
Betvisa
6.88% Weekly Cashback on 2025 IPL Sports
এই মরশুমে নিজেদের শেষ ম্যাচ খেলতে নামার আগেই বেঙ্গালুরু এফসি ও এসসি ইস্টবেঙ্গলের লিগ তালিকায় স্থান নির্ধারিত ছিল। লাল-হলুদ লিগের লাস্টবয় হয়েই শেষ করত আর সুনীল ছেত্রীর দল থাকত ছয় নম্বরে। তবে শেষ ম্যাচে জয়ে দিয়ে মরশুম শেষ করতে বদ্ধপরিকর ছিল দুই দলই। পাশপাশি এসসি ইস্টবেঙ্গলের জন্য সবথেকে কম ম্যাচ জিতে মরশুম শেষ করার লজ্জার থেকে নিস্তার পাওয়ার একটা সুযোগও ছিল। কিন্তু শেষ হাসি হাসল বেঙ্গালুরুই। আইএসএল ইতিহাসে নিজের ৫১তম গোলে ১-০ ব্যবধানে বেঙ্গালুরুকে ম্যাচ জেতালেন সুনীল ছেত্রী।
মাত্র একটি জয় ও আটটি ড্রয়ের জেরে ১১ পয়েন্ট নিয়ে এ বারের আইএসএল মরশুম শেষ করল এসসি ইস্টবেঙ্গল। এক মরশুমে এর থেকে কম ম্যাচ আর কোনো দল জেতেনি।
বেঙ্গালুরু গোলরক্ষক লারা শর্মাকে ম্যাচ সেরার পুরস্কার দেওয়া হয়।
২৪ মিনিটে সুনীল ছেত্রীর একমাত্র গোলে বেঙ্গালুরুর বিরুদ্ধে ০-১ ব্যবধানে হেরে এ মরশুমের সফর শেষ করল এসসি ইস্টবেঙ্গল।
পিছন থেকে লিওন অ্যাগুস্টিনকে ফাউল করায় হলুদ কার্ড দেখলেন নওচা সিং।
দ্বিতীয়ার্ধের ৪৫ মিনিট শেষে অতিরিক্ত পাঁচ মিনিট ইনজুরি টাইম যোগ করার সিদ্ধান্ত নিলেন রেফারি।
পাঁচ মিনিটের ব্যবধানে দ্বিতীয় ভাল সেভ করলেন শুভম। বল ক্লিয়ার করতে গিয়ে তা সম্পূর্ণ মিস করে বসেন অনন্ত। বল পায়ে পেয়ে গোলে জড়ানোর উদ্দেশ্যে সুনীল শটও নেন, তবে দারুণভাবে তা এগিয়ে এসে আবারও রুখে দেন শুভম। ফিরতি বল অবশেষে ক্লিয়ার করেন অনন্ত।
নারায়ণের বল থেকে ভাল ফুটওয়ার্ক দেখিয়ে ইস্টবেঙ্গল পেনাল্টি বক্সে নিজের জন্য জায়গা তৈরি করে নিয়েছিলেন সুনীল ছেত্রী। জোরালো শটও নেন তিনি, তবে শুভম সেন বেশ মজবুত হাত দিয়ে দারুণভাবে বল বারের উপর দিয়ে বের করে দেন।
মহেশের বদলে মাঠে নামলেন আদিল খান ও আঙ্গুসানার বদলে নিজের অভিষেক ঘটাতে মাঠে নামলেন তরুণ সিদ্ধান্ত শিরোধকার।
বারবার সুযোগ হাতছাড়া করছে এসসি ইস্টবেঙ্গল। থ্রু বল থেকে বেঙ্গালুরু পেনাল্টি বক্সে বল পায়ে পেয়েছিলেন রিবেইরা। তবে তাঁর দুর্বল শট গোলে ছিল না। দ্বিতীয় পোস্টে কোনো লাল-হলুদ ফুটবলারের জন্য বলটা ট্যাপইন হতো। তবে সেখানেও কোনো ফুটবলার ছিল না।
একেবারে তিন বদল বেঙ্গালুুরুর। ব্রুনো সিলভা, ভুটিয়া ও ক্লেইটনের বদলে মাঠে এলেন পরাগ শ্রীবাস, রোহিত কুমার ও শিব নারায়ণ।
৬৩ মিনিটে নিজেদের অর্ধ থেকে পর্চের ফ্রি-কিক মিসজাজ করে বসেন অ্যালান। তাঁর পিছন থেকে সুন্দর রান নেন হাওকিপ। বল দখলে এনে শট করলেই গোল হওয়ার সুযোগ ছিল। তবে এক টাচে গোল করতে গিয়ে তিনি বল গোলের অনেক উপর দিয়ে বের করে দেন। তার পরের মুভেই অল্প জায়গায় বেঙ্গালুরুর পেনাল্টি বক্সে বেশ ভাল ফুটওয়ার্ক দেখিয়েছিলেন রিবেইরা। তবে তিনিও নিজের শট গোলে রাখতে পারেননি।
নামতের বদলে মাঠে নামলেন সংপু সিংসিত এবং শুভর জায়াগায় এলেন সেম্বয় হাওকিপ।
ওয়ান টু খেলে বেঙ্গালুরু পেনাল্টি বক্সের মধ্যে প্রবেশ করেন মহেশ নাওরেম। কঠিন কোণ থেকে শট নিতে দ্বিধা বোধ করেননি তিনি। তাঁর শট টার্গেটেও ছিল। তবে লারা শর্মা তা বাঁচিয়ে। ফিরতি কর্ণার থেকে তেমন কোনো সুযোগ তৈরি হয়নি।
দ্বিতীয়ার্ধের ছয় মিনিট হয়ে গেলেও কোনো দলই এই অর্ধে গোল করতে পারেনি। রোশন একটা সুযোগ পেয়েছিলেন বটে, তবে কেউ আশেপাশে না থাকায় তিনি নিজেই শট নেন যা গোলের উপর দিয়ে চলে যায়।
দ্বিতীয়ার্ধের খেলা শুরু হল। এসসি ইস্টবেঙ্গল কি ম্যাচে ফিরতে পারবে?
