বিশাখাপত্তনমে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় টেস্টের দলে কাকে রাখা হবে- সরফরাজ খান, নাকি রজত পতিদার? ভারতের ব্যাটিং কোচ বিক্রম রাঠোরও এই দুই তারকার মধ্যে একজনকে বেছে নেওয়াটা যে চ্যালেঞ্জের হবে, সেটা স্বীকার করে নিয়েছেন। শুক্রবার থেকে শুরু হওয়া আসন্ন ম্যাচটি তাৎপর্যপূর্ণ হতে চলেছে। কারণ ভারত হায়দরাবাদে প্রথম টেস্টে হারার পর, বিশাখাপত্তনমে সিরিজে সমতা ফেরাতে মরিয়া থাকবে।
প্রথম টেস্টের পর ভারত বড় ধাক্কা খেয়েছে। চোটের কারণে অলরাউন্ডার রবীন্দ্র জাদেজা এবং কেএল রাহুল দ্বিতীয় টেস্ট থেকে বাদ পড়েছেন। এছাড়াও, বিরাট কোহলিও দ্বিতীয় টেস্টে নেই। স্বাভাবিক ভাবেই দলের উদ্বেগ আরও বেড়ে গিয়েছে।
যে কারণে নির্বাচকেরা আনক্যাপড খেলোয়াড় সরফরাজ খান, সৌরভ কুমার এবং ওয়াশিংটন সুন্দরকে দলে নেন। রজত পতিদারও দলে জায়গা পান। প্লেয়িং ইলেভেনে সরফরাজ বা পতিদারের মধ্যে একজনকে অন্তর্ভুক্ত করার সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জিং বলে বর্ণনা করেছেন বিক্রম রাঠোর।
আরও পড়ুন: বিরাটের মা অসুস্থ নন, গুজব উড়িয়ে জানালেন প্রাক্তন অধিনায়কের দাদা
একটি সংবাদিক সম্মেলনে রাঠোর বলেছেন, ‘এটি একটি কঠিন সিদ্ধান্ত হতে চলেছে। ওরা দলে বড় মূল্য যোগ করতে পারে। নিঃসন্দেহে ওরা দুর্দান্ত খেলোয়াড়। আমরা দেখেছি যে, ওরা গত কয়েক বছরে ঘরোয়া ক্রিকেটে কতটা ভালো পারফরম্যান্স করেছে। তাই এই ধরনের উইকেটে, আমি মনে করি, ওরা সত্যিই দলের জন্য অনেক মূল্য যোগ করতে পারে।’
তিনি যোগ করেছেন, ‘আমাদের যদি ওদের মধ্যে থেকে মাত্র এক জনকে বেছে নিতে হয়, অবশ্যই এটি কঠিন সিদ্ধান্ত হবে। কিন্তু এই সিদ্ধান্ত রাহুল দ্রাবিড় এবং রোহিত শর্মা নেবেন।’
রাঠোরের মতে, পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখেই চূড়ান্ত করা হবে একাদশ। তিনি বলেছেন, ‘পিচ কেমন হবে, সেটা ভবিষ্যদ্বাণী করা কঠিন। এখানে বল ঘুরবে, প্রথম দিন থেকে হয়তো নয়, কিন্তু শেষ পর্যন্ত বল ঘুরবে। উইকেটটি দেখে আপতত তাই মনে হয়েছে।
আরও পড়ুন: ICC Test Ranking: শীর্ষস্থান ধরে রাখলেন অশ্বিন, বুমরাহ উঠলেন চারে,কোহলিও বড় লাফ দিলেন, জো রুটেরও উল্লেখযোগ্য উত্থান ঘটল
হায়দরাবাদে ম্যাচ হারের পরে, বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ (WTC) টেবলের পঞ্চম স্থানে নেমে গিয়েছে টিম ইন্ডিয়া। যে কারণে বিশাখাপত্তনমে আসন্ন টেস্টে কামব্যাক করতে আগ্রহী দলটি। রাঠোর জোর দিয়েছেন যে, কেবল পুনরুদ্ধারের দিকে মনোনিবেশ করার বাইরে, খেলোয়াড়দের আগের ম্যাচ থেকে শিক্ষা নিয়ে এগিয়ে যাওয়াকে অগ্রাধিকার দিতে হবে। দলের লক্ষ্য হওয়া উচিত, সিরিজে ফিরে আসা এবং বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে তাদের অবস্থান উন্নত করা।