একদিন ভালোবেসে বিয়ে করেছিলেন হিন্দু ধর্মাবলম্বী সুশীলা চরকে। বিয়ের পর স্ত্রীর নাম বদলে রাখেন সলমা। সেটা ছিল ১৯৬৪ সালের ১৮ নভেম্বর। সম্প্রতি ছেলে আরবাজ খানের টক শো ইনভিজিবিলস-এ গিয়ে ভিনধর্মী সুশীলাকে (বর্তমানে সলমা) বিয়ে নিয়ে মুখ খুলেছেন সেলিম খান।
সেলিম খান বলেন, তিনি যেদিন থেকে আদপে সলমার (তখন সুশীলা) সঙ্গে ডেটিং শুরু করেছিলেন, তখনই তিনি তাঁর বাবা-মায়ের সঙ্গে দেখা করতে চেয়েছিলান। কারণ, তাঁর মনে হয়েছিল, লুকিয়ে কোনও কিছু করা অনুচিত। সেলিম খানের কথায়, ‘আমার তোমার বাবা-মায়ের সঙ্গে দেখা করাটা প্রয়োজনীয়। কারণ লুকিয়ে থাকাটা ভালো বিষয় নয়। তবে ওর বাড়িতে যেদিন গিয়েছিলাম, দেখলাম একগাদা লোক। মনে হচ্ছিল, দেশের সব মহারাষ্ট্রিয়ানরাই সেখানে রয়েছেন। আমি বেশ ঘাবড়ে গিয়েছিলাম। সবাই আমায় দেখতে এসেছিল। যেন বিষয়টা চিড়িয়াখানার মতো ছিল। সেখানে আমার শ্বশুর-শাশুড়িও ছিলেন।’
সেলিম খান বলেন, তাঁর শ্বশুর সেলিম খানকে বলেছিলাম, ‘আমরা আপনার বিষয়ে খোঁজ খবর নিয়েছি। আপনি শিক্ষিত পরিবারের তবে ধর্ম কখনওই আপমাদের এক হতে দেবে না।’ সলমন খানের বাবা সেলিম খানের বয়স তখন ছিল মাত্র ২৪। সেলিমের কথায় তিনি তাঁর শ্বশুরমশাইকে বলেছিলেন, ‘ডক্টর সাহেব, আমার আর আপনার মেয়ের মধ্যে হাজারও সমস্যা হতে পারে, তবে ধর্ম কখনও এখানে সমস্যা হয়ে দাঁড়াবে না।’
সেলিম খান জানান, এরপর তাঁরা তাঁদের বিয়ের রেজিস্ট্রেশন করেছিলেন। যদি সলমার বাবা, অর্থাৎ তাঁর শ্বশুরমশাই মেয়ের ভিনধর্মে মেনে নেননি। দীর্ঘ ১০ বছর সলমার পরিবারের সঙ্গে কোনও যোগাযোগ ছিল না। সেলিম খানের কথায় সোহেলের জন্মের পর তিনি শ্বশুরমশাই প্রথমবার তাঁদের বাড়িতে এসেছিলেন। তবে দেখা করে আবার চলেও গিয়েছিলেন।

প্রসঙ্গক্রমে আরবাজ খান জানান, তাঁর বাবা মা সলমা খানের পরিবারের জন্য নিজের নাম পরিবর্তন করে রাখেন শঙ্কর। সেলিম খান জানান, একমাত্র সলমা (তখন সুশীলা)র ঠাকুমা তাঁকে পছন্দ করতেন। যাঁকে আজ্জি বলে ডাকা হত। তিনি অপেক্ষা করে থাকতেন, কখন শঙ্কর আসবে?
প্রসঙ্গত সেলিম খান ও সলমন খানের বিয়ের পর তাঁদের ৪ সন্তান হয়। সলমন, আরবাজ, সোহেল, আলভিরা। ও দুজনে মিলে একটি পথ শিশুকে দত্তক নেন, অর্পিতা খান। যদিও পরবর্তী সময়ে সেলিম প্রেমে পড়েন নায়িকা হেলেনের। এমনকী, বিয়েও করেন তাঁরা। যদিও সেলিম খান সালমাকে ডিভোর্স দেননি। দুই স্ত্রী নিয়েই পরিবার সেলিমের।