ভোটপ্রচারে পশ্চিমবঙ্গে এসে ফের একবার সন্দেশখালি ইস্যুতে তৃণমূলকে আক্রমণ করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। রবিবার পুরুল্যায় বিজেপি প্রার্থী জ্যোতির্ময় সিং মাহাতোর সমর্থনে ভোট প্রচারে এসে মোদী বলেন, শাহজাহাঁকে বাঁচাতে তৃণমূলের লোকেরা সন্দেশখালিদের বোনেদেরই দোষারোপ করছে।
আরও পড়ুন: ভোটের মধ্যে তৎপর কেন্দ্রীয় এজেন্সি, BJP কর্মী খুনের তদন্তে পূর্ব মেদিনীপুরে NIA
পড়তে থাকুন: ‘পিসি-ভাইপোকে ছাড়ব না…হারিয়ে দেখাব,’ জেল থেকে বেরিয়েই বিস্ফোরক সন্দেশখালির মাম্পি
এদিন প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সন্দেশখালিতে যে পাপ হয়েছে তাতে গোটা বাংলার বোনেদের ভাবতে বাধ্য করেছে। SC – ST পরিবারের মহিলাদের তো তৃণমূলের লোকেরা মানুষ বলেই মনে করে না। নিজেদের শাহজাহাঁকে বাঁচাতে তৃণমূলের লোকেরা সন্দেশখালিদের বোনেদেরই দোষারোপ করছে। তাদের চরিত্র নিয়ে প্রশ্ন তুলছে। তাঁদের উদ্দেশে ওরা যে ধরণের ভাষার ব্যবহার করছে তার জবাব বাংলার প্রত্যেকটি কন্যা নিজের ভোটের মাধ্যমে তৃণমূলকে ধ্বংস করে দেবে।’
লোকসভা নির্বাচন চলাকালীন গত কয়েক সপ্তাহ ধরে ফের সন্দেশখালি ইস্যুতে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে রাজ্য রাজনীতি। ভাইরাল একটি ভিডিয়োয় দেখা যায়, সন্দেশখালিতে মহিলাদের টাকা দিয়ে ধর্ষণের ভুয়ো অভিযোগ করানো হয়েছে বলে সেই ভিডিয়োয় বলতে শোনা যায় তাঁকে। এর পর সন্দেশখালির এক অভিযোগকারিনীকে বলতে শোনা যায়, তাঁকে দিয়ে সাদা কাগজে সই করিয়ে ধর্ষণের ভুয়ো অভিযোগ দায়ের করিয়েছেন বিজেপিনেত্রী পিয়ালি দাস।
আরও পড়ুন: ‘জ্ঞানেশ্বরীর দায় নেবেন তো!’ ছত্রধর প্রসঙ্গে মমতাকে নিশানা শুভেন্দুর
তবে আন্দোলনকারীরা পালটা তৃণমূলের বিরুদ্ধে টাকা দিয়ে অভিযোগকারী মহিলাদের মুখ বন্ধ করার অভিযোগ করেছেন। তাঁদের দাবি, এর পিছনে রয়েছেন সন্দেশখালি তৃণমূল নেতা দিলীপ মল্লিক। তাঁর নেতৃত্বেই রাতের অন্ধকারে অভিযোগকারীনিদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে টাকার প্রস্তাব দেওয়া হচ্ছে। না মানলে হুমকি দেওয়া হচ্ছে তাদের। এই অভিযোগে গত রবিবার দিলীপ মল্লিককে মারধর করেন সন্দেশখালির প্রতিবাদী মহিলারা। তাদের অভিযোগ, পুলিশকে ব্যবহার করে সন্দেশখালির মহিলাদের আন্দোলনকে দমাতে চাইছে তৃণমূল কংগ্রেস।