1 মিনিটে পড়ুন Updated: 16 May 2024, 11:45 AM ISTAyan Das
আন্তর্জাতিক ফুটবল থেকে যে অবসর নিচ্ছেন, সেটা আগে পরিবারকে জানান সুনীল ছেত্রী। আর সেই খবরটা শুনে কেঁদে ফেলেন স্ত্রী সোনম। যিনি একটা সময় বলতেন যে চাপ সামলাতে হচ্ছে সুনীলকে। তারইমধ্যে সুনীল জানিয়েছেন যে ছেলে এখন তাঁর শেষের ম্যাচের গুরুত্বটা বুঝতে না পারায় কিছুটা আক্ষেপ থাকবে।
Ad
অবসর ঘোষণা করার সময় সুনীল ছেত্রী। (ছবি সৌজন্যে, এক্স @chetrisunil11)
উনিশ বছরের দীর্ঘ কেরিয়ারে সম্ভবত এমন একটিও ম্যাচ খেলেননি, যে ম্যাচে চাপ ছিল না। বরং যত দিন এগিয়েছে, তত চাপ বেড়েছে। শেষের কয়েক বছর তো ভারতীয় দলের হয়ে খেলতে নামলে অধিকাংশ সময়ই একটা লাইন লিখতেই হত, ‘সুনীল ছেত্রী ছাড়া বাকিটা কার্যত অন্ধকার।’ ফলে তাঁর উপর যে কতটা চাপ ছিল, তা সুনীল এবং তাঁর পরিবারের থেকে ভালো কেউ আর জানেন না। সেই লাগাতার চাপ নিয়ে স্ত্রী সোনমও মাঝেমাঝে বলতেন। কিন্তু সুনীল যখন অবসর নেওয়ার সিদ্ধান্তটা তাঁকে জানান, তখন সেই সোনমই কেঁদে ফেলেন বলে জানালেন ‘ক্যাপ্টেন’ সুনীল। হয়ত সুনীলও কেঁদে ফেলেছিলেন। অবসরের সিদ্ধান্তটা ঘোষণা করার সময়ও সম্ভবত চোখে জল চলে এসেছিল। তারপরও আগামী ৬ জুন যে নিজের আন্তর্জাতিক কেরিয়ারের শেষ ম্যাচটা খেলবেন, তা নিয়ে তেমন কোনও আক্ষেপ নেই বলে জানিয়েছেন সুনীল। শুধু একটাই আক্ষেপ রয়েছে গিয়েছে যে তাঁর শেষ ম্যাচটার যে গুরুত্ব, সেটা এখনই বুঝতে পারবে না ছেলে। কারণ ছেলের বয়স যে এখনও এক বছরও হয়নি। ভিডিয়ো রেকর্ডিং দেখেই বুঝতে হবে যে বাবা কী করত, বাবা কী ছিল। আর সঙ্গে থাকবে ইতিহাস। যে ইতিহাস নিশ্চিতভাবে সুনীলের ছেলেকে বলে দেবে যে তুমি ভারতীয় ক্যাপ্টেনের ছেলে। ক্যাপ্টেন্সির আর্মব্যান্ডটা না থাকলেও তোমার বাবা ‘ক্যাপ্টেন’।
অবসর ঘোষণা করার ভিডিয়োয় সুনীল বলেন, 'হ্যাঁ, হ্যাঁ (ছেলেটা যদি একটু বড় হত, আর বুঝত যে ওর বাবা মাঠে নেমে কী করছে, তাহলে ভালো হত)। আমি ওর সঙ্গে যেতাম। অন্তত নিজের শেষ ম্যাচটায় …..। আমার খুব ভালো লাগত যদি ও এখন দেখতে পেত যে ওর বাবা কী করেছে, ওর বাবা কীরকম খেলেছে। ভাগ্যবশত আগের যুগের মতো ভিডিয়ো থাকবে না, এমন নয়। এখন ভিডিয়ো থাকবে। কিন্তু হ্যাঁ, আমার খুব ভালো লাগত, যদি ও (ছেলে) মাঠে এসে ওর বাবাকে শেষবার খেলতে দেখত।'
সুনীল বলেন, ‘যখন আমি সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলি যে এটাই আমার শেষ ম্যাচ হতে চলেছে, তখন আমার পরিবারকে সেই বিষয়টা জানাই। আমার মা, আমার বাবা এবং আমার বউকে বলি। বাবা স্বাভাবিক ছিল। স্বস্তিবোধ করছিল। খুশিও ছিল। কিন্তু অদ্ভুতভাবে আমার বউ কাঁদতে শুরু করে দিয়েছিল। (সেটা দেখে) আমি বলি যে তুমি সবসময় বলতে যে এত ম্যাচ, এত চাপ। আর আমি যখন তোমায় বলছি যে এই ম্যাচটার পরে আমি আমার দেশের হয়ে আর খেলব না। ওরাও আমায় বলতে পারেনি যে কেন ওদের চোখে জল চলে এসেছিল।’
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।