Share 
East Bengal vs Mumbai City FC Highlights: এতদিন দলটা ঠিকমতো দাঁড়ায়নি। ডুরান্ড কাপের শেষ ম্যাচে কিছুটা দাঁড়িয়ে যেতেই সূর্যোদয় হল নয়া ইস্টবেঙ্গলের। ৪-৩ গোলে হারিয়ে দিল মুম্বই সিটি এফসিকে। শুধু তাই নয়, যেভাবে আজ খেলেছে লাল-হলুদ বাহিনী, তাতে আগামিদিনে যে মশাল আরও জ্বলতে চলেছে, তা নিঃসন্দেহে বলা যায়। সেই ইমামি ইস্টবেঙ্গল এবং মুম্বই সিটি এফসি ম্যাচের হাইলাইটস দেখুন হিন্দুস্তান টাইমস বাংলার ব্লগে।
East Bengal Positive Points: শুরুটা ভালো হয়নি। তবে ডুরান্ড কাপের শেষটা দুর্দান্তভাবে করল ইমামি ইস্টবেঙ্গল। মুম্বই সিটি এফসিকে ৪-৩ গোলে হারিয়ে দিল লাল-হলুদ বাহিনী। শুধু হারানো নয়, শনিবার ইস্টবেঙ্গল যেভাবে খেলেছে, তা যদি ভবিষ্যতে ধরে রাখতে পারে, তাহলে মশাল যে আরও তীব্র হয়ে উঠবে, তা নিয়ে কোনও ধন্দ নেই। মুম্বই ম্যাচে কী কী ইতিবাচক দিক পেল ইস্টবেঙ্গল, তা দেখে নিন এখানে
প্রথম জয় নয়া ইস্টবেঙ্গলের। মুম্বই সিটি এফসিকে ৪-৩ গোলে হারিয়ে দিল লাল-হলুদ শিবির।
৯২ মিনিট: ম্যাচ জয় কার্যত নিশ্চিত। তারপরও আক্রমণে উঠছে ইস্টবেঙ্গল।
৮৭ মিনিট: মুম্বই গোলকিপার কী করছেন? গোললাইন থেকে এসে জঘন্য ফাউল। হলুদ কার্ড দেখলেন।
৮০ মিনিট: গোওওওওওওল! চতুর্থ গোল ইস্টবেঙ্গলের। নিজে মুভটা শুরু করেছিলেন। নিজেই শেষ করলেন। দ্বিতীয় গোল ক্লেইটনের। মুম্বইয়ের ডিফেন্স ভেঙে পড়ল।
৭৫ মিনিট: খানিকটা কমল খেলার গতি। তবে দ্বিতীয়ার্ধে আলেয়ান্দ্রো যা সুযোগ পেয়েছিলেন, তাতে কমপক্ষে দুটি গোল করা উচিত ছিল।
৭২ মিনিট: নির্বিষ কর্নার থেকে প্রায় গোল হয়ে যাচ্ছিল। কর্নার ধরতে হড়কে যান মুম্বই খেলোয়াড়। বল পুরোপুরি ক্লিয়ার হয়নি। তারপর গোলমুখী শট মুম্বইয়ের। শট আংশিকভাবে আটকালেন কমলজিৎ। বল গড়িয়ে গোলের দিকে যাচ্ছিল। তবে অফসাইড।
৭০ মিনিট: জোড়া পরিবর্তন ইস্টবেঙ্গলের। সুমিত পাসির পরিবর্তে নামলেন হিমাংশু জাংরা। সেইসঙ্গে সার্থক নামলেন।
৬৫ মিনিট: দুর্দান্ত লিমা। আলেয়ান্দ্রো অনেক সুযোগ পেলেও কাজে লাগাতে পারছেন না। গোলের সামনে তাঁর ফিনিশিংয়ে সমস্যা হচ্ছে। বেশিক্ষণ সময় নিয়ে ফেললেন। ততক্ষণে দুই মুম্বই খেলোয়াড় চলে এলেন। শট মারার জায়গা ছোটো হয়ে গেল। শট লক্ষ্যভ্রষ্ট হচ্ছিল। তবে ব্লক করল মুম্বই।
৬৪ মিনিট: ডান প্রান্ত থেকে ফ্রিকিক লিমার। গোলকিপারের বড্ড কাছে ছিল। নওয়াজ আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে বল ধরলেন।
দ্বিতীয়ার্ধেও ভালো ছন্দে খেলা চলছে। তবে প্রথমবারের তুলনায় ফাইনাল থার্ডে কিছুটা খামতি। তবে ইস্টবেঙ্গল বেশি গোল করার মতো সুযোগ তৈরি করেছে।
