ISL Kolkata Derby: কুস্তি দলের কোচ হওয়া উচিত, ডার্বি জিতে কুয়াদ্রাতকে কটাক্ষ প্রাক্তন বাগান কর্তার

চলতি আইএসএলে দাপট অব্যাহত রেখেছে মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট। মাঝে তাল কাটলেও ফের ঘুরে দাঁড়াতে সফল হয়েছে অ্যান্তোনিয় লোপেজ হাবাসের ছেলেরা। রবিবার ফিরতি ডার্বি ম্যাচে তারা বড় ব্যবধানে জেতে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ইস্টবেঙ্গল বিরুদ্ধে। ৩-১ গোলে হারিয়ে দেয় লাল-হলুদ শিবিরকে। দ্বিতীয়ার্ধে ম্যাচে ঘুরে দাঁড়ানোর আপ্রাণ চেষ্টা করলেও শেষ পর্যন্ত তা করে দেখাতে পারেনি কার্লেস কুয়াদ্রাতের ছেলেরা। বলা যায় যে ম্যাচের আসল ফলাফল প্রথমার্ধেই স্পষ্ট হয়ে যায়।ম্যাচ শেষে ফিরতি ডার্বি নিয়ে এবার মুখ খুললেন সৃঞ্জয় বসু। ম্যাচ শেষে তিনি সবুজ-মেরুন শিবিরের জয়ের প্রশংসা করেন। এরপরই তিনি ইস্টবেঙ্গলের হেড কোচ কার্লেস কুয়াদ্রাতের বিষয়ও কিছু বক্তব্য রাখেন এবং দাবি করেন যে যদি তাঁকে ভারতীয় কুস্তি দলের কোচ করানো হতো, তাহলে সোনার পদক নিশ্চিত দেশের ঝুলিতেই আসতো।রবিবার, অর্থাৎ ১০ মার্চ, যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে খেলা হয় আইএসএলের ফিরতি ডার্বি ম্যাচ। একেবারে দাপটের সঙ্গে ম্যাচ নিজেদের নামে করে নেয় সবুজ-মেরুন বাহিনী। প্রথমার্ধেই ফলাফল দাঁড়ায় ৩-০। যদিও দ্বিতীয়ার্ধে বল নিয়ন্ত্রণ বেশি থাকে ইস্টবেঙ্গলের পক্ষে। একটি গোলও করেন তারা। কিন্তু তাতেও কোনও লাভ হয়নি। কারণ তাদের চেয়ে অনেকটাই এগিয়ে ছিল মোহনবাগান। সুতরাং ৩-১ ফলাফলে স্টেডিয়াম ছাড়ে দুই দল। মুখে একরাশ হাসি নিয়ে বাড়ি ফেরে বাগান সমর্থকরা।কিন্তু ম্যাচ শেষে কার্লেস কুয়াদ্রাতের ভূমিকাকে কটাক্ষ করেন প্রাক্তন বাগান কর্তা। এই ম্যাচে রেফারির সঙ্গে খারাপ আচরণের জন্য হলুদ কার্ড দেখানো হয় ইস্টবেঙ্গল কোচকে। এক প্রসঙ্গে সৃঞ্জয় বসু বলেন, 'দেখুন কুয়াদ্রাতের প্রথম দিকের খেলা আমার যথেষ্টই ভালো লেগেছিল। কিন্তু এখন আমি এটা বলতে বাধ্য হচ্ছি যে যদি কুয়াদ্রাতকে ভারতীয় কুস্তি দলের কোচ বানানো হয়, তাহলে আমি নিশ্চিত সোনার পদক ভারতের নামেই হবে।'এছাড়া ম্যাচ প্রসঙ্গে সৃঞ্জয় বসু বলেন, 'দেখুন প্রথমত এটা আমি বলি যে অনেকদিন বাদে মোহনবাগানকে প্রাধান্য দিয়ে খেলতে দেখে আমার খুব ভালো লাগছে। প্রথমার্ধেই ওরা অনেকটা এগিয়ে গিয়েছিল। ৩-০ গোলে এগিয়ে যাওয়ার জন্য দ্বিতীয়ার্ধের প্রথম ১৫ মিনিট অনেক হালকা ভাবে নিয়েছিল। কিছুটা হলেও অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাসে ভুগছিল। তবে ইস্টবেঙ্গলের গোলের পর এবং পরিবর্তনগুলি করার পর, ওরা একেবারে দাপটের সঙ্গে খেলেছে। এটা একটা ভালো দিক অবশ্য।'