বাংলাদেশি জঙ্গি সংগঠন ‘আনসারুল্লা বাংলা টিমের’ জঙ্গি মহম্মদ শাদ রাডি ওরফে শাব শেখ সম্প্রতি ধরা পড়েছে কেরল থেকে। তবে এহেন জঙ্গির বিষয়ে খতিয়ে দেখতে গিয়ে চোখ কপালে উঠেছে গোয়েন্দাদের। শাদের যে শুধু পাসপোর্ট ছিল, তাই নয়, সে ভোটার কার্ডও করিয়েছিল ভারতে। এবং তার নাম আছে বাংলার দু'টি বিধানসভা কেন্দ্রের ভোটার তালিকায়। জানা গিয়েছে, মুর্শিদাবাদের কান্দি এবং হরিহরপাড়া, দুই বিধানসভা কেন্দ্রের ভোটার তালিকায় নাম আছে শাদের। মনে করা হচ্ছে, প্রথমে ভোটার কার্ড করানোর পরে একটি ভোটার তালিকায় নাম তুলেছিল সাদ। পরে কেন্দ্র বদল কে সে। তবে দুই কেন্দ্রের তালিকাতেই তার নাম থেকে গিয়েছে। এই আবহে শাদের ভোটার কার্ড কবে তৈরি হয়েছিল এবং কবে ভোটার তালিকায় তার নাম তোলা হয়েছিল, তা খতিয়ে দেখছেন গোয়েন্দারা। এদিকে গোয়েন্দাদের অনুমান, এই রাজ্যে ভোটও দিয়ে থাকতে পারে শাদ। (আরও পড়ুন: জার্মানির ক্রিসমাস মার্কেটে হামলাকারী ছিলেন 'ইসলামোফোবিক', 'বামপন্থী'!)
আরও পড়ুন: হাসিনা জমানায় 'গুম কাণ্ডে' ভারত যোগ? চাঞ্চল্যকর দাবি ইউনুসের তদন্ত কমিশনের
উল্লেখ্য, সম্প্রতি হরিহরপাড়া থেকে শাদের ঘনিষ্ঠ মিনারুল শেখ এবং মহম্মদ আব্বাস আলিকে গ্রেফতার করে অসম পুলিশ। উল্লেখ্য, পাসপোর্ট চক্রের তদন্তে মুর্শিদাবাদের হরিহরপাড়া থানা এলাকা থেকে এসটিএফের হাতে ধরা পড়ে এই দু'জন। ধৃত আব্বাস আলি নিশ্চিন্তপুরের বাসিন্দা ও মিনারুল শেখ রুকুনপুরের। বারুইপাড়া এলাকায় মাদ্রাসা খুলেছিল আব্বাস আলি। এই আব্বাস আলি জেএমবির সদস্য বলে জানতে পেরেছে এসটিএফ। তার বাড়ি থেকে বেশ কিছু নথি ও মোবাইল উদ্ধার হয়েছে। এদিকে রুকুনপুরের মিনারুল শেখের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে পেন ড্রাইভ, হিজবুলের বই, মোবাইল বাজেয়াপ্ত করেছে অসম পুলিশ এবং রাজ্য পুলিশের এসটিএফ। এই আব্বাস আলির সঙ্গে যোগাযোগ ছিল মিনারুল শেখের। এই আবহে মিনারুল শেখ এবং মহম্মদ আব্বাস আলির সূত্রেই ভোটার তালিকায় শাদের নাম উঠে থাকতে পারে বলে অনুমান করা হচ্ছে। (আরও পড়ুন: বাংলাদেশি রোগীদের চিকিৎসা কেন? মুকুন্দপুরের হাসপাতালের সামনে বিক্ষোভ)
আরও পড়ুন: সম্ভলে অভিযান চলাকালীন মিলেছিল বহুদিন বন্ধ মন্দিরের খোঁজ, সেখানেই শুরু হল পুজো
জানা গিয়েছে, মহম্মদ আব্বাস আলিকে ২০১৮ সালে পকসো মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছিল। সেই সময় দীর্ঘদিন জেলে ছিল সে। তখন তারই সঙ্গে জেলে বন্দি ছিল খাগড়াগড় বিস্ফোরণের কয়েক জন অভিযুক্ত। সেখান থেকেই আব্বাসের জিহাদি যোগ। এই আবহে জেল থেকে বেরিয়ে এসে সে বেআইনি মাদ্রাসা খুলেছিল। তাতে ১৪ জন পড়ুয়া ছিল। মিনারুলের দুই ছেলে সেই মাদ্রাসাতেই পড়ত বলে জানা গিয়েছে। এদিকে গোয়েন্দাদের দাবি, আনসারুল্লা বাংলা টিমের একাধিক বাংলাদেশি সদস্যের আনাগোনা ছিল হরিহরপাড়ায়। অসম পুলিশের জালে জড়ানো নুর মণ্ডল এবং মজিবুর রহমান এই রাজ্যে এসে একাধিক বৈঠক করেছে বলে জানা গিয়েছে। এরা মূলত ভারতে সংগঠন বিস্তার ও রাজ্যের শিলিগুড়ি করিডর বা চিকেন্স নেকে নাশকতার ছক কষছিল বলে দাবি গোয়েন্দাদের।