৫৮ মিনিট: পায়ের জঙ্গলের মধ্যে কর্নার থেকে প্রায় গোল করে ফেলছিল ইস্টবেঙ্গল। তবে শেষপর্যন্ত ক্লিয়ারেন্স। দ্রুতগতিতে কাউন্টারে ওঠার চেষ্টা মুম্বইয়ের বিপিনের। তবে মাঝমাঠের কাছে হাত দিয়ে বল ঠেললেন। হলুদ কার্ড দেখালেন রেফারি।
৫৭ মিনিট: বাঁ দিক থেকে ক্লেইটনের পাস। বল মাটিতে পড়ার আগেই বাঁ পায়ে শটের চেষ্টা আলেয়ান্দ্রো। তবে লক্ষ্যভ্রষ্ট। কর্নার পেল ইস্টবেঙ্গল।
৫৩ মিনিট: ডানপ্রান্ত থেকে রাকিপের ক্রস। যা বাঁ-দিকের গোলপোস্টের কিছুটা কাছ থেকে পাস। আলেয়ান্দ্রো গোলের সামনে থেকে শট নিলেন। তবে কিছুটা দুর্বল শট। ইস্টবেঙ্গলের চাপের মধ্যে নিচু হয়ে ভালোভাবে বল ধরলেন মুম্বইয়ের গোলকিপার নওয়াজ।
এবার কি জ্বলবে মশাল? ISL-এ কবে কাদের বিরুদ্ধে নামবে ইস্টবেঙ্গল, দেখুন পুরো সূচি – বিস্তারিত পড়ুন এখানে
৪৯ মিনিট: একটুর জন্য অফসাইড ইস্টবেঙ্গলের। বল ছাড়তে সামান্য দেরি। থ্রু বলে অফসাইড পজিশনে আলেয়ান্দ্রো।
৪৮ মিনিট: ৪৬ মিনিট: দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকেই আক্রমণে আসছে মুম্বই। বাঁ উইং দিয়ে আক্রমণ। ভালো ডিফেন্স ইস্টবেঙ্গলের।
শুরু দ্বিতীয়ার্ধের খেলা। ইস্টবেঙ্গল জিততে পারবে? ইস্টবেঙ্গল একটি পরিবর্তন করল। হাওকিপকে তুলে নেওয়া হল। মাঠে এলেন আলেয়ান্দ্রো।
ইস্টবেঙ্গলের ম্যাচে গোলের ফোয়ারার মধ্যে বেঙ্গালুরু এফসি ৪-০ গোলে হারাল ইন্ডিয়ান এয়ারফোর্সকে।
প্রথমার্ধের খেলা শেষ। খেলার ফল ৩-৩। মুম্বইয়ের পজেশন ৫৭ শতাংশ। ইস্টবেঙ্গলের ৪৩ শতাংশ। মুম্বইয়ের গোলে শট নয়, ইস্টবেঙ্গলের সাত। মুম্বইয়ের শট অন টার্গেট ছয়, ইস্টবেঙ্গলের পাঁচ।
৪৮ মিনিট (৪৫+৩): বাজে কর্নার। শৌভিকের কর্নার দিশাহীনভাবে উড়ে গেল।
৪৩ মিনিট: ৩-৩। ফের গোল করলেন ছাংতে। প্রথমে বাঁ প্রান্ত দিয়ে সোয়ার্ভিং শট মুম্বইয়ের। কমলজিৎ বল বাঁচালেও বিপন্মুক্ত করতে পারলেন না। বাঁদিক থেকে এসে বিপিনের পাস। বক্সের মধ্যে থেকে গোল ছাংতের।
৪১ মিনিট: আবারও জেরি। কিশোরভারতীতে মশাল জ্বালাচ্ছেন জেরি। গোলের সামনে পাস। ক্লেইটন বল রাখলেন। পিছন দিকে পাস। সুমিত পাসের ভলি মারার চেষ্টা। কোনও সংযোগ হল না।
৩৯ মিনিট: ক্রমশ চাপ বাড়াচ্ছে মুম্বই। দুর্দান্ত সুযোগ ফস্কালেন মুম্বইয়ের গুরসিমরত। একেবারে গোলের কাছ থেকে হেড। কিন্তু কোনও জোর পেলেন না।
৩৭ মিনিট: মুম্বই গোলকিপারের ভুল নিয়ে কথা বলার আগেই এক গোল মুম্বইয়ের। দ্রুত কাউন্টার অ্যাটাক। লালিয়ানজুয়ালা ছাংতের শট। কমলজিৎ বলের দিক বুঝতে পারলেন না। জালে জড়িয়ে গেল বল। ইস্টবেঙ্গল ৩-২ মুম্বই।
