সোশ্যাল মিডিয়ায় আপত্তিকর পোস্ট করার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে শর্মিষ্ঠা পানোলিকে। হরিয়ানার গুরুগ্রাম থেকে শর্মিষ্ঠা পানোলি নামে ওই সোশ্য়াল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সারকে গ্রেফতার করেছিল কলকাতা পুলিশ।। তারপর থেকেই নানা সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছে কলকাতা পুলিশকে। এবার এনিয়ে এক্স হ্যান্ডলে ব্যাখা দিল কলকাতা পুলিশ।
সেখানে কলকাতা পুলিশের পক্ষ থেকে লেখা হয়েছে, 'কিছু সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট মিথ্যে তথ্য ছড়াচ্ছে যে কলকাতা পুলিশ অবৈধভাবে একজন আইনের পড়ুয়াকে গ্রেফতার করেছে পাকিস্তানের বিরোধিতা করার জন্য। এই ব্যাখাটা একেবারেই ঠিকঠাক নয় ও বিভ্রান্তিকর।'
এরপর কলকাতা পুলিশ জানিয়েছে, ‘দেশপ্রেম ও দেশের গর্বকে প্রকাশ করে প্রতি নাগরিক ও সংগঠন। কলকাতা পুলিশের এনিয়ে কোনও অন্যথা নেই, তারা ভারতের নাগরিকদের পাশে দাঁড়ায়।’
‘এটা আবার জানানো হচ্ছে যে এই ঘটনার ক্ষেত্রে গার্ডেনরিচ থানায় গত ১৫ মে ২০২৪ একটা মামলা দায়ের করা হয়েছিল। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল যে তিনি এমন একটা ভিডিয়ো পোস্ট করেছেন যাতে ভারতের এক শ্রেণির মানুষের ধর্মীয় বিশ্বাসে আঘাত হানছে, বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মধ্য়ে বিভেদ ও ঘৃণার মনোভাব তৈরি করছে। ভারতীয় ন্যায় সংহিতার নির্দিষ্ট ধারায় মামলা করা হয়েছিল। এরপর এই মামলা নিয়ে তদন্ত করা হয়। এরপর আইনগত পদক্ষেপের দিকে অগ্রসর হয়েছিল। বিএনএসএস-এর ৩৫ ধারায় অভিযুক্তকে নোটিশ দেওয়ার একাধিকবার চেষ্টা করা হয়েছিল। কিন্তু প্রতিবারই দেখা যায় তিনি পলাতক। এরপর আদালত থেকে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়। এরপর দিনের বেলায় গুরগাঁও থেকে তাকে আটক করা হয়। এরপর উপযুক্ত ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে তাকে পেশ করা হয়েছিল। এরপর ট্রানজিট রিমান্ড মঞ্জুর করেছিল আদালত। এরপর আদালত তাকে বিচারবিভাগীয় হেফাজতে পাঠায়।’
‘বর্তমানে যে ভারতীয় ন্যায় সংহিতা রয়েছে সেখানে কোনও ধর্মীয় ব্যক্তিত্ব বা সম্প্রদায় বা ভারতের কোনও শ্রেণি সম্পর্কে ঘৃণাসূচক ভাষণ দেওয়া, বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মধ্য়ে ঘৃণা ও বিভেদ তৈরি করা একটি শাস্তিযোগ্য় অপরাধ। ঘৃণাসূচক ভাষণ ও আপত্তিকর কোনও ভাষা ব্যবহার করা বাক স্বাধীনতা ও মত প্রকাশের স্বাধীনতা বলে উল্লেখ করা ঠিক নয়।’
‘এই সময় যখন গোটা দেশ ঐক্য়বদ্ধ, আমাদের সাহসি নাগরিকরা লড়ছেন সীমান্তে সেই সময় সোশ্যাল মিডিয়ায় এমন কনটেন্ট পোস্ট করা দেশের কোনও শ্রেণি সম্পর্কে অপমানজনক কিছু মন্তব্য করা ঠিক কাজ নয়। এই ধরনের কাজ করা আমাদের শত্রুদের সুবিধা করে দেয়।’
সেই সঙ্গেই কলকাতা পুলিশ জানিয়েছে, ‘আইনের বিধির মধ্যে থেকেই কাজ করছে কলকাতা পুলিশ। অভিযুক্তকে দেশপ্রেম প্রকাশ করা বা ব্যক্তিগত বিশ্বাসকে সামনে আনার জন্য গ্রেফতার করা হয়নি। সম্প্রদায়ের মধ্য়ে ঘৃণা ছড়াতে পারে এমন আপত্তিকর বিষয় শেয়ার করার জন্য় আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।’
আমাদের শত্রুরা সুবিধা পেয়ে যায় এমন কাজ থেকে দূরে থাকার জন্য আবেদন করেছে কলকাতা পুলিশ।'