সম্প্রতি এক কনসার্টে গায়ক সোনু নিগমের করা একটি মক্তব্য বিতর্কের জন্ম দেয়। বেঙ্গালুরুর এক কনসার্টে একজন তাঁকে কন্নড় ভাষায় গান করতে বললেন সোনু পহেলগাঁওয়ের প্রসঙ্গ টেনে এনে তাঁকে তিরস্কার করেন। এই ঘটনার জেরে গায়কের নামে পুলিশ কেসও করে একটি কন্নড়পন্থী সংগঠন। এর মাঝেই কানাঘুষোয় শোনা যাচ্ছিল যে সোনুকে নাকি কন্নড় ফিল্ম ইন্ড্রাস্টি থেকে ব্যান করা হতে পারে। আর এবার নিউজ১৮-এর একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে, গায়কের মন্তব্যের জন্য কন্নড় ছবি ‘কুলাদাল্লি কিলিয়াভুডো’ থেকে তাঁর গানটি সরিয়ে ফেলা হয়েছে।
'কুলাদল্লি কিলিয়াভুডো'র নির্মাতারা একটি বিবৃতিতে জানিয়েছে যে ছবিটি থেকে সোনুর গানটি সরিয়ে ফেলা হবে। তাঁদের বিবৃতিতে লেখা হয়, ‘কোনও সন্দেহ নেই যে সোনু নিগম একজন ভালো গায়ক। কিন্তু, সম্প্রতি একটি কনসার্টে তিনি যেভাবে কন্নড় ভাষা সম্পর্কে কথা বলেছেন তাতে আমরা খুবই মর্মাহত। সোনু নিগম কন্নড়দের যে অপমান করেছেন তা আমরা সহ্য করতে পারছি না, তাই আমরা গানটি সরিয়ে ফেলেছি।’
আরও পড়ুন: হবু বৌকে জড়িয়ে ধরে চুমু মুকুলের! আদর আর হলুদে মাখামাখি মৌটুসি, জানেন পাত্রীর আসল পরিচয়?
কে রামনারায়ণ পরিচালিত এই ছবিতে সোনু নিগম ‘মনসু হাডতাদে’ গানটি গেয়েছিলেন। মনোমূর্তি সুর করেছেন এবং যোগরাজ ভাট লিখেছেন। এক মাস আগে মুক্তি পাওয়া এই গান বেশ জনপ্রিয়তাও লাভ করেছিল। এখনও সোনুর ইউটিউব চ্যানেলে এই গানটি রয়েছে। ছবির নির্মাতারা এখন গানটি ফের রেকর্ড করার জন্য গায়ক চেতনকে নিয়েছেন। প্রযোজক সন্তোষ কুমারও ভবিষ্যতের আর কোনও প্রোজেক্টে সোনুর সঙ্গে কাজ না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, তিনি তা ঘোষণাও করেছেন।
সেদিন কী ঘটে ছিল?
বেঙ্গালুরুর বীরনগরের একটি কলেজে ২৫ এপ্রিল আয়োজিত একটি সঙ্গীত অনুষ্ঠানে সোনু নিগম এই বিতর্কিত মন্তব্যটি করেন। তাঁর ভিডিয়োটি সোশ্যাল মিডিয়ায় রীতিমতো ভাইরাল হয়। তার পর এক কন্নড়পন্থী সংগঠন তাঁর বিরুদ্ধে বেঙ্গালুরুর আভালাহাল্লি থানায় এফআইআর দায়ের করে। ভিডিয়োতে দেখা যায় সোনু নিগমকে একজন ভক্ত কন্নড় ভাষায় একটি গান গাওয়ার জন্য রীতিমতো তাঁকে হুমকি দিচ্ছে। তিনি এই আচরণকে ২২ এপ্রিল কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে ঘটে যাওয়া ঘটনার সঙ্গে তুলনা করেন। তিনি বলেন, 'কন্নড়, কন্নড়, কন্নড়, সেই কারণেই পহেলগাঁওয়ে ওই দুর্ঘটনাটি ঘটেছে।’আরও পড়ুন: 'ব্যক্তিগত…', ঋষির সঙ্গে বর্তমানে দেবযানীর সম্পর্কের ঠিক কেমন? কী বললেন অভিনেতা?
পরে সোনু তাঁর বক্তব্যের ব্যাখ্যা দিয়ে একটি ভিডিয়ো প্রকাশ করেন। তাঁর ইনস্টাগ্রামে তিনি বলেন, অনুষ্ঠানে কন্নড় ভাষায় গান গাওয়ার জন্য ছেলেদের একটি ছোট দল তাঁকে "হুমকি" দিয়েছিল। তিনি এই বিষয়টা মোটেও জেনারালাইজ করেননি বা কয়েকজনের কর্মকাণ্ডের জন্য পুরো সম্প্রদায়কে দায়ী করেননি। তাই তাঁর বক্তব্যকে যেন ভূল ভাবে নেওয়া না হয় তার জন্য অনুরোধ করেন তিনি। কিন্তু কর্ণাটক ফিল্ম চেম্বার অফ কমার্স (কেএফসিসি) সকলকে সোনুর সঙ্গে কাজ বন্ধ করার নির্দেশ দেয়।