গাব্বায় চলছে ভারত বনাম অস্ট্রেলিয়ার তৃতীয় টেস্ট ম্যাচ। বর্ডার গাভাসকর ট্রফি আধুনিক সময়ের অ্যাসেজের মতোই জনপ্রিয়, কারণ ভারতীয় দল দুর্দান্ত টক্কর দেয় অজিদের। ইংল্যান্ডে হোক বা অস্ট্রেলিয়ায়, প্যাট কামিনসরাই বেশিরভাগ সময় দাপট দেখিয়ে থাকেন, কিন্তু কোহলিরা সেদেশে গেলেই পাল্টে যায় চিত্রটা। ব্যাকফুটে চলে যায় খোদ অজিরাই।
আরও পড়ুন-নতুন বছরে বাগান সমর্থকদের উপহার সঞ্জীব গোয়েঙ্কার! হায়দরাবাদ FC ম্যাচের টিকিট ফ্রি
লেম্যানের প্রশ্নের মুখে জর্জ বেলি-
অস্ট্রেলিয়া দল বর্ডার গাভাসকর সিরিজে এখনও পর্যন্ত এগিয়ে যেতে পারেনি। সুযোগ যদিও রয়েছে এই টেস্টে, তবে ভারতও লড়ছে। এর মধ্যে জোশ হেজেলউডও চোট পেয়ে ছিটকে গেলেন টেস্ট থেকে। এসব দেখেই অস্ট্রেলিয়ার প্রাক্তন বিশ্বকাপজয়ী ক্রিকেটার কথা কোচ ড্যারেন লেম্যানই প্রশ্ন তুলছেন ক্রিকেটারদের গড় বয়স নিয়ে। প্রশ্নের মুখে নির্বাচক প্রধান জর্জ বেলিও।
আরও পড়ুন-বুমরাহকে বর্ণবিদ্বেষী মন্তব্য প্রাক্তন ইংরেজ তারকার? বাবা কলকাতার ছেলে ছিলেন!
অধিকাংশ ক্রিকেটারই ৩০র ওপর-
উসমার খোয়াজা কদিন পরই পা দেবেন ৩৮ বছরে, ৩৭ বছর বয়স নাথান লিয়নের। স্টার্কের ৩৪, হেজেলউডের ৩৩। এরা প্রত্যেকেই আগামী অ্যাসেজে খেলতে চেয়েছেন। কদিন আগে তো ডেভিড ওয়ার্নারও বলে বসেছেন তিনি সিডনিতে অ্যাসেজের একটি ম্যাচ খেলে অবসর নিতে চান। এই সব দেখেই ক্রিকেটারদের সঙ্গে মধুর সম্পর্ক রাখতে গিয়ে অস্ট্রেলিয়ার ক্ষতি করে দিচ্ছেন না তো নির্বাচক প্রধান জর্জ বেলি, এই প্রশ্নই তুলছেন লেম্যান।
আরও পড়ুন-সিরাজ-আকাশদের ব্যর্থতার দিনেও উজ্জ্বল বুমরাহ! বোলারদের ব্যর্থতা ঢাকতে হেডের প্রশংসায় মর্কেল…
ক্রিকেটারদের গড় বয়স নিয়ে প্রশ্ন-
অস্ট্রেলিয়ার বাঁহাতি প্রাক্তন ব্যাটারের মতে, ‘অনেক ক্রিকেটারকেই আমরা দেখতে পাচ্ছি দীর্ঘদিন খেলে যাচ্ছে দল থেকে বাদ পড়ার আগে কিংবা অবসর নেওয়ার আগে। আমার প্রশ্ন, নির্বাচকরা কি এতটাই নরম যে তাঁদের নিষেধ করতে পারছে না? ’। এক্ষেত্রে তাঁর তীর জর্জ বেলির দিকে, কারণ ২০২০-২১ সালের করোনার সময় দলের সঙ্গে একসঙ্গে থাকার কারণে ক্রিকেটারদের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক এতটাই ভালো হয়ে গেছে, যে তাঁর পক্ষে ক্রিকেটারদের বিরুদ্ধ কঠিন পদক্ষেপ নেওয়া কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে বলে মনে করছেন লেম্যান।
আরও পড়ুন-ওয়ার্নারের স্লেজিংয়ে ভয় পাননি! উল্টে দ্বিগুন স্লেজিং করেন পূজারা! ফাঁস করলেন রহস্য…
পুরনো কথা মনে করালেন লেম্যান-
লেম্যান মনে করিয়ে দিচ্ছেন ২০০৪-০৫ সালের পাকিস্তান সিরিজে বক্সিং ডে টেস্টের পরই তাঁকে নির্বাচকরা জানিয়ে দিয়েছিল, তাঁকে দল থেকে বাদ দেওয়া হবে। লেম্যান নিজেই স্বীকার করছেন, ‘ওই সময় আমি শোয়েব আখতারের ১৫০ কিমি গতিবেগের বল খেলার জন্য তৈরি ছিলাম নয়। আমি হয়ত বছর দেড়েক মতো বেশি খেলেছি। শোয়েবকে খেলতে গিয়ে আমি আমার পরিবার, সন্তানদের কথা ভাবতাম। ও আমার ভয় ধরিয়ে দিয়েছিল। যখন আমার পরিবর্ত হিসেবে শেন ওয়াটসনের কথা বলা হয়, তখন আমি বলেছিলাম ধন্যবাদ ’।