সোমবার আচমকাই ভারতীয় ধ্রুপদী সঙ্গীতের দুনিয়ায় নক্ষত্রপতন। চলে গেলেন ‘পদ্মবিভূষণ’ পন্ডিত যশরাজ। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিউ জার্সিতে এদিন মৃত্যু হয়েছে ৯০ বছরের এই প্রবীণ শিল্পীর। সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে শিল্পীর মৃত্যু সংবাদ নিশ্চিত করেছেন কন্যা দুর্গা যশরাজ। যশরাজের মৃত্যুতে শোকস্তব্ধ গোটা দেশ। এদিন দেশের প্রধানমন্ত্রী পন্ডিত যশরাজের প্রয়াণে শোকবার্তা প্রকাশ করে বলেন, পন্ডিত যশরাজ জি'র এই দুর্ভাগ্যপূর্ণ মৃত্যু ভারতীয় সংস্কৃতির গোলকে একটা অপূরণীয় শূন্যস্থান রেখে গেল। তিনি শুধু একজন সঙ্গীতের অবিস্মরণীয় সাধক ছিলেন না, তিনি ছিলেন একজন অভূতপূর্ত মেন্টর যিনি পথপ্রদর্শক অন্য গায়কদের। তাঁর পরিবার এবং বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে থাকা গুণমুগ্ধ অনুরাগীদের প্রতি রইল আমার গভীর সমবেদনা। ওম শান্তি'। রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ তাঁর শোকবার্তায় লেখেন, 'সঙ্গীত লেজেন্ড এবং ক্লাসিক্যাল সঙ্গীতের অবিস্মরণীয় কন্ঠশিল্পী পন্ডিত যশরাজের এই চলে যাওয়ায় আমি মর্মাহত। আট দশকেরও বেশি দীর্ঘ তাঁর কেরিয়ার, পদ্ম বিভূষণ প্রাপক, যিনি মানুষকে নিজের সঙ্গীত দ্বারা আচ্ছন্ন করে রেখেছেন। পরিবার, বন্ধু এবং সঙ্গীতের অনুরাগীদের প্রতি রইল সমবেদনা। পন্ডিত যশরাজের মৃত্যুতে টুইটারে শোকজ্ঞাপন করেছেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহও। মেওয়াতি ঘরানার এই গায়ক খেয়াল গানের জন্যই গোটা বিশ্বে সুপরিচিত। খেয়াল গানে এক অনন্য নিজস্বতা এনেছিলেন যশরাজ, তাঁর খেয়াল গানে ঠুমরির প্রভাবও ছিল স্পষ্ট। সঙ্গীতের এই সাধক আজীবন তাঁর শিল্পকে ছড়িয়ে দিয়েছেন তরুণ,প্রতিভাবনা শিল্পীদের মধ্যে। ভারত ছাড়িয়ে আটলান্টা, ভ্যাঙ্কুভার,টরেন্টো, নিউ ইয়র্ক, নিউ জার্সির মতো জায়গায় বিভিন্ন মিউজিক স্কুলে তিনি নিয়মিত সঙ্গীত শিখিয়েছেন। তাঁর কৃতী ছাত্রছাত্রীদের অন্যতম সাধনা সরগম,অনুরাধা পাড়োয়াল, কলা রামনাথ, রমেশ নারায়ণরা। তাঁর মৃত্যুতে ভারতীয় ধ্রুপদী সঙ্গীতের দুনিয়ায় একটা স্বর্নিম অধ্যায়ের পরিসমাপ্তি ঘটল।