
Betvisa
6.88% Weekly Cashback on 2025 IPL Sports
কম্পট্রোলার অ্যান্ড অডিটর জেনারেল অফ ইন্ডিয়ার রিপোর্টে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের বিরুদ্ধে একের পর এক চাঞ্চল্য়কর অভিযোগ করা হয়েছে। এর জেরে মমতার সরকার পরিচালনার 'পদ্ধতি' কার্যত প্রশ্নের মুখে। এই আবহে মুখ খুলল রাজ্যের শসকদল তৃণমূল কংগ্রেস। প্রসঙ্গত, কয়েকদিন আগে ২০০২-০৩ সাল থেকে ২০২০-২১ সাল পর্যন্ত সময়কালের হিসেবের ভিত্তিতে পশ্চিমবঙ্গকে নিয়ে নথি প্রকাশ করেছে সিএজি। তা নিয়ে বিগত দিনে রাজনৈতিক চাপানউর শুরু হয়েছে। সেই রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, ২০১১ সালে রাজ্যে ক্ষমতায় আসার পর থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত কেন্দ্রের থেকে পাওয়া ১ লাখ ৯৪ হাজার কোটি টাকা খরচের কোনও শংসাপত্র (উটিলাইজেশন সার্টিফিকেট) দিতে পারেনি তৃণমূল সরকার। আবার এও বলা হয়েছে, মমতার জনপ্রিয় সব 'শ্রী', 'সাথী' প্রকল্প চালাতে বাজেট বহির্ভূত ভাবে বিভিন্ন সরকারি সংস্থার মাধ্যমে ধার নেওয়া হচ্ছে। পরে সেই ধার শোধ করতে সরকার আবার ধার নিচ্ছে। এতে ঋণের ফাঁদে পড়ছে পশ্চিমবঙ্গ। অর্থনৈতিক ভাবে রাজ্য এগোতে পারছে না। এই সব অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে এবার সিএজি রিপোর্টকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে আখ্যা দিল তৃণমূল। (আরও পড়ুন: মোদীকে 'বা*' বলেছেন মমতা? CM-এর পোস্টারে ঢালল মধু রাহুলকে 'গা*' বলা শুভেন্দুর দল)
আরও পড়ুন: 'শ্রী'-'সাথীদের' চক্করে হতশ্রী দশা রাজকোষের, বাজেটের বাইরে গিয়ে ঋণ বাংলার: CAG
দলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ অভিযোগ করেছেন, বিজেপির নির্দেশেই রাজনৈতিক ইস্যু তৈরি করেছে সিএজি। এদিকে তাঁর অভিযোগ, 'বাম জমানার' দায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার নেবে না। যদিও সিএজি রিপোর্ট অনুযায়ী, বাংলা মোট ২ লক্ষ ২৯ হাজার ৯৯ কোটি টাকা খরচের শংসাপত্র জমা দেয়নি। এর মধ্যে বাম জমানার হিসেব মেলেনি ৩৪ হাজার ৮৮০ কোটি টাকার। বাকি যে ১ লাখ ৯৪ হাজার টাকার শংসাপত্র মেলেনি, তা তৃণমূল সরকারের সময়কার। এদিকে রিপোর্টে এও দাবি করা হয়েছে, এই ১ লাখ ৯৪ হাজার কোটির মধ্যে থেকে ৪৯.৫ শতাংশ অর্থের শংসাপত্র বকেয়া ২০১৮-২১, এই তিন বছরের।
আরও পড়ুন: ১.৯৪ লক্ষ কোটির ‘হিসেব’ নেই, সিএজি রিপোর্টে মমতা সরকারের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক দাবি
এদিকে সিএজি রিপোর্ট সামনে আসতেই শুভেন্দু অভিযোগ করেছেন, ক্ষমতা থেকে যাওয়ার আগে রাজ্যেকে অর্থনৈতিক ব্যবস্থাকে সম্পূর্ণ ধ্বংস করে রেখে যেতে চান মমতা। তিনি দাবি করেন, ১০০ দিনের কাজের বকেয়া শোধ করতে ৭০০০ কোটি টাকা ঋণ নেওয়ার পরিকল্পনা করেছে রাজ্য সরকার। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যকে রসাতলে পাঠানোর জন্য এবং রাজ্যের অর্থনৈতিক অবস্থাকে ধ্বংস করার জন্য ঋণ নিচ্ছেন। শুভেন্দুর অভিযোগ, '১০০ দিনের কাজে শ্রমিকদের বকেয়া নয়, ঠিকাদারদের ভুয়ো বিল শোধ করা অগ্রাধিকার মমতার সরকারের কাছে। এটা নির্বাচনের আগে মেটেরিয়াল পেমেন্টের নামে তৃণমূলের কাটমানি, ঘুষ। নির্বাচনী তহবিল এবং এই ঠিকাদারদেরকে দিয়ে গ্রামাঞ্চলে ভোট নিয়ন্ত্রণ করা এবং মদ-মাংসের মোচ্ছব করে যাতে লোকসভায় কোনভাবে অস্তিত্ব রক্ষার চেষ্টা।'
6.88% Weekly Cashback on 2025 IPL Sports