৩৫ মিনিট: ভয়ঙ্কর গোলকিপিং! মাঝমাঠে চাপ দিয়ে বল কেড়ে নেয় ইস্টবেঙ্গল। সুমিত পাসি ডানদিক থেকে সম্ভবত ক্রস দেওয়ার চেষ্টা করতে যান। মুম্বইয়ের গোলকিপারের ভয়ঙ্কর ভুল। সুমিত পাসির গোল। ইস্টবেঙ্গল ৩-১ গোলে এগিয়ে গেল।
৩২ মিনিট: কর্নার মুম্বইয়ের। তেমন নিখুঁত হল না। সহজে ক্লিয়ার করে দিল ইস্টবেঙ্গল রক্ষণ। বেশ পোক্ত দেখাচ্ছে ইস্টবেঙ্গল ডিফেন্সকে।
২৭ মিনিট: ক্লিনিকাল ফিনিশ। মাঝখান থেকে বল বাঁ প্রান্তে ঘুরিয়ে দিল মুম্বই। বাঁ প্রান্ত থেকে ক্রস। বুক দিয়ে বলে টোকা। বল মাটিতে পড়ার আগেই দুর্দান্ত ভলি গ্রেক স্টুয়ার্টের। ইস্টবেঙ্গল ২-১ মুম্বই।
২৪ মিনিট: দুর্দান্ত কাউন্টার অ্যাটাক ইস্টবেঙ্গলের। মুম্বইয়ের ফ্রিকিক ক্লিয়ার লাল-হলুদ ডিফেন্সের। সেখান থেকে বল পেয়ে প্রবল গতিতে এগিয়ে গেলেন ক্লেইটন। কী মারাত্মক গতি!!! ধরতেই পারছেন না মুম্বই ডিফেন্ডাররা। তবে একটুর জন্য গোলে ঢুকল না বল। কিশোরভারতী আগুন জ্বালাচ্ছে ইস্টবেঙ্গল। সেই আগুনের রং লাল-হলুদ।
২১ মিনিট: পেনাল্টি বক্সের মাথায় ফ্রিকিক। দুর্দান্ত ফ্রিকিকে গোল ক্লেইটনের।
১৮ মিনিট: রূপকথার উত্থান!! গোল করলেন সুমিত পাসি। বাঁ প্রান্ত থেকে দুর্দান্ত ক্রস জেরির। কেউ মার্ক করেননি পাসিকে। হেডারে গোল সুমিত পাসির। এটিকে মোহনবাগান ম্যাচের আত্মঘাতী গোলের পর দুর্দান্ত গোল পাসির।
১৬ মিনিট: মিডফিল্ডে মিসপাস মুম্বইয়ের। ক্লেইনটনের দুর্বল শট। সহজে ধরলেন মুম্বইয়ের গোলকিপার।
বলের দখল রেখে আক্রমণে উঠতে পছন্দ করে মুম্বই সিটি। ইস্টবেঙ্গল পালটা চাপে ফেলার চেষ্টা করছে।
৯ মিনিট: বাঁ প্রান্ত দিয়ে দুর্দান্ত প্রতি-আক্রমণ মুম্বইয়ের। গোলের সামনে থেকে পাস এল। ডিফেন্ডার বা স্ট্রাইকার কেউ বলে পা ঠেকাতে পারলেন না। বলের খেই পেলেন না ইস্টবেঙ্গলের গোলকিপারও। গোললাইনের কাছ দিয়ে বেরিয়ে গেল বল।
৬ মিনিট: ভালো থ্রু খেলে ওঠার চেষ্টা ইস্টবেঙ্গল। ফাউল গুরসিমরত গিলের। হলুদ কার্ড দেখালেন রেফারি। ফ্রি-কিক ইস্টবেঙ্গলের। তবে নির্বিষ শট শৌভিকের।
তিন মিনিট: নিজেদের অর্ধেই খেলার চেষ্টা মুম্বই সিটি এফসির। সেখান থেকে বল নিয়ে ভালো আক্রমণ ইস্টবেঙ্গল। বাঁ প্রান্ত থেকে ভালো ক্রস রাওকিপের। তবে বল ক্লিয়ার করে দিলেন বিপিন। গুরুত্বপূর্ণ ক্লিয়ারেন্স।
খেলা শুরু কিশোরভারতী স্টেডিয়ামে। কিক অফ করল মুম্বই সিটি এফসি।
ইস্টবেঙ্গলের অবশ্য নক-আউটে ওঠার কোনও সম্ভাবনা নেই। ম্যাচটা কার্যত নিয়মরক্ষার এবং দলকে আরও একটু গুছিয়ে নেওয়ার।
