সোমবার রায়গঞ্জ শহরে সন্ধ্যায় চলল এলোপাথাড়ি গুলি। শুটআউটে এক মহিলা প্রাণ হারিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। এদিকে শুটআউট চলাকালীন মহিলাকে বাঁচাতে গিয়ে জখম হয়েছেন আরও দুই জন। ঘটনায় রায়গঞ্জ শহরের দেবীনগর সুকান্ত মোড় এলাকায় চরম আতঙ্ক। জখম ব্যক্তিদের উদ্ধার করে ভর্তি করা হয় রায়গঞ্জ সরকারি মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে। এদিকে এলাকায় শান্তি স্থাপনের লক্ষ্যে এবং স্থানীয় বাসিন্দাদের আতঙ্ক কাটাতে রায়গঞ্জ থানার তরফে ঘটনাস্থলে মোতায়েন করা হয়েছে বিশাল পুলিশবাহিনী। গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় রূপা অধিকারীর মাসি দেবী সান্যালের (৩৭)। এদিকে গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতর জখম হয়ে আশঙ্কাজনক অবস্থায় চিকিৎসাধীন রয়েছেন আত্মীয় সুজয়কৃষ্ণ মজুমদার এবং রূপা অধিকারী। উল্লেখ্য, সুজয়কৃষ্ণ পেশায় পুলিশ কর্মী। তিনি দার্জিলিং জেলার পুলিশকর্মী।উত্তর দিনাজপুর জেলা সদর রায়গঞ্জ শহরের ২৬ নম্বর ওয়ার্ডের অন্তর্গত দেবীনগরের সুকান্ত মোড়ের একটি বাড়িতে থাকেন রূপা অধিকারী ও তাঁর বাবা-মা। জানা গিয়েছে, সোমবার রাত আটটা নাগাদ এই বাড়িতেই বাড়ি ভাড়া থাকা সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে কিছু দুষ্কৃতীর মধ্যে বিবাদ ও ঝামেলা হয়। সেই সময় শিলিগুড়ি মোড়ের বাসিন্দা সুজয়কৃষ্ণ মজুমদার সেখানে আসেন। বিবাদের মধ্যে জড়িয়ে পড়েন তিনিও। এরপরই দুষ্কৃতীরা ওই বাড়ি লক্ষ্য করে এলোপাথাড়ি গুলি চালায়। এরপরই রক্তাক্ত অবস্থায় তিনজনকে উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে।এদিকে এই ঘটনার নেপথ্যে যে কে বা কারা রয়েছে, তাদের চিহ্নিত করে দ্রুত গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছেন স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর অভিজিৎ সাহা। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, রূপা অধিকারীর সঙ্গে কয়েকজনের বাড়ি ভাড়া সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে এদিন সন্ধ্যায় ঝামেলা চলছিল। এরপরই আচমকা তিন দুষ্কৃতী ওই বাড়ি ও পরিবারকে লক্ষ্য করে এলোপাথাড়ি গুলি চালায়। ঘটনায় তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। দুষ্কৃতীদের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে রায়গঞ্জ থানার পুলিশ।