আচমকাই অসুস্থ অভিনেতা ভাস্বর চট্টোপাধ্যায়, পরিস্থিতি এতটাই বাড়াবাড়ির পর্যায়ে পৌঁছায় যে হাসপাতালে ভর্তিও হতে হয়েছিল অভিনেতাকে। তবে এখন ভালো আছেন অভিনেতা। সফল অস্ত্রোপচারের পর পিত্তথলি পাথরমুক্ত। আজই (বৃহস্পতিবার) বাড়ি ফিরেছেন হাসপাতাল থেকে। কিন্তু আগামী কয়েক দিন খুব নিয়ম মেনে চলতে হবে। জানা গিয়েছে, ঘটনার সূত্রপাত হয় ১৪ আগস্ট রাতে। আচমকা পেটে প্রচণ্ড ব্যথা অনুভব করেন ভাস্বর। শুরুতে ভেবেছিলেন হজমের সমস্যা হয়েছে, কিন্তু তাতেও ব্যথার নাম নেই, অবশেষে হাসপাতালে ছোটেন ভাস্বর। আলট্রা সোনোগ্রাফি থেকে জানা যায়, ভাস্বরের পিত্তথলিতে পাথর রয়েছে। পরবর্তীতে চিকিৎসক সুমিত চৌধুরীর তত্ত্বাবধানে ল্যাপ্রোস্কপিক অস্ত্রোপচার করা হয় অভিনেতার। চিকিৎসক জানিয়েছেন, ভাস্বরের পিত্তথলিতে পচন ধরতে শুরু করেছিল। অস্ত্রোপচার সময়মতো না করলে প্রাণ সংশয় পর্যন্ত হতে পারত! তেল-মশলাযুক্ত খাবার খাওয়া বারণ ভাস্বরের, মাটিতে বসা বা ভারী কাজ করা যাবে না। কিছুদিন বিশ্রাম নিয়ে আগামী সোমবার থেকে শ্যুটিংয়ে ফেরবার পরিকল্পনা করছেন অভিনেতা। এই কঠিন সময়ে ইন্ডাস্ট্রির মানুষজন যেভাবে তাঁর খোঁজ খবর নিয়েছেন তাতে আপ্লুত ভাস্বর। এক সাক্ষাত্কারে বলেছেন, ‘এই জন্যেই বলে ইন্ডাস্ট্রি একটি পরিবার’। প্রাক্তন স্ত্রী নবমিতা ও তাঁর পরিবারও ভাস্বরের খোঁজখবর নিয়েছেন, বলে জানান অভিনেতা। বিয়ে ভাঙলেও আজও অটুট ভাস্বর-নবমিতার বন্ধুত্ব।গত বছর অগস্টে সাড়ে ৬ বছরের বিবাহিত জীবনে খাতায়-কলমে ইতি টানেন ভাস্বর-নবমিতা।সেই খবর যদিও সামনে আসে নভেম্বর মাসে। মহানায়ক উত্তম কুমারের নাতনি নবমিতা চট্টোপাধ্যায় ছিলেন ভাস্বরের দ্বিতীয় স্ত্রী। তবে বিয়ে ভাঙলেও একসঙ্গে হামেশাই দেখা যায় তাঁদের। নবমিতার ভাই গৌরবের বিয়ের সব অনুষ্ঠানেও হাজির ছিলেন ভাস্বর। প্রাক্তন শ্বশুরবাড়ির সঙ্গেও তাঁর যোগাযোগ অটুট।