আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে ফের সিজিও কমপ্লেক্স অভিযান চিকিৎসক, নার্সদের। সোমবার চিকিৎসক ও নার্সদের তিনটি সংগঠনের তরফে এই অভিযানের ডাক দেওয়া হয়। মূলত সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিট দেওয়ার দাবিতে সিজিও কমপ্লেক্স অভিযান করেন তাঁরা। তবে সিজিও কমপ্লেক্সে পৌঁছানোর আগেই তাঁদের আটকে দেয় পুলিশ এবং কেন্দ্রীয় বাহিনী। এর জেরে পুলিশের সঙ্গে বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন চিকিৎসক এবং নার্সরা।
আরও পড়ুন: 'এটা কি গণধর্ষণ? আরও কেউ জড়িয়ে আছে?' আরজি কর মামলায় প্রশ্ন HC-র, CBI বলল…
মেডিক্যাল সার্ভিস সেন্টার, সার্ভিস ডক্টর্স ফোরাম, নার্সেস ইউনিটির সদস্যরা অভিযান কর্মসূচিতে অংশ নেন। তাঁরা সিজিও কমপ্লেক্সের ভিতরে ঢোকার চেষ্টা করেন। তবে পরিস্থিতি উত্তেজনাপূর্ণ হতে পারে, তা অনুমান করে আগে থেকেই সিজিও কমপ্লেক্সের বাইরে গেট গার্ডরেল দিয়ে ঘিরে রেখে ছিল পুলিশ। আর ভিতরের দিকে ছিলেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা। ‘বিচারহীন ৭ মাস’ লেখা প্ল্যাকার্ড নিয়ে এদিন সিজিও কমপ্লেক্সের বাইরে চিকিৎসক, নার্সরা জমায়েত করেন।
আন্দোলনকারীদের দাবি, ন্যায়বিচারের সঙ্গে পরিহাস করা হয়েছে। শুধু একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। কিন্তু, বাকি দোষীরা এখনও অধরা? এই স্লোগান দিতে থাকেন তাঁরা। তাঁদের আরও বক্তব্য, সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিট দিতে ব্যর্থ হয়েছে সিবিআই। একইসঙ্গে থ্রেট কালচারের অভিযুক্তরা কেন শাস্তি পেল না? সেই প্রশ্ন তুলেও এদিন সরব হন বিক্ষোভকারীরা। তাঁদের দাবি, অবিলম্বে সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিট দিতে হবে। তাঁদের আরও অভিযোগ, সঞ্জয় রায়কে সামনে রেখে বাকিদের আড়াল করার চেষ্টা হচ্ছে। আগামিদিনে ন্যায়বিচারের দাবীকে আরও তীব্রতর করা হবে বলে হুঁশিয়ারি দেন বিক্ষোভকারীরায
যদিও বিক্ষোভকারীরা সিজিও কমপ্লেক্সের মেন গেটের সামনে পৌঁছানোর আগেই বন্ধ করে দেওয়া হয় দরজা। বিক্ষোভকারীরা সিজিও কমপ্লেক্সের ভিতরে ঢুকতে গেলে তাঁদেরকে বাধা দেয় পুলিশ। এরপরই শুরু হয় পুলিশের সঙ্গে বচসা। পরিস্থিতি ক্রমশ উত্তেজনাপূর্ণ হয়ে ওঠে। পরে বিক্ষোভকারীদের কয়েকজনের একটি প্রতিনিধি দলকে সিবিআই দফতরের প্রবেশ করতে দেওয়া হয়। এদিকে, নির্যাতিতার পরিবারের নতুন আবেদনের মামলায় সিবিআইকে কেস ডায়েরি জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট।