কাঁথি লোকসভা কেন্দ্রে প্রার্থী হলেন সৌমেন্দু অধিকারী। এখানে আগে তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদ ছিলেন বাবা শিশির অধিকারী। এবার তিনি বিজেপির প্রার্থী হননি। সুতরাং তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ হিসাবেই রাজনৈতিক কেরিয়ার রয়ে গেল। খড়্গপুরে বিধায়ক হিরণ চট্টোপাধ্যায়কে ঘাটাল কেন্দ্রের প্রার্থী করা হয়েছে।
Ad
মনোজ টিগ্গা।
আলিপুরদুয়ার লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপির প্রার্থী হলেন মনোজ টিগ্গা। আলিপুরদুয়ার জেলার মাদারিহাট বীরপাড়া ব্লকের সিঙ্গানিয়া চা–বাগানের বাসিন্দা পেশায় শিক্ষক মনোজ টিগ্গা। ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে মাদারিহাট থেকে বিজেপির টিকিটে জিতে বিধায়ক হন মনোজ টিগ্গা। এখন বিজেপির আলিপুরদুয়ার জেলা সভাপতি তিনি। এদিন প্রার্থী তালিকায় তাঁর নাম উঠে আসতেই মনোজ টিগ্গা বলেন, ‘আপ কি বার ৪০০ পার— এই স্লোগান নিয়ে আমরা চলব। দল আমাকে অনেকবার সূযোগ দিয়েছে।’ বাদ পড়েছেন আলিপুরদুয়ারের সাংসদ জন বারলা। এখানে প্রার্থী করা হয়েছে বিধানসভায় বিজেপির মুখ্য সচেতক মনোজ টিগ্গাকে।
বিজেপি বিধায়ককেই সাংসদ পদে দাঁড় করিয়েছে গেরুয়া শিবির। তাহলে কি সাংসদ পদে আর কাউকে পায়নি বিজেপি? এই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। আলিপুরদুয়ার কেন্দ্রে বিজেপির প্রার্থী কাকে করা হবে তা নিয়ে সমীক্ষা করা হয়েছিল। সেই সমীক্ষায় ‘পিছিয়ে’ ছিলেন জন বারলা। নিজের লোকসভা কেন্দ্রের মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ ছিল না। তার উপর গত পাঁচ বছরে আলিপুরদুয়ারে দলের ‘কর্মীদের’ একটা বড় অংশের সঙ্গেই তিনি যোগাযোগ রাখেননি। আর তাই বিধানসভায় দলের মুখ্য সচেতক মনোজ টিগ্গাকে টিকিট দেওয়া হয়েছে বলে সূত্রের খবর। প্রথম দফার তালিকা তাই নাম উঠে এসেছে মনোজ টিগ্গার।
এদিকে ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে আলিপুরদুয়ার কেন্দ্রে প্রায় আড়াই লক্ষ ভোটের ব্যবধানে জয়ী হয়েছিলেন জন বারলা। তাই তাঁকে কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রীও করা হয়েছিল। যদিও তাঁর পারফরম্যান্স কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে খুশি করতে পারেনি। তাই এবার বাদ পড়লেন। পরে বিধায়ক হিসাবে তাঁকে প্রজেক্ট করা হতে পারে বলে সূত্রের খবর। তবে প্রার্থী তালিকা প্রকাশের আগেই শোনা যাচ্ছিল বাদ পড়তে পারেন জন বারলা। সেই শোনা কথাই এবার সত্যি হল। যদিও এই বিষয়ে জন বারলা বা বিজেপির শীর্ষ কোনও নেতা মন্তব্য করেননি।