আগামী বছর থেকে নয়া ধাঁচে উচ্চমাধ্যমিক শুরু হবে। পুরনো ধাঁচে এবারই শেষবার হচ্ছে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা। আর সেটার শুরুটা খুব ভালোভাবেই হল। কারণ উচ্চমাধ্যমিকের বাংলা পরীক্ষার প্রশ্ন একেবারে সহজ হয়েছে বলে জানালেন কলকাতার পাঠভবন স্কুলের বাংলার শিক্ষক ডক্টর সপ্তর্ষি রায়। তিনি জানিয়েছেন, অন্যবার যে বিষয়গুলিতে সাধারণত কয়েকটি ‘আনকমন’ প্রশ্ন থাকে, এবার সেটাও করা হয়নি। আর বড় প্রশ্নগুলিও ভেঙে-ভেঙে দেওয়া হয়েছে। ফলে উচ্চমাধ্যমিকের বাংলা পরীক্ষায় প্রচুর নম্বর উঠবে বলে আশাপ্রকাশ করেছেন পাঠভবন স্কুলের শিক্ষক।
প্রচুর নম্বর উঠবে উচ্চমাধ্যমিকের বাংলায়!
সোমবার উচ্চমাধ্যমিকের বাংলা পরীক্ষা শেষ হওয়ার পরে ‘হিন্দুস্তান টাইমস বাংলা’-কে তিনি বলেন, ‘যেমন আশা করা হয়েছিল, সার্বিকভাবে সেরকমই প্রশ্ন করা হয়েছে। এমসিকিউ হোক বা এসএকিউ - সবকিছুই ভালো হয়েছে। বিভাব থেকে একটা কম্পালসরি প্রশ্ন এসেছে। ঠিক আছে, ছাত্র-ছাত্রীরা একটু পড়লেই সেটা পারবে। কখনও কখনও হয়তো অপশন থাকে।’
আরও পড়ুন: Higher Secondary: টোকাটুকি করলেই হবে বিরাট বিপদ! কোন জিনিসগুলি নিয়ে প্রবেশ নিষিদ্ধ উচ্চমাধ্যমিকে
সেই ‘বিভাব’-এ বিকল্প না থাকলেও বড় প্রশ্নে এতটাই নম্বর পাওয়ার জায়গা আছে যে পড়ুয়াদের বিশেষ আক্ষেপ থাকবে না। পাঠভবনের বাংলার শিক্ষকের কথায়, 'পাঁচ নম্বরের প্রশ্নগুলি একেবারে ভেঙে-ভেঙে দেওয়া হয়েছে। তার ফলে প্রচুর নম্বর উঠবে। প্রচুর নম্বর তুলতে পারবে ছাত্র-ছাত্রীরা। কারণ গদ্য এবং পদ্যের ক্ষেত্রে ভেঙে-ভেঙে প্রশ্ন এসেছে। সাধারণত এতটা ভেঙে-ভেঙে প্রশ্ন আসে না। এমনকী নাটকের ক্ষেত্রেও তিনটি এক নম্বরের সঙ্গে একটি দু'নম্বরের প্রশ্ন এসেছে। খুব কমন প্রশ্ন করা হয়েছে।'
আরও পড়ুন: HS 2025: রেজাল্ট বের হওয়ার আগেই উচ্চমাধ্যমিকে সেরার সেরাদের খাতা ফের দেখা হবে! কেন এই সিদ্ধান্ত?
অন্যবার কিছুটা আনকমন থাকে সাহিত্যের ইতিহাসে, এবার সেটাও হয়নি!
তিনি আরও বলেছেন, ‘বিদেশি সাহিত্য বা ভারতীয় অনুবাদ সাহিত্যের যে অংশটা আছে, তাতেও ভেঙে প্রশ্ন করা হয়েছে। আমার বাংলা বলে যে সহায়ক পাঠ আছে, খুব চেনা প্রশ্ন এসেছে। ভাষাতত্ত্বের দিকেও সেই ধারা বজায় রাখা হয়েছে। সাহিত্যের ইতিহাসে অন্যান্য বার কিছুটা আনকমন প্রশ্ন এসে থাকে। এ বছর সেটা হয়নি। একেবারে চেনা প্রশ্ন এসেছে। ঋত্বিক ঘটক, মৃণাল সেন, কাদম্বিনী বসু গঙ্গোপাধ্যায় থেকে বাংলা কুস্তিচর্চার ইতিহাস - মোটামুটি টেস্টে পেপারে যেগুলি ছিল, যেগুলিকে গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছিল, ঠিক সেগুলিই এসেছে।’