একের পর এক হিন্দু সন্ন্যাসীর গ্রেফতারি ঘিরে অশান্ত বাংলাদেশ।তারই মাঝে 'বিমান বাংলাদেশ' এয়ারলাইন্সের কলকাতা-ঢাকা, কলকাতা- চট্টগ্রাম রুটের মোট ৩ বিমান বাতিল করেছে সংস্থা। এর মধ্যে ২ টি ফ্লাইট কলকাতা-ঢাকা রুটের। হু হু করে ওই বিমানগুলিতে যাত্রী সংখ্যা কমার ফলে এই তিন বিমান বাতিল হয়েছে বলে খবর। বাংলাদেশের অশান্তি যেমন এই যাত্রী সংখ্যা কমতির একটি কারণ, তেমনই ভারতের ভিসা নিয়ে কড়াকড়ির জন্যও যাত্রী সংখ্যা এই দুই দেশের মধ্যে চলাচল করা বিমানে রকেট গতিতে কমছে।
বাংলাদেশের তাবড় বিমান পরিষেবা সংস্থা ‘বিমান বাংলাদেশ’এর বিমান দৈনিক দিনে দুই বার কলকাতা থেকে ঢাকায় চলত। তা দৈনিক একটি বিমান করে দেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশের প্রাইভেট বিমান সংস্থা ইউএস-বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স ঢাকাগামী বিমানের সংখ্যা কমিয়ে দিয়েছে। এই সংস্থার বিমান দিনে দুটি করে ছিল, তা কমিয়ে একটি করে দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও চট্টগ্রাম পর্যন্ত বিমান, এই সংস্থা আপাতত বাতিল রেখেছে। তবে ভারতের সংস্থা ইন্ডিগো, এখনও পর্যন্ত দিনে দু'বার ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে চলাচলকারী বিমান চালু রেখেছে। তবে, ঢাকার পরিস্থিতির দিকে নজর রেখেছে এই বিমান সংস্থা। গত কয়েক মাস ধরে ভারত-বাংলাদেশ রুটে হু হু করে যাত্রী সংখ্যা পড়ে যাওয়ার ফলে বেশ কিছুটা উদ্বেগ রয়েইছে এই সংস্থাগুলির বিমান চলাচলে। কলকাতা থেকে ঢাকা, চট্টগ্রামে চলাচলকারী বিমানের সংখ্যা আগে ১২৫ ছিল, সেখান থেকে সংখ্যা নেমে হয়েছে নভেম্বরে ৯৭টি। সেপ্টেম্বরে এই দুই দেশের মধ্যে চলাচলকারী যাত্রীর সংখ্যা ১৫,৪৭৯ ছিল, তা নভেম্বর মাসে ১২,৭৪৭ হয়েছে। ফলে ক্রমাগত এই রুটে কমতি দেখা যাচ্ছে যাত্রী সংখ্যায়। এছাড়াও বাংলাদেশ থেকে কলকাতায় আসা বিমানের সংখ্যা সেপ্টেম্বরে ১১৪ ছিল, আর তা নভেম্বরে ৯৬ হয়ে গিয়েছে। সেক্ষেত্রে এই রুটে সেপ্টেম্বর মাসে যাত্রী সংখ্যা ছিল ১২,৫৪০ জন, বর্তমানে তা ১০,১২১ জন।
( Dhaka on Indo-Bangla Ties:'শেখ হাসিনা দেশ থেকে পলায়ন করতেই ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক বদলেছে', বলছেন বাংলাদেশের বিদেশ উপদেষ্টা)
বাংলাদেশ থেকে কলকাতায় আসা বিমানের সংখ্যা নামছে:-
বছরের মাঝের সময় থেকে বাংলাদেশে অশান্ত পরিস্থিতি তৈরি হয়। সেই সময় ভারতের পড়শি দেশে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে গর্জে ওঠে দেশের একাংশ। ছাত্র গণ আন্দোলনের জেরে মসনদচ্যুত হন হাসিনা। এরপর দেখা যায়, বাংলাদেশের এয়ারলাইন্স, বিমান বাংলাদেশের ফ্লাইট, কলকাতা থেকে জুলাইতে ৫৯ টি থাকলেও, তা নভেম্বরে ২৮ টি হয়েছে। ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স এই রুটে জুলাই মাসে ৮৪ টি বিমান চালাত, তা বর্তমানে ২৪ এ এসে ঠেকেছে।