প্রথমার্ধের একেবারে ইনজুরি টাইমে বেঙ্গালুরুর দুইটি ভাল সুযোগ তৈরি করলেও, তার থেকে গোল হয়নি। পরিণামে ১-০ ব্যবধানে এগিয়েই প্রথমার্ধ শেষ করল বেঙ্গালুরু।
প্রথমার্ধ শেষে অতিরিক্ত তিন মিনিট ইনজুরি টাইম যোগ করা হল।
আহত হয়ে আর খেলা চালিয়ে যেতে পারলেন না পেরোসেভিচ। তাঁর বদলে মাঠে নামলেন মার্সেলো রিবেইরা। সম্ভবত হ্যামস্ট্রিংয়ে চোট লেগেছে পেরোসেভিচের।
প্রতিআক্রমণ থেকে দারুণ জায়গায় বল পেয়েছিলেন পেরোসেভিচ। বল পায়ে হু হু করে বেঙ্গালুরু গোলের দিকে ছুটছিলেন তিনি। তবে ধীরে ধীরে রোশন তাঁকে গোলের থেকে দূরে নিয়ে যেতে সক্ষম হন। দ্বিতীয় পোস্টে ফাঁকায় দাঁড়িয়ে থাকা শুভ ঘোষ, পাস চেয়েও তা পাননি। বরং পেরোসেভিচের শট রোশন ব্লক করে তাঁর কিছু না হলেও এই শট নিতে গিয়ে পেরোসেভিচই আহত হয়েছেন।
আবাও ধাক্কা। দারুণ ছন্দে দেখানো উদান্ত সিংকে তুলে নিতে বাধ্য হল বেঙ্গালুরুর এফসি। তাঁর বদলে মাঠে নামলেন লিওন অ্যাগুস্টিন।
ক্লেইটন সিলভার মাঝমাঠ থেকে বাড়ানো বল দখলে এনে বাঁ-পায়ে পেনাল্টি বক্সের বাইরে থেকেই জোরালো শট মারেন উদান্ত সিং। তবে তাঁর শট বারে লেগে ফিরে আসে। আরেকটু হলেই ২-০ এগিয়ে যেত বেঙ্গালুরু।
শুরুতেই বদল করতে হল বেঙ্গালুরুকে অজয় ছেত্রীর বদলে মাঠে নামলেন লিংডো।
ইয়াইয়ার বাড়ানো বল ইস্টবেঙ্গল পেনাল্টি বক্সের ঠিক বাইরে চেস্টডাউন করেন সুনীল ছেত্রী। তাঁর থেকে বল কাড়ার চেষ্টা করলেও অনন্তকে হেলায় সরিয়ে দিয়ে শট নেন তিনি। শুভম সেন বলে হাত লাগালেও গোলে জড়ানো থেকে রোখার জন্য তা যথেষ্ট ছিল না। ১-০ এগিয়ে গেল বেঙ্গালুরু।
শুভ ঘোষের দুরন্ত প্রেসিংয়ে ফের একবার বলের দখল হারিয়ে ফেলেছিলেন বেঙ্গালুরুর অজয় ছেত্রী। ফিরতি বল পেরোসেভিচের পায়ে চলে যায়। গোলকিপার লারার সঙ্গে ওয়ান টু ওয়ান পজিশনে তাঁর গোল করা প্রায় নিশ্চিত ছিল, তবে লারা দুর্ধর্ষ এক সেভ করেন। ফিরতি কর্ণার থেকে কোনো সুযোগ তৈরি হয়নি।
রোশন সিংয়ের কর্ণার থেকে সেকেন্ড পোস্টে গোল করার বড় সুযোগ পেয়ে গিয়েছিলেন সুনীল ছেত্রী। তবে তিনি ফ্রি-হিডার পেলেও, ঠিকঠাক বলের সঙ্গে কানেক্ট করতে পারেননি। ফলে সুযোগ হাতছাড়া হয়।
