জ্বলছে দেশের রাজধানী দিল্লি। এনআরসি, সিএএ বিরোধী প্রতিবাদ এখন হিংসার আকার ধারণ করেছে। প্রতি মুহূর্তে হিংসায় মৃত্যু সংখ্যা বেড়েই চলেছে। এখনও পর্যন্ত ঘটনায় নিহত ২০, আহত ১৯০ জন। একাধিক জায়গায় জারি ১৪৪ ধারা। সবচেয়ে বেশি হিংসা বিধ্বস্ত উত্তর-পূর্ব দিল্লিতে দেখা মাত্র গুলি করে দেওয়ার নির্দেশ জারি হয়েছে। দিল্লির পরিস্থিতিতে চিন্তায় কপালে ভাঁজ শিল্পীমহলের। একের পর এক টুইটে ভরে যাচ্ছে সোশ্যাল মিডিয়ার দেওয়াল। স্বরা ভাস্কর, অনুরাগ কশ্যপের মতো হিংসার বিরুদ্ধে প্রতিবাদে সরব টলিগঞ্জের শিল্পীরাও।বুধবার টুইটারের দেওয়ালে অভিনেত্রী তথা বসিরহাটের তৃণমূল সাংসদ নুসরত জাহান লেখেন, 'দুঃখিত,হতাশ,ব্যাথিত..আমার দেশ জ্বলছে। ভুলে যেও না আমরা সবার আগে মানুষ..দয়া করে গুজব, ভুয়ো খবর এবং হিংসা ছড়াবেন না'। গোটা ঘটনায় বিজেপিকে সরাসরি আক্রমণ করেন অভিনেতা অনিবার্ণ ভট্টাচার্য। টুইটারের দেওয়ালে অভিনেতা লেখেন, ' দিল্লী তে কি হচ্ছে, বি জে পি আই টি সেল একটু বলবেন ? আপনাদের কাছেই শুনব,কারণ দেশ তো আপনারাই গড়ছেন। টুকড়ে টুকড়ে খবর শুনে কি করব বলুন,আপনারাই বেশ করে বুঝিয়ে দিন তো,যাতে আমার এখনো না হওয়া কাল্পনিক সন্তানেরও মাথায় গেঁথে যায়। নিন,বোঝান..আচ্ছা, ট্রাম্প এখন কোথায় ?' পরিচালক সৃজিত মুখোপাধ্যায় এই পরিস্থিতিতে রবীন্দ্রনাথের লেখা ভারত ভাগ্যবিধাতা কবিতার পঙতি উল্লেখ করেছেন টুইটারে। হিংসা বিধ্বস্ত দিল্লির একটি ছবির সঙ্গে সৃজিত লেখেন.. 'অহরহ তব আহ্বান প্রচারিত, শুনি তব উদার বাণী ,হিন্দু বৌদ্ধ শিখ জৈন পারসিক মুসলমান খৃস্টানী...' ভবিষ্যত প্রজন্ম এই হিংসার জন্য আমাদের ক্ষমা করবে না বলেই মনে করছেন অভিনেতা পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়। টুইট বার্তায় তিনি লেখেন, 'না , এটা আর হতবাক করছে না। সাম্প্রদায়িক হিংসা খোলাখুলিভাবে জারি রয়েছে। আমাদের করুণ,অসহায় শ্রেনী থেকে সজাগ এবং সচেতনদের দল হয়ত নিজেদের একটা প্রতিচ্ছবি খুঁজে পাচ্ছে যার জন্য ভবিষ্যত প্রজন্ম আমাদের মনে রাখবে (দুর্ভাগ্যবশত) শিকারী হিসাবে। আনন্দে ঘুুমিয়ে থাকুন'। এইরকম পরিস্থিতি চলতে থাকলে মানুষের অস্তিত্ব সংকটের মুখে পড়বে বলে মনে করছেন পরিচালক রাজ চক্রবর্তী। টুইটারে রাজ চক্রবর্তী লিখেছেন, 'এইভাবে লড়াই করতে থাকলে আর মানুষ থাকবে না.. শুধু মন্দির আর মসজিদই পড়ে থাকবে'।