আর মাত্র কয়েক ঘণ্টার অপেক্ষা, তার পরই ইদ। ইদ মানে নতুন জামার গন্ধ গায়ে মেখে সকলের সঙ্গে আনন্দে মেতে ওঠা। রকমারি পদের গন্ধ নাকে আসতেই সটান রান্নাঘরে ঢুকে পড়া আর এটা-ওটা চেখে দেখা। ইদি নিয়ে জোর কমপিটিশান শুরু হওয়া। এ সবই চোখে পড়ে খুশির ইদের দিনে। যে কোনও উৎসবের আমেজই খাওয়া দাওয়া ছাড়া ফিকে। ইদও এর ব্যতিক্রম নয়। ইদ আর বিরিয়ানি— এই দুটি সমর্থক। বিরিয়ানি ছাড়া ইদের আনন্দ অধরা থেকে যায়। নানান কায়দার তৈরি বিরিয়ানি সকলেই খেয়ে থাকি। এদিন ইদে বাড়িতে বানিয়ে ফেলুন শাহী কাচ্চি বিরিয়ানি। লোভনীয় এই বিরিয়ানি ইদের দিনে পাতে রাখলে খুশি করা যাবে আট থেকে আশি সকলকেই।উপকরণ: খাসির মাংস ২ কেজিবাসমতি চাল ১ কেজিঘি ২৫০ গ্রামমাখন ১০০ গ্রামতেল ২৫০ গ্রামআলু ১/২ কেজিপেঁয়াজ ২৫০ গ্রামটক দই এক কাপকাঁচা লঙ্কা ৮-১০টিআদা বাটা ২ টেবিল চামচরসুন বাটা ১ টেবিল চামচগোলমরিচ গুঁড়ো ২ টেবিল চামচছোট এলাচ ৪-৫টিদারচিনি ৪ টুকরালবঙ্গ ৬টিআমন্ড বাটা ২ চা চামচপেস্তাবাদাম বাটা ১ চা চামচপোস্ত বাটা ১/২ চা চামচআলুবোখারা ৮টিকিসমিস বাটা ৬টিখোয়া ৫০ গ্রামজাফরান সামান্যগুঁড়ো দুধ পরিমান মতোনুন স্বাদ মতোপ্রণালী: বড় করে কাটা খাসির মাংসে আদা-রসুন বাটা, আমন্ড বাটা, পেস্তাবাদাম বাটা, পোস্ত বাটা, গোলমরিচ গুঁড়ো, এলাচ গুঁড়ো, লবঙ্গ গুঁড়ো ও দারচিনি গুঁড়ো দিয়ে মেখে নিন। ২ ঘণ্টা পর্যন্ত খাসির মাংস মেখে রাখতে হবে। এবার কড়াইয়ে তেল গরম করে তাকে পেঁয়াজের বেরেস্তা করে নিন। পেঁয়াজ বার করে ওই তেলে বড় করে কাটা আলুর টুকরো ছেড়ে দিন। এতে নুন ও সামান্য হলুদ দিয়ে ভেজে তুলতে হবে। পাশাপাশি চাল ধুয়ে আধ সেদ্ধ করে নিন।এবার অল্প আঁচে বিরিয়ানির হাড়ি চাপান। এতে মেরিনেট করা মাংসের একটি লেয়ার বিছিয়ে নিন। এতে ভাজা আলু দিয়ে এর ওপর আধ সেদ্ধ চালের লেয়ার বিছিয়ে দিতে হবে। লেয়ারে লেয়ারে স্বাদমতো নুন দিতে ভুলবেন না।এবার দুধের সঙ্গে ঘি, খোয়া মিশিয়ে চালের ওপরে ছড়িয়ে দিন। এর পর আলুবোখরা, কিসমিস ও জাফরান ছড়িযে দিতে হবে। এর পর ভেজে রাখা বেরেস্তা দিতে হবে। বিরিয়ানির পাত্রের ভিতরে কিছুটা ঘি ছড়িয়ে দিন। পাত্রের ঢাকনায় আটা মাখা লাগিয়ে হাড়ির মুখ বন্ধ করে দিন। এভাবে ২ ঘন্টা অল্প আঁচে ছেড়ে দিতে হবে। তার পর গরম গরম পরিবেশন করুন শাহী কাচ্চি বিরিয়ানি।