপা বা ব্লটিংয়ের কারণও। তাই সঠিকভাবে সিদ্ধ করে তবেই খান।