দিলীপ ঘোষের বিয়ে উপলক্ষে সকালেই তাঁর বাড়িতে গিয়ে দেখা করে এসেছিলেন দলের রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার, সাংসদ জ্যোতির্ময় সিং মাহাতো, প্রাক্তন সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়, কেন্দ্রীয় নেতা সুনীল বনসল, মঙ্গল পাণ্ডেরা। এদিকে দিলীপের বিয়ের দিনই এই সব তাবড় নেতারা সল্টলেকে বিজেপির সদর দফতরে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকেও বসেন। অবশ্য সেই বৈঠকে দিলীপ ঘোষ স্বভাবতই ছিলেন না। নয়ত বঙ্গ বিজেপির প্রায় সব গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকেই নিয়ম করে উপস্থিত থাকেন দিলীপ ঘোষ। এদিকে দিলীপের অনুপস্থিতিতে অনুষ্ঠিত এই বৈঠকে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বিজেপির তরফ থেকে। ছাব্বিশের বিধানসভা ভোটের কথা মাথায় রেখে ‘গ্রাম চলো’-র বার্তা দিলেন বিজেপি নেতারা। (আরও পড়ুন: হিন্দু নেতাকে অপহরণ করে হত্যা, ভারতকে 'জ্ঞান' দিতে আসা বাংলাদেশে ঘটল ভয়াবহ কাণ্ড)
আরও পড়ুন: ধুলিয়ানে বাবা-ছেলে খুনের নেপথ্যে কি ব্যক্তিগত শত্রুতা? তদন্তে উঠে এল নয়া তথ্য
প্রসঙ্গত, লোকসভা ভোটের পরে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী করা হয়েছিল সুকান্ত মজুমদারকে। এরপর থেকেই বিজেপিতে জল্পনা শুরু হয়েছিল, কে হবেন পরবর্তী রাজ্য সভাপতি। বিজেপির 'এক ব্যক্তি, এক পদ' নীতিতে সুকান্তর আর সভাপতি পদে থাকার কথা নয়। এরই মাঝে নয়া রাজ্য সভাপতির খোঁজ চলাকালীন একাধিকবার দিলীপ ঘোষের নাম উঁকি দিয়েছিল। তবে দিলীপ ঘোষের বিয়ের পর তাঁর রাজনীতিতে থাকা নিয়েই প্রশ্ন তুলেছেন অনেকে। যদিও সুকান্ত আশা ব্যক্ত করেছেন দিলীপ ঘোষ বিজেপির হয়ে এখনও আগের মতো কাজ করে যাবেন। এরই মাঝে অবশ্য দলের সাংগঠনিক নির্বাচন সম্পন্ন হয়নি। রাজ্যে বিজেপির ৪৩টি সাংগঠনিক জেলা রয়েছে। তার মধ্যে ৩৩টি সাংগঠনিক জেলার সভাপতি নির্বাচন হয়েছে। এখনও ১০টি সাংগঠনিক জেলার সভাপতি নির্বাচন বাকি। এর আগে অধিকাংশ জেলা সভাপতি নির্বাচন সম্পন্ন হওয়ার পর মনে করা হয়েছিল রাজ্য সভাপতির নাম ঘোষণা করে দেবে বিজেপি। কারণ দলীয় সংবিধান অনুযায়ী, আর্ধেকের বেশি জেলা সভাপতি নির্বাচন হয়ে গেলে রাজ্য সভাপতির নাম ঘোষণা বাধা থাকে না। প্রসঙ্গত, বিজেপিতে কার্যত হাইকমান্ডের নির্দেশেই রাজ্য সভাপতি বেছে নেন জেলা সভাপতিরা। তাই সেখানে কোনও সাংগঠনিক পদের জন্যে নির্বাচন খুবই বিরল। (আরও পড়ুন: পাঠানে ক্ষুব্ধ তৃণমূলেরই MP-MLA, শেষবার কবে মুর্শিদাবাদে পা রেখেছিলেন ইউসুফ?)
আরও পড়ুন: 'মৌলবাদ নিয়ে ব্রেনওয়াশ', ধুলিয়ানে TMC সাংসদ-বিধায়কদের সামনেই বিস্ফোরক দাবি
এদিকে সংগঠন সাজানোর পাশাপাশি ভোটের জন্যে দলের ছক কষার দিকেও মন দিয়েছে গেরুয়া শিবির। এই আবহে গ্রামীণ ভোটারদের কাছে টানতে নয়া পরিকল্পনা গ্রহণ করেছেন সুকান্তরা। এর আগে বাম আমলে বাংলার ক্ষমতা দখলের চাবিকাঠি থাকত গ্রামীণ ভোটারদের হাতেই। তৃণমূল জমানাতেও সেই সমীকরণ পালটায়নি। এই আবহে বাংলা দখলের জন্যে গ্রামের পথে হাঁটতে চাইছে বিজেপি। অবশ্য কয়েকদিন আগেই গ্রাম চলো নিয়ে একাধিক কর্মসূচি নিয়েছিল বিজেপি। ১৮ এপ্রিলের বৈঠকে সেই সব কর্মসূচিতে আরও জোর দেওয়ার বার্তা দিয়েছে শীর্ষ নেতৃত্ব। এদিকে জেলাগুলিতে সংগঠনের হালও সভাপতিদের কাছ থেকে জানতে চাওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।