ভারতীয় বিজ্ঞানের ইতিহাসের নতুন মাইলফলক। বিশ্ব মহাকাশ পুরস্কার বা ওয়ার্ল্ড স্পেস অ্যাওয়ার্ড পেতে চলেছে ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা। চন্দ্রযান-৩ মিশনের দুর্দান্ত সাফল্যকে মাথায় তুলে রাখতে এই বড় অ্যাওয়ার্ড পাবে ভারত। চলতি বছরেরই ২৪ অক্টোবর তারিখে ইতালিতে অনুষ্ঠিত হতে চলা আন্তর্জাতিক মহাকাশচারী কংগ্রেসে এই পুরস্কার প্রদান করা হবে। এরই পাশাপাশি, চন্দ্রযান-৩ এর অবতরণের প্রথম বার্ষিকী উপলক্ষে দেশজুড়ে বেশ কয়েকটি অনুষ্ঠানের পরিকল্পনা করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: (Viral: একাকীত্ব কাটাতে অটো চালান বেঙ্গালুরুর মাইক্রোসফট ইঞ্জিনিয়ার!)
উল্লেখ্য, ভারতের চন্দ্রযান-৩ চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে সফলভাবে অবতরণ করে একটি ঐতিহাসিক কৃতিত্ব অর্জন করেছে, যা এখনও পর্যন্ত অন্য কোনও দেশ করতে পারেনি। চন্দ্রযান-৩ মিশন চাঁদে জলের উপস্থিতি নিশ্চিত করেছে, যা ভবিষ্যতের গবেষণা এবং সম্ভবত চাঁদে মানুষের জীবনের জন্য নতুন পথ খুলে দিতে পারে। ইসরোর চন্দ্রযান-৩ মিশন ইতিমধ্যেই এভিয়েশন উইক লরিয়েটস অ্যাওয়ার্ড এবং লিফ এরিকসন লুনার প্রাইজের মতো অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ পুরস্কার নিয়ে এসেছে।
ফেডারেশন বৃহস্পতিবার বলেছে যে ইসরোর চন্দ্রযান-৩ মিশন বৈজ্ঞানিক কৌতূহল এবং সাশ্রয়ী প্রকৌশলের সমন্বয়ের উদাহরণ। ভারতের এই প্রতিশ্রুতি এবং মহাকাশ অনুসন্ধান যে মানবজাতিকে কতটা শ্রেষ্ঠত্বের দিকে যেতে পারে, তার বিশাল সম্ভাবনা দেখিয়েছে ভারত। চাঁদের গঠন এবং ভূতত্ত্বের অনাবিষ্কৃত দিকগুলি দ্রুত সামনে করে, মিশনটি উদ্ভাবনের একটি বিশ্বব্যাপী প্রমাণ হিসাবে দাঁড়িয়েছে। উল্লেখ্য, ভারত ছাড়াও শুধুমাত্র মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া এবং চীন চাঁদে সফট ল্যান্ডিংয়ের মাইলফলক অর্জন করেছে।
আরও পড়ুন: (BSNL Attracts Users: জিও, এয়ারটেলের বাজার খাচ্ছে BSNL, কীভাবে ২৭ লাখ নতুন গ্রাহক পেল সরকারি সংস্থা)
চন্দ্রযান-৩ মিশনের প্রধান উদ্দেশ্যগুলো কী ছিল
চন্দ্রযান-৩, ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থার (ইসরো) তৃতীয় চন্দ্র মিশন, সফলভাবে চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে অবতরণ করেছে। এই এলাকাটি এখনও অজানা এবং গবেষণার জন্য গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হয়। এই মিশনে যে যে উদ্দেশ্য ছিল:-
- চাঁদের পৃষ্ঠের গঠন এবং শারীরিক বৈশিষ্ট্য অধ্যয়ন।
- চাঁদে জলের উপস্থিতির নিশ্চিতকরণ।
- চাঁদের পৃষ্ঠে সালফার এবং অন্যান্য খনিজগুলির শনাক্তকরণ।
এই সবটা খতিয়ে দেখতে, চন্দ্রযান-৩-এর বিক্রম ল্যান্ডার এবং প্রজ্ঞান রোভার চন্দ্র পৃষ্ঠে বিভিন্ন বৈজ্ঞানিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালিয়েছে এবং গুরুত্বপূর্ণ তথ্যও সংগ্রহ করতে পেরেছে, যা ভবিষ্যতের চন্দ্র অভিযানের পথ আরও প্রশস্ত করেছে।
আরও পড়ুন: (যাত্রীদের চাদর, কম্বলের পরিচ্ছন্নতা নিশ্চিত করবে AI, বিরাট পদক্ষেপ ভারতীয় রেলওয়ের)