মাস্কের আড়ালেও হাসি চাপা পড়ছিল না। মনে হচ্ছিল যেন কিছুই হয়নি। পাশাপাশি বসলেন। হাত মেলালেন দু'জনে। অথচ মাসখানেক আগেই মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট ও প্রাক্তন উপ-মুখ্যমন্ত্রী সচিন পাইলটের মধ্যে চূড়ান্ত নাটক দেখেছিল রাজস্থান। করোনাভাইরাস মহামারীর মধ্যেই ‘রিসর্ট রাজনীতি’ চরমে উঠেছিল। করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের পরিবর্তে তখন বিধায়ক ‘লুকিয়ে’ রাখা ছিলই দু'পক্ষের মূল লক্ষ্য। মাঝেমধ্যেই বিধায়কদের ব্যাডমিন্টন খেলা, ব্যায়াম করা, একসঙ্গে সিনেমা দেখার ছবি সামনে আসছিল। সঙ্গে মাঝেমধ্যেই নয়া হোটেলে গিয়ে উঠছিলেন। আর সেই একমাসের বেশি সময় ধরে চলা চূড়ান্ত নাটকের পর বৃহস্পতিবার প্রকাশ্যে সামনে আসেন গেহলট ও পাইলট। মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবনে যান প্রাক্তন উপ-মুখ্যমন্ত্রী। তারপর ক্যামেরার সামনে দাঁড়িয়ে ‘মৈত্রী’-র পোজ দিলেন। দেখে কে বলবে, জুলাইয়ের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে গেহলট ও পাইলটের মধ্যে চূড়ান্ত টানাপোড়েন চলছিল। পাইলটকে তো ‘নিকম্মা’-ও বলে দেন গেহলট। তাতে ‘কষ্ট’-ও পান পাইলট। কিন্তু রাজস্থান বিধানসভা শুরু হওয়ার আগেরদিন সেই কষ্ট-দুঃখ সব থর মরুভূমিতে মিশে গেল।