বাংলায় শহর থেকে জেলায় নানা ঘটনা ঘটে চলেছে। আর তার জেরে মামলাও হয়ে চলেছে কলকাতা হাইকোর্টে। কিন্তু যেসব ঘটনা নিয়ে মামলা হচ্ছে তার প্রামাণ্য নথি হিসাবে পুলিশ অনেক ক্ষেত্রেই সিসিটিভি ফুটেজ জমা করতে পারছে না বলে অভিযোগ উঠেছে। আর তার জেরে রাজ্য সরকার বেকায়দায় পড়ছে আদালতে। অথচ সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী, রাজ্যের থানাগুলিতে সিসি ক্যামেরা লাগাতে বলা হয়েছিল। কিন্তু থানাগুলিতে সিসি ক্যামেরা লাগানো হলেও তা থেকে কোনও প্রামাণ্য ফুটেজ মিলছে না বলে অভিযোগ। অর্থাৎ সেগুলির মান হয় নিম্নমানের, না হয় সেগুলি খারাপ। এই কারণে এবার রাজ্যের থানাগুলিতে সিসি ক্যামেরার হালহকিকত কেমন? তা জানতে রাজ্য পুলিশের ডিজির কাছে পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট তলব করল প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম ও বিচারপতি চৈতালি চট্টোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চ।
এদিকে যাদবপুর কাণ্ডের প্রতিবাদে থানায় অত্যাচার করার অভিযোগ তুলে মামলা দায়ের করা হয়েছিল। তখন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতির নির্দেশ সত্ত্বেও থানার ভিতরের পূর্ণাঙ্গ সিসিটিভি ফুটেজ পেশ করতে পারেনি রাজ্য সরকার। আর তা নিয়েই তখন প্রশ্ন তুলে দেন মামলাকারী। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মানা হয়নি বলে দাবি করা শুরু হয় ভরা এজলাসে। এই নিয়ে বিস্তর জলঘোলা হয়েছিল। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মানা হয়নি বলেই এখন ফুটেজ দিতে পারছে না পুলিশ বলে ভরা এজলাসে অভিযোগ তোলা হয়। অথচ সিসিটিভি ক্যামেরা থেকে যে ফুটেজ পাওয়া যায় তা দিয়ে তেমন কিছু প্রমাণ করা যাচ্ছিল না।
আরও পড়ুন: সিট ও ফরেনসিক টিমের হাতে উঠে এল সাংঘাতিক তথ্য, নমুনা সংগ্রহে কী পেলেন তাঁরা?
অন্যদিকে এই পরিস্থিতিতে মামলাকারী তথাগত দত্তের অভিযোগ, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মানা হয়নি। রাজ্যের সমস্ত থানাগুলিতে আপডেটেড সিসি ক্যামেরা বসাতে হবে। সেই সিসি ক্যামেরাগুলিতে থাকতে হবে নাইট ভিশন। প্রত্যেকটি ক্যামেরায় থাকতে হবে অডিয়ো রেকর্ডিংয়েরও ব্যবস্থা। আর থানাগুলিতে এমনভাবে সিসি ক্যামেরা লাগাতে হবে যাতে শৌচাগার ছাড়া থানার সমস্ত জায়গা ক্যামেরার আওতায় আসে। রাজ্যের বেশিরভাগ থানায় এই নিয়ম মানা হচ্ছে না। সত্যিই কি মানা হচ্ছে না সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ? এবার সেটা জানতেই রাজ্য পুলিশের ডিজির কাছে পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট তলব করল প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম ও বিচারপতি চৈতালি চট্টোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চ।