রাত পোহালে আগামীকাল সপ্তম দফা তথা শেষ দফার লোকসভা নির্বাচন। গোটা দেশের সঙ্গে রাজ্যের তিনটি জেলার ৯টি কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ হবে। তার মধ্যে রয়েছে উত্তর ২৪ পরগনা জেলার দমদম লোকসভা কেন্দ্র। তবে এবার লোকসভার মতো বড় ভোটের ময়দানে খুব একটা সক্রিয় থাকতে দেখা যায়নি তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্রকে। কালারফুল সাজপোশাকের পাশপাশি দলের মধ্যে ভোকাল টনিকের জন্য তিনি খ্যাত। সেই কামারহাটির তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্রকে একেবারে অন্তিম পর্বে ফের সক্রিয় হতে দেখা গেল মদন মিত্রকে। কেন্দ্রীয় বাহিনীকে হুঁশিয়ার দেওয়ার পাশাপাশি ‘ওআরএস দাওয়াই’ দিলেন তৃণমূল বিধায়ক।
আরও পড়ুন: অসুস্থতা কাটিয়ে ভোটের ময়দানে মদন, দলীয় কর্মীদের চাঙ্গা করতে ‘ভোকাল টনিক’
অতীতের নির্বাচনগুলিতে মদনকে সক্রিয় থাকতে দেখা গেলেও লোকসভায় রাজনীতির নানা কর্মকাণ্ডে তাঁকে সেভাবে দেখা যাচ্ছিল না। অসুস্থতার জন্যই তাঁর এই অনুপস্থিতি। তবে শেষ দফায় ঠিক আগের মুহূর্তে বৃহস্পতিবার রাতে ফের পুরনো মেজাজে দেখা গেল মদনকে। এদিন তিনি বলেন, ‘কেন্দ্রীয় বাহিনী বলে আলাদা করলে হবে না। কোনও মানুষ যদি অসুস্থ হয়ে পড়ে, কোনও মানুষ যদি মনে করে তাদের ওআরএস চায়। আমি তাদের দেওয়ার পক্ষে কারণ সবার উপরে মানুষ সত্য।’
এরপরেই কেন্দ্রীয় বাহিনীকে হুঁশিয়ারি দিয়ে তিনি বলেন, ‘কেন্দ্রীয় বাহিনী যদি মনে করে লাঠি দিয়ে পেটাবে আর স্টেন গান দেখিয়ে বলবে ওআরএস দাও। তাই কি হয়! কেন্দ্রীয় বাহিনী ভদ্র ব্যবহার করুক সেটাই আমরা চায়। আর লাঠি চালানোর চেষ্টা করলে অযথা গায়ে হাত দিলে সেই লাঠি কেড়ে নেওয়ার ক্ষমতা তৃণমূলের আছে।’
উল্লখ্য, গত সপ্তাহে পানিহাটিতে ভোট প্রচারে গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে মমতার পাশে মদনকে দেখা গিয়েছিল। এর আগে বিভিন্ন ধরনের মন্তব্য করে খবরের শিরোনামে এসেছেন মদন মিত্র। আর এবার সপ্তম দফার নির্বাচনের আগে কেন্দ্রীয় বাহিনীকে আক্রমণ করে আবারও খবরে জায়গা করে নিলেন।
মদন আরও বলেন, ‘দমদম মানে দাওয়াই। আমি যদি বলি দমদম ধোলাই হবে, তাহলে সেটা বলা ভুল হবে। তৃণমূল কর্মীরা জানে কোন দাওয়াই দিতে হবে, কোন মিক্সচার কোথায় দিতে হবে।’ তিনি জানান, ভোটের দিন ওআরএস থাকবে। এর উত্তরে মদনকে কটাক্ষ করে রাজ্য বিজেপির মুখপাত্র শমিখ ভট্টাচার্য বলেন, ‘উনি যতই বলুন না কেন উনি শান্ত প্রকৃতির মানুষ। ওনার গান গাওয়ার শখ, গান করবেন। আনন্দের গান গান গাইবেন সেটা বিষাদের হবে না।’