৪ জুন লোকসভা নির্বাচনের ভোট গণনার আগে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ১৫০ জন জেলাশাসক ও কালেক্টরকে ডেকেছিলেন, এই অভিযোগ করে সোশ্য়াল মিডিয়ায় পোস্ট করেছিলেন কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশ। তবে সেই দাবি আগেই খারিজ করে দিয়েছিল নির্বাচন কমিশন। এবার সেই সংক্রান্ত জবাব দেওয়ার জন্য সোমবার সন্ধ্যা সাতটা পর্যন্ত ডেডলাইন ঠিক করে দেওয়া হয়েছে।
চিঠিতে বলা হয়েছে, ‘আপনার অভিযোগ যে প্রায় ১৫০টি সংসদীয় কেন্দ্রের জেলাশাসক, যাঁরা রিটার্নিং অফিসার/ডিইও (রিটার্নিং অফিসার/জেলা নির্বাচন আধিকারিক) রয়েছেন, তাঁদের প্রভাবিত করার চেষ্টা করা হয়েছে।০২.০৬,২০২৪ তারিখের কমিশনের চিঠিতে উল্লিখিত হিসাবে, কোনও ডিএম আপনার অভিযোগ অনুসারে এমন কোনও অযৌক্তিক প্রভাবের কথা জানাননি। অতএব, কমিশন সময় বাড়ানোর জন্য আপনার অনুরোধ সরাসরি প্রত্যাখ্যান করছে,’ প্রবীণ কংগ্রেস নেতাকে লেখা তাঁর চিঠিতে বলেছেন কমিশনের সিনিয়র প্রিন্সিপাল সেক্রেটারি নরেন্দ্র এন বুটোলিয়া।
কয়েক ঘণ্টা আগে জয়রাম রমেশের অনুরোধের জবাবে বুতোলিয়ার চিঠি পাঠানো হয়। কংগ্রেস নেতা জানিয়েছেন, রবিবার নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে শুনানির সময় তাঁর দলের সহকর্মীরা তাঁদের উদ্বেগের কথা জানিয়েছেন। চিঠিতে রমেশ লিখেছেন, 'আমাদের উদ্বেগ নজরদারি এবং আমরা কর্মরত অফিসারদের পিঠে চাপিয়ে বিপদে ফেলতে পারি না।
রমেশ জানান, শনিবার এক্স-এর একটি পোস্টে তিনি প্রথম এই মন্তব্য করেন। নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে অভিযোগ নয়, বরং ক্ষমতাসীন সরকারের' সরকারী মেশিনারির অপব্যবহার এবং এমনকি ভয় দেখানোর' ‘সুস্পষ্ট নথিভুক্ত এবং উচ্চতর আচরণের’ পরিপ্রেক্ষিতে এই ধরনের অনিয়মের বিরুদ্ধে সুরক্ষার অনুরোধ ছিল।
১৬ মার্চ লোকসভা নির্বাচন ঘোষণার পর এই প্রথম সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব কুমার বলেন, গুজব ছড়ানো এবং সবাইকে সন্দেহ করা ঠিক নয়। কেউ কি সবাইকে প্রভাবিত করতে পারে? (জেলা ম্যাজিস্ট্রেট/রিটার্নিং অফিসার) সবাই? কেউ কি ৫০০-৬০০ জনকে প্রভাবিত করতে পারে? কারা করেছে বলুন তো। যে এটা করেছে আমরা তাকে শাস্তি দেব। ভোট গণনার আগে বিস্তারিত জানাতে হবে। গুজব ছড়িয়ে সবাইকে সন্দেহ করা ঠিক নয়।
এদিকে এই সংক্রান্ত জবাব দেওয়ার জন্য এক সপ্তাহ সময় চেয়েছিলেন জয়রাম রমেশ। তবে কমিশন সাফ জানিয়ে দিয়েছে এই সংক্রান্ত সময় দেওয়া তাদের পক্ষে সম্ভব নয়। সোমবার সন্ধ্য়ার মধ্যে এনিয়ে জবাব দিতে হবে।
এদিকে মনে করা হচ্ছে ভোটের গণনার আগের দিন কমিশনের এই কড়া মনোভাবের জেরে আরও চাপে পড়লেন জয়রাম রমেশ।