সম্প্রতি রাজ্যের তিন জায়গায় বাজি কারখানা ও বাজির গুদামে ভয়াবহ বিস্ফোরণে মৃত্যু হয়েছে বেশ কয়েকজনের। পূর্ব মেদিনীপুরের এগরা, দক্ষিণ ২৪ পরগনার বজবজ এবং মালদহে একের পর এক এই বিস্ফোরণের ঘটনাগুলি ঘটেছে। তারপর থেকেই রাজ্য জুড়ে বেআইনি বাজি উদ্ধারে অভিযানে নেমেছে পুলিশ। ইতিমধ্যেই জেলায় জেলায় বহু বিপুল পরিমাণে বেআইনি বাজে উদ্ধার হয়েছে। এছাড়াও বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এবার হাওড়ার এক ব্যবসায়ীর বাড়ি থেকে উদ্ধার হল প্রায় সাড়ে ১৬ হাজার কেজি বেআইনি বাজি। জেলার উত্তর পাঁচলার গজগিরি এলাকায় ওই ব্যবসায়ী বাড়িতে হানা দিয়ে পুলিশ এই পরিমাণ বাজি উদ্ধার করে সেগুলি বাজেয়াপ্ত করেছে।পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গত বুধবার রাতে ওই ব্যবসায়ীর বাড়িতে তল্লাশি অভিযান চালায় পাঁচলা থানার পুলিশ। ওই ব্যবসায়ীর নাম শেখ বাপি। তাঁর বাড়িতে অবৈধ শব্দ বাজি-সহ বিভিন্ন ধরনের বাজি মজুত রাখা ছিল। সব মিলিয়ে যার পরিমাণ ছিল প্রায় সাড়ে ১৬ হাজার কেজি। ওই সমস্ত বাজি, বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ। উল্লেখ্য, রাজ্যে ঘটে যাওয়া তিনটি ঘটনার পর থেকে প্রায় প্রতিদিনই জেলায় জেলায় অভিযান চালাচ্ছে পুলিশ। প্রতিদিনই প্রচুর পরিমাণে বেআইনি বাজি উদ্ধার হচ্ছে। মঙ্গলবার হাওড়ার বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি চালিয়ে ৮০০ কেজি বাজি উদ্ধার করেছে পুলিশ। হাওড়া কমিশনারেট এবং গ্রামীণ এলাকায় এই অভিযান চালানো হয়েছিল। যার মধ্যে ডোমজুড় থেকে উদ্ধার হয়েছে ৪০০ কেজি এবং নিশ্চিন্দা থেকে ১০০ কেজি নিষিদ্ধ বাজি। এছাড়াও, হাওড়া সিটি পুলিশ দাসপুর, সাঁকরাইল এবং জগৎবল্লভপুরে অভিযান চালিয়ে যথাক্রমে ১৪৮ কেজি, ৫০ কেজি এবং ১০০ কেজি বাজি উদ্ধার করেছে।অন্যদিকে, উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুর, মুর্শিদাবাদ, বীরভূম প্রভৃতি জেলাতেও পুলিশ তল্লাশি অভিযান চালায়। মুর্শিদাবাদে উদ্ধার হয়েছে ৪০০ কেজি বাজি। এছাড়াও, বেআইনিভাবে বাজি মজুত রাখার জন্য ৫ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। অন্যদিকে, বীরভূমির সিউড়িতে এক ব্যবসায়ীর বাড়ি থেকে ৪০ কেজি বাজি উদ্ধার হয়েছে। ওই ব্যবসায়ীকে আটক করেছে পুলিশ। পাশাপাশি দুই দিনাজপুরের বালুরঘাট, হরিরামপুর বাজার এবং রায়গঞ্জ এলাকায় থেকে প্রচুর পরিমাণে শব্দবাজি উদ্ধার করেছে পুলিশ। এছাড়াও, বেশ কয়েকজনকে আটক করেছে। আপাতত এই অভিযান চালিয়ে যাবে পুলিশ।