সঙ্গম করতে চাইছেন, কিন্তু শরীর কথা শুনছে না? পুরুষত্বহীনতার লক্ষণ নয় তো
ইরেকটাইল ডিজফাংশন বা পুরুষের উত্থান ত্রুটিকে সহজ ভাষায় বলা হয় যৌন অক্ষমতা বা দুর্বলতা। পুরুষদের জন্য খুবই স্পর্শকাতর একটি বিষয় এটি।
কিন্তু অনেক সময় দেখা যায়, মিলনের পূর্বে পুরুষের লিঙ্গের পর্যাপ্ত উত্থান ঘটছে না কিংবা ঘটলেও বেশিক্ষণ দীর্ঘস্থায়ী হচ্ছে না। ফলে পরিপূর্ণ ও সফল যৌনমিলনও সম্ভব হচ্ছে না।
এ ধরনের সমস্যায় হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়েন দম্পতি। সংকোচ ভেঙে এ সমস্যা নিয়ে সঠিক পরামর্শ নিতে হবে।
৬ মাসের বেশি ইরেকটাইল ডিজফাংশনকে উপেক্ষা করবেন না। এটি পুরুষত্বহীনতার লক্ষণ হতে পারে।
অলিগোস্পার্মিয়া মানে কম শুক্রানুর সংখ্যা। বীর্যের সংখ্যা স্বাভাবিকের চেয়ে কম হলে পুরুষত্বহীনতার সম্ভাবনা বেড়ে যায়।
এ ছাড়া মানসিক চাপ, বিষণ্নতা বা অন্যান্য মানসিক সমস্যার ফলেও ইরেকটাইল ডিজফাংশন হতে পারে। ইরেকটাইল ডিজফাংশনের পেছনে শারীরিক ও মানসিক দুই ধরনের কারণই প্রভাব ফেলতে পারে।
স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, ধীরে ধীরে সহবাসের ইচ্ছে কমে যাওয়া পুরুষত্বহীনতার লক্ষণ হতে পারে।
কোনও ব্যক্তি যদি ইরেকটাইল ডিজফাংশনের শিকার হন, তবে হতাশা বা সংকোচে না ভুগে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। চিকিৎসক সঠিক কারণটি খুঁজে বের করে সঠিক সমাধান বাতলে দিতে পারবেন।
অনেক সময় স্রেফ মানসিক চাপমুক্ত হলে বা নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে নিয়ন্ত্রিত জীবন যাপন করলেই উন্নতি সম্ভব।
অধিকাংশ পুরুষের ক্ষেত্রেই ইরেকটাইল ডিজফাংশন কোনো দীর্ঘস্থায়ী সমস্যা নয়, বরং সাময়িক একটি জটিলতামাত্র। অবশ্যই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিন সময় মতো।