বিতর্ক আর তসলিমা নাসরিন যেন মুদ্রার এপিঠ ওপিঠ। তাঁর লেখা বই ছাড়াও প্রায়শই তসলিমার করা বিভিন্ন মন্তব্য কিংবা সোশ্যাল মিডিয়ায় করা পোস্ট থেকে জন্ম নেয় বিতর্ক। আর সেই বিতর্কের আঁচ যে একদিন পরেই নিভু নিভু হবে, এমন ভাবার কোনও কারণ নেই। এবার তসলিমার লক্ষ্য সারোগেসি। শুক্রবার সন্তানের জন্মের খবর সোশ্যাল মিডিয়ায় দিয়েছিলেন প্রিয়াঙ্কা। জানিয়েছিলেন, সারোগেসির মাধ্যমে মা-বাবা হয়েছেন তাঁরা। এখনই এই নিয়ে এর চেয়ে বেশি আর কিছু বলতে চাননি তিনি এবং নিক। বরং সকলের কাছে অনুরোধও করেছেন, এ বিষয়ে গোপনীয়তা বজায় রাখতে। এরপরেই সারোগেসিকে কেন্দ্র করে তসলিমার একের পর এক টুইট ইন্ধন জুগিয়েছে বিতর্কে।প্রিয়াঙ্কা চোপড়ার নাম না তুলে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি প্রশ্ন রেখেছেন 'দ্বিখণ্ডিত'-র লেখিকা, 'সেইসব মায়েদের কেমন লাগে যখন তাঁরা তাঁদের এই 'রেডিমেড' সন্তান নিজেদের কোলে পান? আচ্ছা, যেসব মায়েরা তাঁদের সন্তানকে গর্ভে ধারণ করে জন্ম দেন, তাঁদের মনোভাব সেই সন্তানের প্রতি যেমন থাকে, সেই একইরকম মনোভাব কি সারোগেসির মাধ্যমে হওয়া মায়েদের ক্ষেত্রেও থাকে?' তসলিমার এই টুইটটি প্রকাশ্যে আসামাত্রই নেটদুনিয়ায় শুরু হয়েছে হইচই। নেটিজেনদের বড় অংশ অবশ্য রেয়াত করেননি। একহাত নিয়েছেন এই বাংলাদেশি বিতর্কিত লেখিকার উদ্দেশে। অনেকেই লেখিকার মন্তব্যের নিন্দা করে বলেছেন, অনেক মানুষেরই শারীরিক সমস্যা থাকার দরুণ, তাঁরা সারোগেসি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সন্তানসুখ নেন। এতে অন্যায়ের কিছু নেই।অবশ্য চুপ করে থাকার মানুষ নন তসলিমা। এখেত্রেও ঠিক তাই হয়েছে। ফের টুইট করে তাঁর দাবি, এই 'সারোগেসি' ব্যাপারটি সম্ভব, কারণ সমাজে গরিব মানুষ রয়েছেন। আর অর্থবান মানুষ সবসময় শুধুমাত্র নিজেদের সুযোগ সুবিধা কায়েম রাখার জন্য সমাজে গরিবদের অস্তিত্ব যেন বজায় থাকে, সেই চেষ্টাই করে এসেছে। 'আমার মেয়েবেলা'র লেখিকার কথায়, 'এতই যখন ইচ্ছে তখন সন্তান দত্তক নাও। কোনও গৃহহীন বাচ্চাকে দত্তক নাও, আশ্রয় দাও। কিন্তু না, তাঁদের জেদ যে তাঁদের সন্তানের ধমনীতে বংশের রক্ত প্রবাহিত হবে, তাঁর চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যও থাকবে। তাই সারোগেসি আদতে একটি স্বার্থপর চিন্তা ছাড়া আর কিছুই নয়।'