চাঁদকে কাছ থেকে বোঝার জন্য উঠেপড়ে লেগেছে ভারত। এবার ভারতের সঙ্গেও হাত মেলাল জাপান। চাঁদ অন্বেষণের জন্য ভারতের পরিকল্পনা এখন আরও স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। ইতিমধ্যেই, ন্যাশনাল স্পেস কমিশন তার পঞ্চম চন্দ্র মিশন অনুমোদন করেছে, যার নাম লুনার পোলার এক্সপ্লোরেশন মিশন (লুপেক্স)। উল্লেখ্য, এই কমিশন ভারতের সমস্ত মহাকাশ মিশনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়।
আরও পড়ুন: (Sub-Earth: পৃথিবীর গা ঘেঁষে ঘুরছে আরও 'ছোট পৃথিবী'! কীভাবে হদিশ মিলল)
তবে, ভারতের এর আগে চন্দ্রযান এক থেকে চার মিশন, ঠিক যেভাবে পরিকল্পনা করেছিল, নতুন মিশন আগের এই মিশনগুলোর সম্পূর্ণ বিপরীত। লুপেক্স জাপানের সঙ্গে একটি যৌথ প্রকল্প হতে চলেছে। এই মিশনটির মাধ্যমে ভারতের লক্ষ্য একটাই। নির্বিঘ্নে একজন ভারতীয় মহাকাশচারীকে চাঁদে পাঠাতে চায় ভারত। এরপর চাঁদকে কাছ থেকে দেখে চিনে বুঝে, ওই মহাকাশচারীকে যাতে নিরাপদে দেশে ফিরিয়ে আনা যায় সেদিকেই মনোনিবেশ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: (Moon Temperature: করোনার কোপে 'ঠাণ্ডা' হয়ে গিয়েছিল চাঁদ, দাবি ভারতীয় গবেষকদের)
লুপেক্স মিশনের আসল লক্ষ্য
লুপেক্স মিশনের লক্ষ্য জল এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ খুঁজে পেতে চাঁদে অন্বেষণ করা। এটি ভারতকে চাঁদের পৃষ্ঠের অন্বেষণ করে, পৃথিবীর এই উপগ্রহটি সম্পর্কে আরও জানতে সাহায্য করবে।
ভারত এবং জাপানের মহাকাশ সংস্থা, এই মিশনে এক সঙ্গে কাজ করার জন্য ২০১৭ সালে একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেছিল। কিন্তু লুপেক্স মিশন এতদিনেও এগোয়নি। তার কারণ একটাই। ভারতের চন্দ্রযান ২ মিশনের পরে, সফলভাবে আরও একটি মহাকাশযানকে চাঁদে নির্বিঘ্নে অবতরণ করানোটা একটা চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাই ভবিষ্যতের চন্দ্র অভিযানের সাফল্যের জন্য এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি অধ্যায়।
আরও পড়ুন: (Saturn-like Earth Ring: আগে শনির মতো দেখতে ছিল পৃথিবী! বলয় নিয়ে ঘুরপাক খেয়েছে সূর্যের চারপাশে?)
গত ১৮ সেপ্টেম্বর, ভারত সরকার চন্দ্রযান ফোর অনুমোদন করেছে, এবং লুপেক্স শীঘ্রই সরকারি অনুমোদনের জন্য উপস্থাপন করা হবে বলে জানা গিয়েছে। ইসরো চেয়ারম্যান এস সোমানাথ টাইম অফ ইন্ডিয়াকে বলেছেন যে ভবিষ্যতে চাঁদে মানব অবতরণের খাতে প্রয়োজনীয় দক্ষতা বিকাশের জন্য চন্দ্রযান মিশনের একটি সিরিজ নিয়ে কাজ করতে পারেন। তাই তাঁরা আগামী দিনে আরও অনুমোদনের আশা করছেন।