এবার ‘জয় শ্রী রাম’ লেখা মাস্ক বিলি করার দায়ে পুলিশ আটক করল আরএসএস এবং বিজেপি কর্মীদের। বুধবার রাতে ঘটনাটি ঘটে হুগলির শেওড়াফুলিতে। এ ঘটনায় ১৯ জনকে আটক করেছে শেওড়াফুলি ফাঁড়ির পুলিশ। পুলিশের সাফাই, এই কর্মসূচির জন্য জমায়েতের কোনও অনুমতি নেওয়া হয়নি। তবে মাস্ক বিলিকে কেন্দ্র করে পুলিশের ‘অতিসক্রিয়তা’ নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন অনেকেই। রাতেই ফাঁড়ির সামনে বিক্ষোভ দেখানে বিজেপি নেতাকর্মীরা।ঘটনার সূত্রপাত রবিবার। ওদিন চাঁপদানিতে একটি চক্ষু পরীক্ষা শিবিরের আয়োজন করে বিজেপি ও আরএসএস। সেখানে ‘জয় শ্রী রাম’ লেখা মাস্ক বিলি করা হয়। অভিযোগ, এ নিয়ে তৃণমূল কর্মী–সমর্থকদের হুমকির মুখে পড়তে হয় আয়োজকদের। ‘জয় শ্রী রাম’ লেখা মাস্ক বিলি করলে সমস্যা কোথায়? পাল্টা প্রশ্ন তোলেন বিজেপি ও আরএসএস কর্মী–সমর্থকরা। শুরু হয় রাজনৈতিক চাপানউতোর।এর পরই এর পাল্টা কর্মসূচি নেয় আরএসএস। ঠিক হয়, শেওড়াফুলির বিভিন্ন এলাকায় সপ্তাহ জুড়ে ৫০ হাজার মাস্ক বিলি করা হবে। সেই মতো বুধবার প্রস্তুতি নেয় আরএসএস কর্মীরা। প্রথমে শেওড়াফুলি রেল পার্ক ও পরে শেওড়াফুলি বিবেকানন্দ স্কুলের সামনে চলে মাস্ক বিতরণ কর্মসূচি। সঙ্গে ছিলেন বিজেপি কর্মী–সমর্থকরাও। সব ঠিকঠাকই চলছিল। কিন্তু সমস্যা তৈরি হয় জিটি রোডের ওপর মাস্ক বিলিকে কেন্দ্র করে।দিনভর বিভিন্ন জায়গায় কর্মসূচি সারার পর বুধবার সন্ধেয় জিটি রোডের ওপর মাস্ক বিলি করতে শুরু করেন আরএসএস ও বিজেপি কর্মী–সমর্থকরা। পথচলতি মানুষের হাতে দেওয়ার পাশাপাশি বাড়ি বাড়ি গিয়েও মাস্ক বিতরণ করছিলেন তাঁরা। আর তা থেকে রাস্তায় জটলার সৃষ্টি হয়। কিছুক্ষণ পরই সেখানে হাজির হয় শেওড়াফুলি ফাঁড়ির পুলিশ।জানা গিয়েছে, রাস্তার ওপর মাস্ক বিলি বন্ধ করতে বললে প্রথমে পুলিশের সঙ্গে বচসা হয় আরএসএস ও বিজেপি কর্মী–সমর্থকদের। পরে প্রিজন ভ্যান নিয়ে ঘটনাস্থলে আসে বিশাল সংখ্যার পুলিশ। আটক করে ফাঁড়িতে নিয়ে যাওয়া হয় ১৯ জনকে। খবর পেয়ে শেওড়াফুলি ফাঁড়ির সামনে জড়ো হন বিজেপি কর্মী–সমর্থকদের একটি দল। সেখানে তাঁরা বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। এদিকে, এই ঘটনার একটি ভিডিও নিজেদের টুইটার পেজে আপলোড করেছে বঙ্গ বিজেপি। তাতে লেখা হয়েছে, ‘পশ্চিমবঙ্গে সম্পূর্ণভাবে একনায়কতন্ত্র চলছে। ‘জয় শ্রী রাম’ লেখা মাস্ক পরে এবং বিলি করে ‘মারাত্মক অভিযোগ’ করেছেন বিজেপি কর্মীরা। তাই তাঁদের গ্রেফতার করেছে শ্রীরামপুর হুগলির পুলিশ। এই হল পিসির বাংলা যেখানে গণতন্ত্রের হাজারবার মৃত্যু হয়েছে।বঙ্গ বিজেপি–র টুইট করা ওই ভিডিও–তে পুলিশের হাতে আটক হওয়া ওই যুবক অভিযোগ করে বলছিলেন, ‘খাগড়াগড়ে বিস্ফোরণ হলে পুলিশ চুড়ি পরে বসে থাকে। আর রামের নামে মাস্ক দিলে পুলিশ গ্রেফতার করে।’