ডুরান্ড কাপের নিয়ম অনুযায়ী, প্রথমে দু’দলের মুখোমুখি সাক্ষাতের ফল দেখা হবে। এটিকে মোহনবাগান এবং মুম্বইয়ের ম্যাচ ১-১ ড্র হয়েছিল। সেক্ষেত্রে গোল পার্থক্য দেখা হবে। সেখানেই সবুজ-মেরুন টেক্কা দিতে পারে। যদি ইস্টবেঙ্গল ছ’গোলের কম ব্যবধানে মুম্বইয়ের বিরুদ্ধে জেতে বা ম্যাচের ফল অন্যরকম হয়, তা হলে সবুজ-মেরুনের কোনও লাভ হবে না। সেক্ষেত্রে তাদের তাকিয়ে থাকতে হবে রাজস্থান ইউনাইটেড এবং ইন্ডিয়ান নেভির ম্যাচের দিকে। রাজস্থান জিতে গেলে সাত পয়েন্ট হবে। হেড টু হেডে হেরেছিল মোহনবাগান। তাই যা পরিস্থিতি, তাতে এটিকে মোহনবাগানের নক-আউটে যাওয়ার আশা ক্ষীণ।
গ্রুপের শেষ ম্যাচে লাল-হলুদ নামছে মুম্বই সিটির বিরুদ্ধে। ওই ম্যাচে অন্তত ছ’গোলের ব্যবধানে মুম্বই সিটিকে হারাতে পারলে এটিকে মোহনবাগানের কোয়ার্টারে খেলা নিশ্চিত হয়ে যাবে। চারটি ম্যাচে মুম্বই করেছে ১০ গোল। হজম করেছে তিনটি গোল। অর্থাৎ গোল পার্থক্য সাত। ইস্টবেঙ্গলের কাছে ছ’গোল খেলে তাদের গোলের ব্যবধান দাঁড়াবে এক। অন্যদিকে এটিকে মোহনবাগানের গোলের পার্থক্য দুই। সেক্ষেত্রে দু’দলের পয়েন্ট সমান হলেও এটিকে মোহনবাগান কোয়ার্টারে যাবে। যেহেতু মুম্বইয়ের সঙ্গে ম্যাচ ড্র হয়েছিল সবুজ-মেরুনের। তবে মুম্বই প্রায় উঠেই গিয়েছে। অবিশ্বাস্য কিছু না হলে কখনওই মুম্বইকে আটকানো সম্ভব নয়।
কমলজিৎ সিং (গোলকিপার), রাকিপ, লালচুংনুঙ্গা, কারালাম্বোস কিরিয়াকু, প্রীতম সিং, সুমিত পাসি, শৌভিক চক্রবর্তী, আলেক্স লিমা, জেরি লালরিনজুয়ালা, আলেক্স লিমা, হাওকিপ এবং ক্লেইটন সিলভা (অধিনায়ক)।
আপাতত ডুরান্ড কাপের গ্রুপ বি'তে প্রথম স্থানে আছে মুম্বই সিটি এফসি (দুই ম্যাচে জয়, একটি ড্র করে সাত পয়েন্ট)। এটিকে মোহনবাগান আছে দ্বিতীয় স্থানে (দুটি জিতেছে, একটি ড্র করেছে, একটি ম্যাচে হেরেছে, পয়েন্ট সাত)। রাজস্থান ইউনাইটেড এফসি আছে তিন নম্বরে (তিন ম্যাচে এক জয়, এক ড্র এবং এক হার, পয়েন্ট চার)। চারে আছে ইস্টবেঙ্গল (একটি হার এবং দুটি ড্র, পয়েন্ট দুই)। একেবারে শেষে আছে ইন্ডিয়ান নেভি (এক ম্যাচে ড্র, দুই ম্যাচে হার, পয়েন্ট এক)।
East Bengal vs Mumbai City FC Live Score: ডুরান্ড কাপে আজ মুখোমুখি হচ্ছে ইমামি ইস্টবেঙ্গল এবং মুম্বই সিটি এফসি। যে ম্যাচ জিতে মরশুমের প্রথম জয় ছিনিয়ে নিতে মরিয়া ইস্টবেঙ্গল। ঠিক সেটাই চাইবে এটিকে মোহনবাগান। কারণ সবুজ-মেরুনকে ডুরান্ডের কোয়ার্টার ফাইনালে যেতে হলে ইস্টবেঙ্গলকে বড় ব্যবধানে জিততে হবে।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।
6,000.000+downloads/Free/Bengali/Version2.3.4
6.88% Weekly Cashback on 2025 IPL Sports
