ভারত বনাম পাকিস্তানের মধ্যে চলতি উত্তেজনার মাঝেই শুক্রবার ওমানের মাসকটে আয়োজিত ১০ম এশিয়ান বিচ হ্যান্ডবল চ্যাম্পিয়নশিপে একে অপরের মুখোমুখি হয়েছিল দুই দেশ ভারত ও পাকিস্তান।
ভারতীয় দলকে ভয় দেখিয়ে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে খেলতে বাধ্য করা হল (ছবি- IHF Media)
ভারত বনাম পাকিস্তানের মধ্যে চলতি উত্তেজনার মাঝেই শুক্রবার ওমানের মাসকটে আয়োজিত ১০ম এশিয়ান বিচ হ্যান্ডবল চ্যাম্পিয়নশিপে একে অপরের মুখোমুখি হয়েছিল দুই দেশ ভারত ও পাকিস্তান।
এই সময়ে ভারতীয় দল ম্যাচ চলাকালীন কালো বাহুবন্ধনী (black armband) পরে মাঠে নামে। আসলে দেশে চলতি সন্ত্রাসী হামলায় শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতেই তারা এমনটা করেছিলেন। তবে এশিয়ান হ্যান্ডবল ফেডারেশন (AHF) এবং আয়োজকরা ভারতীয় কোচিং স্টাফকে জানান, এমন কোনও প্রতীকী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হলে দলটিকে প্রতিযোগিতা থেকে বহিষ্কার করা হতে পারে। এরপরই ভারতীয় দল বাহুবন্ধনী খুলে ফেলতে বাধ্য হয়।
শুরুতে ভারতীয় প্রতিনিধি দল পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ম্যাচটি বয়কট করার কথা চিন্তা করেছিল, কারণ দেশে এই সিদ্ধান্তের কারণে জনরোষের আশঙ্কা ছিল। কিন্তু AHF স্পষ্ট জানিয়ে দেয়—ম্যাচ খেলতে না এলে ভারতীয় দলকে বড় অঙ্কের জরিমানা এবং আন্তর্জাতিক হ্যান্ডবল প্রতিযোগিতা থেকে দুই বছরের নিষেধাজ্ঞার মুখোমুখি হতে হবে।
টাইমস অব ইন্ডিয়াকে জানান হ্যান্ডবল ফেডারেশন অফ ইন্ডিয়ার (HFI) এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর আনন্দেশ্বর পাণ্ডে বলেন, ‘আন্তর্জাতিক হ্যান্ডবল ফেডারেশনের (IHF) নিয়ম অনুযায়ী, ম্যাচ বয়কট করলে আমাদের দশ হাজার ডলার জরিমানা গুণতে হত। সেই সঙ্গে দুই বছরের নিষেধাজ্ঞার ঝুঁকি ছিল। AHF সাফ জানিয়ে দেয়, ম্যাচে না নামা অলিম্পিক চার্টারের চেতনার পরিপন্থী বলে বিবেচিত হবে। আমাদের হাতে কোনও বিকল্প ছিল না।’
ভারত ওই ম্যাচে ০-২ ব্যবধানে হেরে যায়। ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হয় সুলতান কাবুস স্পোর্টস কমপ্লেক্সে। আনন্দেশ্বর পাণ্ডে বলেন, ‘ম্যাচ শুরুর আগে আমরা ক্রীড়া মন্ত্রক ও ভারতীয় অলিম্পিক সংস্থাকে (IOA) আলাদা চিঠি লিখে জানতে চেয়েছিলাম, পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ম্যাচটি খেলব কিনা। কিন্তু তারা তখনই কোনও সাড়া দেয়নি, এবং ম্যাচ চলেই আসে। সরকারের তরফে এমন কোনও সুস্পষ্ট নির্দেশনা নেই যা ভারতীয় দলগুলোকে পাকিস্তানের সঙ্গে খেলা থেকে বিরত রাখে। যদি এমন কোনও সরকারি নিষেধাজ্ঞা থাকত, আমরা দলকে টুর্নামেন্ট থেকে প্রত্যাহার করে নিতাম।’
আনন্দেশ্বর পাণ্ডে আরও বলেন, ‘এই প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়ার জন্য এন্ট্রি অনেক মাস আগেই পাঠানো হয়েছিল এবং ভারতীয় পুরুষ ও মহিলা দল ৫ মে মাসকটে পৌঁছায়। তখন আমরা জানতাম না দুই দেশের মধ্যে পরিস্থিতি এতটা উত্তপ্ত হয়ে উঠবে। এমন সম্ভাবনাও রয়েছে যে সেমিফাইনাল কিংবা ফাইনালেও আবার ভারত-পাকিস্তানের মুখোমুখি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আমরা এখনও ক্রীড়া মন্ত্রক ও IOA-র নির্দেশনার অপেক্ষায় আছি। তা যদি আগামী কিছু দিনের মধ্যে না আসে, আমরা দলকে পরবর্তী পাকিস্তান ম্যাচটি যদি হয়ও, সেটি বর্জন করার নির্দেশ দেব।’ এই টুর্নামেন্টের ফাইনাল অনুষ্ঠিত হবে ১৫ মে। এটি ২০২৬ সালের বিচ হ্যান্ডবল ওয়ার্ল্ড চ্যাম্পিয়নশিপের কোয়ালিফায়ার হিসেবেও বিবেচিত।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।