শুক্রবার কিরণ বালিয়া শট পাটে ব্রোঞ্জ জিতে ইতিহাস লিখে ফেলেছিলেন। ৭২ বছর পর এই শট পাট ইভেন্ট থেকে দেশকে পদক এনে দিয়েছিলেন কিরণ। এবার কিরণের পথেই হাঁটছেন বাকি অ্যাথলিটরাও।
১৯তম এশিয়ান গেমসে ২৯ সেপ্টেম্বর থেকেই শুরু হয়েছে অ্যাথলেটিক্সের ইভেন্টগুলো। প্রথম দিনই কিরণ বালিয়া সাফল্য পান। আর শনিবার সেই ধারা বজায় রাখেন আরও দুই অ্যাথলিট। ভারতকে জোড়া পদক এনে দিলেন দুই লং ডিসট্যান্স রানার।
শনিবার হ্যাংঝু এশিয়ান গেমসে পুরুষদের ১০ হাজার মিটার রেস থেকেই এসেছে আরও দু'টি পদক। রুপো পেয়েছেন ভারতের কার্তিক কুমার। একই ইভেন্টে ব্রোঞ্জ পেয়েছেন ভারতের লং ডিসট্যান্স রানার গুলবীর সিং। স্বাভাবিক ভাবেই ভারতীয় অ্যাথলিটদের জন্য এটা অনুপ্রেরণার বিষয়।
এশিয়াডে পুরুষদের ১০ হাজার মিটারের ফাইনালে রেস শেষ করতে কার্তিক কুমার সময় নিয়েছেন ২৮:১৫.৩৮ সেকেন্ড। অন্যদিকে গুলবীর সিং ১০ হাজার মিটারের ফাইনাল রেস শেষ করতে সময় নেন ২৮:১৭.২১ সেকেন্ড। আর এই ইভেন্টে প্রথম হয়ে সোনা জিতেছেন বাহরিনের লং ডিসট্যান্স রানার বিরহানু ইয়েমাতাও বালেউ। এশিয়ান গেমসে পুরুষদের ১০ হাজার মিটার রেসের ফাইনাল ২৭ বছরের বিরহানু শেষ করেন ২৮:১৩.৬২ সেকেন্ডে।
রেসের পর অবশ্য সন্তুষ্ট নন কার্তিক। তিনি পদক পেলেও, নিজের লক্ষ্য পূরণ হয়নি বলে আফসোস করছিলেন। উত্তরপ্রদেশের সাহারানপুরের লং ডিসট্যান্স রানার বলেছেন, ‘আমি জানতাম যে, একটি পদক জিতবই। কিন্তু আমি ২৭.৫০ সময় নিয়ে জাতীয় রেকর্ডটা ভাঙতে চেয়েছিলাম। আমার সেটাই লক্ষ্য ছিল। কিন্তু সেটা করতে আমি পারিনি। আমি কিছুটা শুরুতে এবং মাঝে স্লো হয়ে পড়েছিলাম।’ প্রসঙ্গত, ২০০৮ সাল থেকে সুরেন্দ্র সিংয়ের নামে এই ইভেন্টে জাতীয় রেকর্ড রয়েছে। তিনি ২৮:০২.৮৯ সেকেন্ড নিয়ে জাতীয় রেকর্ড গড়েছিলেন।
কার্তিকের আগের ব্যক্তিগত সেরা সময় ছিল ২৮:৫৫.০০ সেকেন্ড, এই সময় নিয়ে তিনি গত বছর জাতীয় গেমসে ব্রোঞ্জ জিতেছিলেন। আর জুনে জাতীয় আন্তঃরাষ্ট্রীয় চ্যাম্পিয়নশিপে কার্তিক ২৯:০১.৮৪ সেকেন্ড সময় নিয়ে সোনা জিতেছিলেন।
ফিনিশিং লাইন থেকে ১০০ মিটার দূরে যখন ছিলেন কার্তিক এবং গুরবীর, সেই সময় পরপর তিন প্রতিযোগী ধাক্কা খেয়ে পড়ে যান। অবশ্য তাতে চাপে পড়েননি ভারতের দুই লং ডিসট্যান্স রানার। তাঁরা নিজেদের ব্যক্তিগত সেরা পারফরম্যান্সের মাধ্যমে দেশকে পদক এনে দেন তাঁরা।
এদিকে ৪০০ মিটার রেসের ফাইনালে ঐশ্বর্য মিশ্র মহিলাদের ইভেন্টে ৫৩.৫০ সেকেন্ড সময় নিয়ে চতুর্থ স্থানে শেষ করেন। এবং মহম্মদ আজমল ৪৫.৯৭ সেকেন্ড সময় নিয়ে পুরুষদের প্রতিযোগিতায় পঞ্চম স্থানে শেষ করেন।
১৫০০ মিটারে জিনসন জনসন এবং অজয় কুমার সরোজ তাদের নিজ নিজ সেরাটা দেন ফাইনালের জন্য যোগ্যতা অর্জন করেছেন। জিনসন এবং অজয় কুমার সময় নিয়েছেন যথাক্রমে ৩:৫৬.৯২ সেকেন্ড এবং ৩:৫১.৯৩ সেকেন্ড।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।