ভোট মিটলেই সব খেলা শেষ তেমনটা তো নয়। ভোট মিটলে অনেক জায়গায় আবার নতুন করে খেলা শুরু হয়। সেক্ষেত্রে ভোটের পরে যাতে নতুন করে অশান্তি শুরু না হয় সেকারণে এবার ভোটের পরেও কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকবে বাংলায়। ভোট মিটলেও বাংলায় থাকবে কেন্দ্রীয় বাহিনী। সব মিলিয়ে এবার ৪০০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী বাংলায় থাকবে। মূলত ভোটের পরে যাতে কোথাও কোনও অশান্তি না হয় সেটা নিশ্চিত করার জন্য় কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকছে। এই ৪০০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনীর মধ্যে ১১৫ কোম্পানি থাকবে সিআরপিএফ, ১১৮ কোম্পানি বিএসএফ থাকবে, ৭১ কোম্পানি সিআইএসএফ থাকবে। আর আটিবিপি থাকবে ৩৬ কোম্পানি। সেই সঙ্গেই এসএসবি থাকবে ৬০ কোম্পানি।
মূলত ভোট পরবর্তী ক্ষেত্রে এর আগেও বাংলায় অশান্তি হয়েছে। সেই অশান্তি রুখতে রেখে দেওয়া হবে কেন্দ্রীয় বাহিনীকে।
১ জুন শেষ দফার ভোট। এরপর ৪ জুন ভোট গণনা করা হবে। ভোটের ফলাফল প্রকাশিত হবে ৪ জুন। তারপরে ফের অশান্তির সম্ভাবনা থেকেই যাবে। ভোট পরবর্তী হিংসার একাধিক ঘটনা এর আগে বাংলায় হয়েছে। সেকারণে প্রচুর কেন্দ্রীয় বাহিনী বাংলায় মোতায়েন করা থাকবে।
সূত্রের খবর, মূলত বিরোধীদের তরফে দাবি করা হয়েছিল যাতে ভোটের পরেও থেকে যায় কেন্দ্রীয় বাহিনী। সেই দাবি মেনেই ৪০০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী ভোটের পরেও থেকেও যাবে। এমনকী গণনার দুদিন পরেও থাকবে বাহিনী। ৬ জুন পর্যন্ত কেন্দ্রীয় বাহিনী বাংলায় থাকবে বলে খবর।
সব মিলিয়ে খবর হল যে ফল ঘোষণার দুদিন পরেও কেন্দ্রীয় বাহিনী বাংলায় থাকবে। এদিকে ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় বাহিনী সম্পর্কে নানা কথা বলতে শুরু করেছেন তৃণমূল নেতৃত্ব। তবে ইতিমধ্য়েই শনিবারের ভোটকে শান্তিপূর্ণ করতে বিভিন্ন এলাকায় টহল দিচ্ছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। একের পর এক বুথে চলে গিয়েছে বাহিনী। কুইক রেসপন্স টিমও তৈরি হয়েছে। বিভিন্ন জায়গায় চলছে নাকা চেকিং। কোথাও গণ্ডগোল হলেই কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা তৎপর হচ্ছেন। তবে শেষ পর্যন্ত শনিবারের ভোট কতটা শান্তিপূর্ণ হবে তা নিয়ে প্রশ্নটা থেকেই গিয়েছে।
তবে এরপরেও স্বস্তি একটাই যে ভোট গণনার দুদিন পরেও বাংলায় থাকবে কেন্দ্রীয় বাহিনী। সেক্ষেত্রে ভোট পরবর্তী হিংসার প্রবণতা কোথাও থাকলে, ভোটের ফলাফল বের হওয়ার পরে কোথাও হিংসার প্রবণতা থাকলে তা দমাতে সক্রিয় হবে বাহিনী। এমনটাই আশা করছেন অনেকে।