নিজের প্রথম আইএসএল ম্যাচে এখনও পর্যন্ত বেশ প্রভাবিত করেছেন অনন্ত তামাং। রক্ষণের ভুল বোঝাপড়ায় বেঙ্গালুরুর ফরোয়ার্ডের পায়ে আরেকটু হলেই বল পৌঁছে যেত এবং ফাঁকা পেনাল্টি বক্সে তাঁর গোল করার সুযোগ বেশ অনেকটাই ছিল। তবে একেবারে শেষ মুহূর্তে ছুটে এসে সুন্দর ট্যাকেলে বল ক্লিয়ার করেন তামাং।
ম্যাচের শুরুতে বেঙ্গালুরু এফসি বল দখলের লড়াইয়ে এগিয়ে থাকলেও এসসি ইস্টবেঙ্গলও প্রতিআক্রমণে যে দ্বিধা করছে না। শুরুটা বেশ ভালই হয়েছে। তবে ম্যাচে এখনও গোলশূন্য।
ম্যাচের দ্বিতীয় মিনিটেই বেঙ্গালুরুর রক্ষণের ভুলে ভাল প্রেসিং করে বল পেয়ে গিয়েছিলেন শুভ ঘোষ। তবে তড়িঘড়ি শট নিতে গিয়ে তা সোজা বেঙ্গালুুরু গোলরক্ষক লারা শর্মার হাতে মেরে বসেন লাল-হলুদ ফরোয়ার্ড।
পরিচিত লাল-হলুদ জার্সিতে বাঁ-দিক থেকে ডান দিকে আক্রমণ করছে এসসি ইস্টবেঙ্গল।
প্রথম এগারোয় জায়গা ধরে রাখলেন সুনীল ছেত্রী, মাঝমাঠে ফিরলেন দানিশ ফারুখ। এটিকে মোহনবাগান ম্যাচ থেকে তিন বদল করে মাঠে নামছে বেঙ্গালুরু এফসি।
গত ম্যাচ থেকে দলে পাঁচ বদল এনে মাঠে নামছে এসসি ইস্টবেঙ্গল। অনন্ত তামাংয়ের ডেবিউ তো বটেই, ফুল ডেবিউ করছেন শুভ ঘোষ।
প্রথম নেপালি ফুটবলার হিসাবে আইএসএলে খেলতে চলেছেন ইস্টবেঙ্গলের নতুন ফুটবলার অনন্ত তামাং।
গোটা মরশুমে মাত্র একটি ম্যাচই জিততে পেরেছে এসসি ইস্টবেঙ্গল। এর আগে কোনো দলেরই আইএসএল মরশুম এত খারাপ কাটেনি। এই ম্যাচ জিতলেও এক মরশুমে সর্বনিম্ন ম্যাচ জেতার অনিচ্ছুক রেকর্ড গড়বে লাল-হলুদ, তবে তা আরও বেশ কয়েকটি দলের সঙ্গে যুগ্মভাবে। আর যদি মারিয়ো রিভেরার দল ম্যাচ জিততে ব্যর্থ হয়, তাহলে এককভাবে এই লজ্জাজনক লিস্টের শীর্ষে এককভাবে বিরাজ করবে এসসি ইস্টবেঙ্গল। এই পরিসংখ্যান কিন্তু লাল-হলুদের জন্য বাড়তি উদ্যম জোগাতে পারে।
১৯ ম্যাচে সাতটি ম্যাচ জেতার পাশাপাশি সাতটিতে হারতেও হয়েছে সুনীল ছেত্রীদের। গত ম্যাচে এটিকে মোহনবাগানের বিরদ্ধে সুনীলকে মাঝমাঠে খেলিয়েও ২-০ পরাজয়ই মেলে। এই হারের ফলেই নক আউটে পৌঁছনোর যে সামান্য আশা ছিল, তাও শেষ হয়ে যায় বেঙ্গালুরুর। বর্তমানে তারা ২৬ পয়েন্ট নিয়ে লিগ তালিকায় ছয় নম্বরে রয়েছে।
গত পাঁচ ম্যাচে জয়হীন এসসি ইস্টবেঙ্গল, যার মধ্যে তিনটিতেই হারের মুখ দেখতে হয়েছে তাদের। ১৯ ম্যাচ খেলে মাত্র এক জয় ও আটটি ম্যাচ ড্র করে লিগ তালিকায় একেবারে শেষ স্থানে লাল-হলুদ।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।
6.88% Weekly Cashback on 2025 IPL Sports