শক্তি সঞ্চয় করে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আছড়ে পড়তে চলেছে শক্তিশালী ঘুর্ণিঝড় ইয়াস। প্রাথমিকভাবে তার ধাক্কা সামলাতে আগেভাগেই সমস্ত প্রস্তুতি সেরে রেখেছে রাজ্য প্রশাসন। এই দুর্যোগের মধ্যে বিদ্যুৎ বিভ্রাট একটা গুরুতর সমস্যা। বিশেষ করে হাসপাতালের ক্ষেত্রে তো অবশ্যই বিপজ্জনক ব্যাপার। তার উপর শহরের বেশ কয়েকটি সরকারি হাসপাতালে জল জমার সমস্যাও রয়েছে। সেক্ষেত্রে করোনা রোগীদের চিকিৎসার ক্ষেত্রে যাতে কোনও বাধা না তৈরি হয়, সেই নিয়ে সচেষ্ট হল সরকারি হাসপাতালগুলো। কী ভাবে এই পরিস্থিতি মোকাবিলা করা যায়, তার জন্য পূর্ত, জলসম্পদ ও বিদ্যুৎ দফতরের সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠক করছে কলকাতা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। বাদ যায়নি বাঙ্গুর হাসপাতালও।জরুরি পরিস্থিতির জন্য হাসপাতালে কী কী ব্যবস্থা করা হয়েছে, তা একনজরে দেখে নেওয়া যাক। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, বিদ্যুৎ পরিষেবা নিরবিচ্ছিন্ন রাখতে পর্যাপ্ত সংখ্যায় ডিজি জেনারেটরের ব্যাবস্থা করা হয়েছে। এই জেনারেটরগুলো চালানোর জন্য ডিজেলও মজুত করা হয়েছে। তাছাড়া তিনদিন চালানোর মতো অক্সিজেন সিলিন্ডার ও প্রয়োজনীয় ওষুধ মজুত করা হয়েছে। চিকিৎসক স্বাস্থ্যকর্মীদের হাসপাতালেই থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা করেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। পাশাপাশি হাসপাতাল, কোভিড ওয়ার্ড চত্বর, ফার্মাসিতে জমা জলের সমস্যা মেটাতে পাম্প বসানো হয়েছে। অন্যদিকে, এমআর বাঙ্গুর হাসপাতালও ইয়াস মোকাবিলায একাধিক পদক্ষেপ নিয়েছে।তার মধ্যে অন্যতম হল, সেখানে ২টি অক্সিজেন ট্যাঙ্কার মজুত করা হয়েছে। অক্সিজেনের গাড়ি চলাচলে যাতে কোনও অসুবিধা না হয়, সে জন্য পুলিশের সঙ্গে গাড়ির রুটম্যাপ শেয়ার করবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।আরও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, ঘূর্ণিঝড়ের আগে ও পরে পিডব্লুডি সিভিল ইলেকট্রিক্যাল বিভাগের কর্মীরা হাসপাতালেই থাকবেন। তাঁদের জন্য থাকা-খাবার ব্যাবস্থা করেছে হাসপাতাল। এছাড়াও দুর্ঘটনা এড়ানোর জন্য হাসপাতাল চত্বরে থাকা অস্থায়ী পরিকাঠামো সরানো হচ্ছে।