Super Cup venue: ভারতের শীর্ষ দুই বিভাগের ফুটবল দলগুলোকে নিয়ে আয়োজিত হবে সুপার কাপ। মরশুমের শেষে এই টুর্নামেন্টটি হওয়ার কথা। এবং চ্যাম্পিয়ন দল এশিয়ান প্রতিযোগিতায় খেলার সুযোগ পাবে। এটা এপ্রিল মাসে অনুষ্ঠিত হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে তিনটি রাজ্য ফুটবল সংস্থা অল ইন্ডিয়া ফুটবল ফেডারেশনকে (AIFF) জানিয়েছে যে তারা এই টুর্নামেন্ট আয়োজন করতে আগ্রহী।
প্রাথমিকভাবে AIFF পরিকল্পনা করেছিল যে এই টুর্নামেন্ট ইন্ডিয়ান সুপার লিগ (ISL) এবং আইলিগের সঙ্গে একসঙ্গে চলবে, কিন্তু ঠাসা ক্যালেন্ডারের কারণে ফাঁকা সময় পাওয়া সম্ভব হয়নি। এখন ফেডারেশন এটিকে নকআউট ফরম্যাটে আয়োজনের পরিকল্পনা করছে এবং আয়োজক ভেন্যুর বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আগামী সপ্তাহে ঘোষণা করা হতে পারবে বলে মনে করা হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার TOI-কে বলেন AIFF-এর সাধারণ সম্পাদক অনিলকুমার পি বলেন, ‘আমাদের কাছে সুপার কাপ আয়োজনের জন্য তিনটি বিকল্প রয়েছে – পশ্চিমবঙ্গ, ওড়িশা এবং গোয়া। আমরা সংশ্লিষ্ট দলকে প্রয়োজনীয় নথি পাঠিয়েছি এবং তাদের কাছ থেকে প্রতিক্রিয়া পাওয়ার অপেক্ষায় আছি। শীঘ্রই আমরা চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেব।’
আরও পড়ুন … Virat Kohli Record: ১৫৬ ODI ক্যাচ! আজহারউদ্দিনের বিরাট রেকর্ড ছুঁয়ে ফেললেন কোহলি
কলকাতা নতুন বিকল্প হিসেবে উঠে এসেছে, কারণ রাজ্যের ফুটবলের পরিচালন সংস্থা ইন্ডিয়ান ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন (IFA), AIFF-এর কাছ থেকে কোনও ভর্তুকি ছাড়াই এই টুর্নামেন্ট আয়োজন করতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। প্রাথমিকভাবে গোয়া ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন (GFA) আয়োজনে আগ্রহ দেখালেও, তারা নিজেদের অর্থ খরচ করতে চায়নি। তবে AIFF যদি প্রস্তাবিত ২ কোটি টাকার বাজেটের কাছাকাছি কোনও ভর্তুকি দিতে পারে, তাহলে গোয়া আয়োজনের সুযোগ লুফে নেবে বলে সূত্র জানিয়েছে।
আরও পড়ুন … পাকিস্তানের বিরুদ্ধেও একই মানসিকতা থাকবে: বাংলাদেশের ৫ উইকেট শিকারের পরে শামির হুঙ্কার
অন্যদিকে, ওড়িশাও সম্ভাব্য আয়োজক হিসেবে বিবেচিত হতে পারে। তবে উত্তরাখণ্ড, যেখানে সম্প্রতি ৩৮তম জাতীয় ক্রীড়া প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে এবং যেখানে ৬৫০ কোটিরও বেশি ব্যয়ে অবকাঠামো উন্নয়ন করা হয়েছে, তা বাদ পড়েছে। এর মূল কারণ হল, হালদওয়ানির ইন্দিরা গান্ধী আন্তর্জাতিক স্পোর্টস স্টেডিয়াম সম্প্রচার সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় মানদণ্ড পূরণ করতে পারেনি। ফেডারেশনের এক কর্তা বলেছেন, ‘উত্তরাখণ্ড সরকার সুপার কাপ আয়োজনের বিষয়ে খুবই আগ্রহী দেখিয়ে ছিল, কিন্তু স্টেডিয়ামের একপাশ খোলা থাকায় সম্প্রচার নিয়ে কিছু সমস্যা ছিল।’
AIFF এখনও সুপার কাপের ভেন্যু ও তারিখ চূড়ান্ত না করায় কিছু মহলে টুর্নামেন্ট বাতিল হওয়ার গুঞ্জন ছড়িয়েছে। বিশেষ করে, AIFF ইতিমধ্যেই এশিয়ান ফুটবল কনফেডারেশনের (AFC) নির্ধারিত ২৭ ম্যাচের শর্ত (ISL ও ডুরান্ড কাপ মিলিয়ে) পূরণ করেছে। তবে ফেডারেশনের শীর্ষ কর্মকর্তারা নিশ্চিত করেছেন যে সুপার কাপ এই মরশুমে অবশ্যই অনুষ্ঠিত হবে।
আরও পড়ুন … Concussion substitute controversy: রবি বিষ্ণোইয়ের বদলে হেমাঙ্গ প্যাটেল কেন? গুজরাটের বিরুদ্ধে কেরলের অভিযোগ
ফেডারেশনের কর্তা বলেছেন, ‘সুপার কাপ বাতিল হওয়ার কোনও প্রশ্নই নেই। এটি ভারতের শীর্ষ কাপ প্রতিযোগিতা, যার বিজয়ী দল এশিয়ান টুর্নামেন্টে খেলার সুযোগ পায়। এই টুর্নামেন্ট নিয়ে যথেষ্ট আগ্রহ রয়েছে। AIFF-কে নিয়ে অনেকে ভুল তথ্য ছড়ানোর চেষ্টা করছে, তবে আমাদের উল্লেখ করা উচিত যে আমরা এই মরশুমে ২১টি লিগ ও ১৮০০টিরও বেশি ম্যাচ আয়োজন করেছি, যা এর আগে কখনও হয়নি।’
সুপার কাপের শেষ আসর অনুষ্ঠিত হয়েছিল ২০২৪ সালের জানুয়ারিতে, যখন এশিয়ান কাপ চলছিল। সেই আসরে ১৬টি দল, যার মধ্যে আইলিগের চারটি দল ছিল, প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে। ইস্টবেঙ্গল ফাইনালে ওড়িশা এফসি-কে অতিরিক্ত সময়ে হারিয়ে AFC চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ২-এর প্রাথমিক রাউন্ডে খেলার যোগ্যতা অর্জন করেছিল।