অক্ষয় গুপ্তর অভিযোগ ছিল, পীযুষ সাহা নাকি তাঁর থেকে প্রথমে ১ কোটি ৫০ লক্ষ টাকা চেয়েছিলেন। যার মধ্যে ২০ লক্ষ টাকা তিনি দিতে পেরেছিলেন। পরে ছবিও হয়নি, টাকাও ফেরত পাননি। এমনকি তাঁর মায়ের ক্যানসার ধরা পড়ার পর, তিনি সেটা পীযুষ সাহাকে জানানোর পরও টাকা পাননি। তাই একপ্রকার বাধ্য হয়েই তিনি FIR করেছিলেন।
প্রযোজক পীযুষ সাহা- অভিযোগকারী অক্ষয় গুপ্ত
হিরো বানানোর নামে ২০ লক্ষ টাকা প্রতারণার অভিযোগ উঠেছিল টলিপাড়ার নামী প্রযোজক পীযুষ সাহার বিরুদ্ধে। ২০২২-এর নভেম্বরে তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছিলেন বীরভূমের বাসিন্দা অক্ষয় গুপ্ত। তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতেই চলতি বছরের মে মাসে গ্রেফতার করা হয় পীযুষ সাহাকে। বেশকিছুদিন পুলিশি হেফাজতে ছিলেন পীযুষ সাহা। আপাতত তিনি জামিনে মুক্ত। এবার গ্রেফতারির ঘটনা, তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা প্রতারণার অভিযোগ নিয়ে অবশেষে মুখ খুললেন প্রযোজক পীযুষ সাহা।
হিন্দুস্তান টাইমস বাংলাকে পীযুষ সাহা বলেন, ‘আমি চুরি করিনি বা ঘুষও নিই নি। অক্ষয় আমার অভিনয় ওয়ার্কশপের ছাত্র ছিল। আমার প্রযোজনায় ’হরি ঘোষের গোয়াল' ছবিটা দেখে অক্ষয় ও ওঁর মা এসে রীতিমত আমার হাতেপায়ে ধরেছিলেন ছেলেকে হিরো বানানোর জন্য। আমি জানিয়ে দিই যে এত টাকা আমার নেই। তাছাড়া আগে বহু মানুষকে সুযোগ দিয়েছি এখন আর পারব না। তখন অক্ষয় নিজেই আমায় জানায় সে ২০লক্ষ টাকা দিতে পারবে। আমি স্পষ্ট জানাই এই টাকায় ছবি হয় না। সে ও নাছোড়বান্দা হওয়ায় আমি আশ্বাস দিই, এইকম আরও দুজন যদি টাকা দেয় তাহলে আমিও কিছু টাকা দিয়ে তিনজনের চরিত্রের ওপর ভিত্তি করে একটা থ্রিলার বানাব। সেক্ষেত্রে অক্ষয়ও যৌথ প্রযোজনার অংশীদার হবে। লভ্যাংশের টাকা থেকে একটা ভাগ পাবে। সেই মর্মে আমাদের আইনি চুক্তিও হয়। যেখানে এটাও স্পষ্ট উল্লেখ ছিল যে অক্ষয় গুপ্ত আমাদের প্রোডাকশনের এক্সক্লুসিভ আর্টিস্ট ও সে এই মুহূর্তে অন্য কোনও ছবিতে কাজ করতে পারবে না। তারপর আমি স্ক্রিপ্ট রাইটার, মিউজিক ডিরেক্টর, ও টেকনিশিয়ানদের বুক করি। তারপরই লকডাউন হয়। দু'বছর কাজ স্থগিত ছিল।