আজ ভোটপঞ্চমীতে নানা অভিযোগ উঠতে শুরু করেছে। তার মধ্যে ইভিএম বিভ্রাট মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। সকাল থেকেই নানা বুথে ইভিএম বিভ্রাটের জেরে নাকাল হতে হচ্ছে মানুষজনকে। এই ইভিএম বিভ্রাটের জেরে ভোট ঠিকঠাক হবে? এই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। তার মধ্যে আবার এজেন্ট নিয়ে সমস্যা দেখা দিয়েছে। রক্তাক্ত হয়েছে আরামবাগ। তৃণমূল কংগ্রেস নেতাকে ধারাল অস্ত্র দিয়ে হামলা করার জেরে রক্ত ঝরেছে ভোট মরশুমে। তার সঙ্গে বোমাবাজির অভিযোগও রয়েছে। এই বিক্ষিপ্ত অশান্তি নিয়েই শুরু হয়েছে ভোটগ্রহণ–পর্ব।
এদিকে লোকসভা নির্বাচনের পঞ্চম দফার ভোটের আগে উত্তপ্ত হয়ে উঠল হুগলির আরামবাগ। আজ আরামবাগে ভোট চলছে। কিন্তু রবিবার বেশি রাতে তৃণমূল বিজেপি সংঘর্ষে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে আরামবাগের রাজহাটি এলাকায়। এই ঘটনায় দু’পক্ষের ১২ জন আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে দু’জন তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীর অবস্থা আশঙ্কাজনক। আরামবাগের মলয়পুর এক নম্বর এলাকার বালিয়া গ্রামের তৃণমূল কংগ্রেস নেতা শ্যামল রায়কে মারধর করার অভিযোগ উঠল বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। ধারালো অস্ত্র দিয়ে তাঁর মাথায় আঘাত করা হয়েছে বলেও অভিযোগ। শ্যামল রায়কে আশঙ্কাজনক অবস্থায় আরামবাগ মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: হোটেলে তল্লাশি চালিয়ে উদ্ধার বিপুল পরিমাণ টাকা, অভিযুক্ত বিজেপি নেতা অগ্নিমিত্রা ঘনিষ্ঠ
অন্যদিকে এই ঘটনায় তৎপর হয়েছে নির্বাচন কমিশন। এই ঘটনার বিস্তারিত রিপোর্ট চাওয়া হয়েছে। পাশাপাশি হুগলির পুলিশ সুপারকেও ঘটনাস্থলে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। তবে এখনও পর্যন্ত পঞ্চম দফার ভোটগ্রহণকে কেন্দ্র করে রাজ্যে কোথাও বড় কোনও অশান্তির খবর নেই। এছাড়া কালীপদ বাগ ও শ্যামল মালিক নামে দু’জন শ্যামল রায়কে উদ্ধার করতে গেলে তাঁদেরও মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। তাঁদেরও হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। হাওড়ার কাসুন্দিয়া বিদ্যালয়ে এজেন্টকে বসতে না দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। আবার বনগাঁ লোকসভা কেন্দ্রে বিজেপির এক বুথ এজেন্টকে মারধর করা হয়েছে বলে অভিযোগ।
এছাড়া পাঁচলায় ইভিএম খারাপের খবর মিলেছে। হাওড়ায় ইভিএম খারাপ হয়ে যাওয়ায় নাকাল হতে হয়েছে ভোটারদের। লম্বা লাইন পড়ে গিয়েছে। গরমের মধ্যে অবস্থা খারাপ হচ্ছে আমজনতার। ব্যারাকপুরেও ইভিএম বিভ্রাটের খবর এসেছে। লিলুয়ায় ভারতীয় স্কুলে ভোট বন্ধ হয়ে যায়। কারণ প্রিসাইডিং অফিসারকে চড় মারা হয়েছে বলে অভিযোগ। তবে শ্রীরামপুরের চাকুন্দি হাইস্কুলের ১৯৯ এবং ২০০ নম্বর বুথে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়কে ঢুকতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। তার জেরে কেন্দ্রীয় বাহিনীর সঙ্গে বচসায় জড়ালেন তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী। কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘বুথে ঢুকতে বাধা দিচ্ছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। বিজেপির কথায় কেন্দ্রীয় বাহিনী এই কাজ করছে।’