লোকচক্ষুর আড়ালে মন্দিরে বিয়ের পর্ব আগেই সারা হয়ে গিয়েছে মোহর-শঙ্খর। তবে এক হয়েও আলাদা হয়ে যেতে হয়েছিল বাংলা টেলিভিশনের এই পছন্দের জুটিকে। শঙ্খর জেঠুমণির কাতর আবদার মেনে শঙ্খর জীবন থেকে নিজেকে সরিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছে মোহর। শেষমেষ যদিও ভালোবাসার মানুষের কাছে হার মেনে সত্যিটা বলে দেয় সে, তবে ততদিনে শঙ্খ স্যারের সঙ্গে শ্রেষ্ঠা ম্যামের বিয়ের তোড়জোড় শুরু হয়ে গিয়েছে। ইঙ্গিত মিলছিল আগে থেকেই, মোহরের নতুন প্রোমো সাফ করে দিল না,শ্রেষ্ঠা নয় মোহরের সঙ্গে ফের একবার বিয়ের পিঁড়িতে বসতে চলছে শঙ্খ। মোহরের আগের প্রোমোতে দেখা গিয়েছিল শঙ্খ পরিষ্কারভাবে জানিয়ে দিচ্ছে মোহর না এলে বরের গাড়ি বিয়ের মন্ডপের উদ্দেশ্যে রওনা দেবে না, আর নতুন প্রোমোতে দেখা গেল 'বিয়েতে সকলকে গিফট দিচ্ছি' এই আছিলায় মোহরকে সোনার হার পরিয়ে আর্শীবাদ করলেন তাঁর শাশুড়ি মা। এরপর মনে মনেই একে অপরকে নিজেদের মনের কথা বলতে শোনা গেল শঙ্খ ও মোহরকে। একদিকে নায়িকা যখন মনের মানুষের নতুন জীবনের জন্য আনন্দ কামনা করছে, তখন শঙ্খ মনে মনে বলছে- ‘কেমন শাস্তি দিয়েছিলে আমায়, আর কোনওদিনও আমায় ছেড়ে যাওয়ার কথা তুমি বলবে না মোহর’। প্রোমোর ক্যাপশনে স্পষ্ট লেখা- বউ যখন নিমন্ত্রিত। মোহরের কাহিনির এই টুইস্ট দেখলে সাম্প্রতিক সময়ের বেশ জনপ্রিয় বলিউড ছবি ‘শাদি মে জরুর আনা’র কথা মনে প়ড়তে বাধ্য। যেখানে রাজকুমার রাও এবং কৃতি খরবন্দার দেখা মিলেছিল মুখ্য ভূমিকায়। কেমনভাবে রাজকুমারকে বোকা বানিয়ে, নিজের বিয়েই অতিথি হিসাবে হাজির করেছিল কনে- তা মন ছুঁয়েছিল দর্শকদের। এখানে অবশ্য বর-কনের ভূমিকাটা অদল-বদল হয়ে গিয়েছে। অন্যদিকে সোনামণি সাহা ও প্রতীক সেনের ম্যাজিক্যাল জুটির রসায়ন টিআরপি তালিকায় রেকর্ড তৈরি করছে। এ সপ্তাহে ফের একবার রানিমাকে প্রথমস্থান থেকে সরিয়ে এক নম্বরে উঠে এসেছে মোহর।