শনিবার দাদাগিরিতে এসেছিল স্কুল পড়ুয়ারা। ছিল টাকি বয়েজ স্কুল, নরেন্দ্রপুর রামকৃষ্ণ মিশন, নারায়না বারাসত, সেন্ট টেরিসা স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীরা। পড়ুয়াদের সঙ্গে দাদাগিরির মঞ্চ ছিল জমজমাট। রামকৃষ্ণ মিশন আবাসিক স্কুল, সেখানের ছেলেরা সকাল থেকে রাত অবধি কীভাবে কাটান, তা জানতে চান সৌরভ। শুনে বেশ অবাকও হন।
তা কীভাবে নরেন্দ্রপুর রামকৃষ্ণ মিশনের ছাত্রদের সকাল থেকে রাত কাটে? এই স্কুলের দুই পড়ুয়ারা জানালেন, সকাল সাড়ে পাঁচটার সময় ঘুম থেকে উঠতে হয় সকলকে। তারপর হাত মুখে ধুয়ে পিটি (শরীরচর্চা)। তারপর ঠাকুরের গান হয়, যেটিকে তারা উল্লেখ করেন প্রেয়ার হল হিসেবে। প্রার্থনা থেকে এসে দু ঘণ্টার জন্য স্বপঠন-পাঠন, যেটাকে বলা হয় ‘স্টাডি হল’। এরপর সাড়ে নটার সময় ভাত খেয়ে তারা চলে যায় স্কুলে।
আরও পড়ুন: হুগলি থেকে তৃণমূলের টিকিটে ভোটে দাঁড়াতে পারেন রচনা! প্রতিপক্ষে লকেট
১০টা থেকে ৪টে ১০ অবধি চলে স্কুল। স্কুল থেকে এসে সব বাচ্চা টিফিন খায়। তারপর দেড় ঘণ্টা খেলার সময়। সন্ধের সময় প্রার্থনা, আরতি, ভজন। তারপর আবার দুঘণ্টার পড়াশোনার সময়। তারপর খাওয়াদাওয়া করে সকলে চলে যায় বিছানায়। ১০টা ১৫-তে হয়ে যায় লাইটস অফ।
নরেন্দ্রপুর রামকৃষ্ণ মিশনের ছাত্রদের দৈনন্দিন জীবনযাত্রা অবাক করে সৌরভকে। তিনি বলেন, ‘তাঁর মানে মাত্র ৭ ঘণ্টা ঘুম’!
আরও পড়ুন: নাম নেই কোনও বাঙালির! কামিয়া জানি থেকে রণবীর এলাহাবাদিয়া, কারা পেল মোদীর থেকে অ্যাওয়ার্ড
এই দুই পড়ুয়াই জানালেন, দু সপ্তাহে একবার তাঁরা বাড়ির লোকেদের সঙ্গে দেখা করার অনুমতি পায় ৩ ঘণ্টার জন্য। তবে তার বাইরে আর দেখা পায় না মা-বাবার। সৌরভ তাঁর সামনে দাঁড়িয়ে থাকা সেই দুই খুদে পড়ুয়াদের প্রশ্ন করেন, ‘তোদের ভালো লাগে বোর্ডিং স্কুল?’ সঙ্গে খোঁজ নেন এথ নিয়মনিষ্ঠার মাঝে খেলাধুলো করার সময় তাঁরা পান কি না!
আরও পড়ুন: সেমি ফাইনালে যিশুর টিম, হারাল ভোজপুরিকে! এরপর কাদের মুখোমুখি হবে যিশু-সৌরভ-বনিরা
এরপর নিজের ছোটবেলার গল্পও শোনান দাদা। জানান তিনি ছিলেন সেন্ট জেভিয়ার্সের স্টুডেন্ট। স্কুলে পৌঁছেই সামনের মাঠে শুরু করতেন ফুটবল খেলা। আর তারপর পাশের কলে কোনওরকমে জামাকাপড় ধুয়ে ঢুকতেন ক্লাসে।