পুলিশের এনকাউন্টারের ভয়ে কাঁটা ছিল মাফিয়া তথা রাজনীতিবিদ আতিক আহমেদ। তার সঙ্গে সেরকম কিছু না হলেও উত্তরপ্রদেশের পুলিশের এনকাউন্টারে মৃত্যু হল ডন তথা গ্যাংস্টারের ছেলের। আতিকের ছেলে আসাদের পাশাপাশি যোগী আদিত্যনাথের পুলিশের এনকাউন্টারে মাকসুদানের ছেলে গুলামেরও মৃত্যু হয়েছে। দু'জনেই প্রয়াগরাজে আইনজীবী উমেশ পাল হত্যা মামলায় পলাতক ছিল। মাথার দাম ঘোষণা করা হয়েছিল পাঁচ লাখ টাকা।
বৃহস্পতিবার উত্তরপ্রদেশের স্পেশাল টাস্ক ফোর্সের (এসটিএফ) তরফে একটি বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, ঝাঁসিতে পুলিশের এনকাউন্টারে মৃত্যু হয়েছে আতিক এবং মাকসুদানের ছেলের। উত্তরপ্রদেশ পুলিশের টাস্ক ফোর্সের নেতৃত্বে ছিলেন ডেপুটি পুলিশ সুপাকর নবেন্দু এবং ডেপুটি পুলিশ সুপার বিমল। দু'জনের কাছেই অত্যাধুনিক বিদেশি অস্ত্র ছিল। সেগুলি উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে উত্তরপ্রদেশ পুলিশ।
সেই এনকাউন্টারের খবর ছড়িয়ে পড়তেই শোকতপ্ত উমেশের পরিবারের মুখে কিছুটা হাসি ফুটেছে। প্রয়াগরাজে উমেশের স্ত্রী জয়া বলেন, 'এত বড় কাজটা করার জন্য মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথজি'কে ধন্যবাদ জানাতে চাই। উনি যা করেছেন, খুব ভালো কাজ করেছেন। উনি নিজের মেয়ের স্বামীর হত্যাকারীদের সাজা দিয়েছেন। উনি সকলের বাবার মতো। উনি যা করেছেন, সেটা খুব ভালো কাজ করেছেন। ন্যায়বিচার করেছেন উনি।' একইসুরে উমেশের মা শান্তদেবী বলেন, ‘অনেকদিন থেকেই আমরা এনকাউন্টারের দাবি তুলছিলাম। আমরা মুখ্যমন্ত্রী যোগীজি'কে ধন্যবাদ জানাতে চাই। পুলিশকেও ধন্যবাদ জানাতে চাই। যে পুলিশ মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ পালন করেছে।’
আরও পড়ুন: Suresh Raina's Relatives' Murder Case: ফের এনকাউন্টার যোগী রাজ্যে, মৃত্যু সুরেশ রায়নার আত্মীয়র খুনে অভিযুক্ত দুষ্কৃতীর
উমেশ পাল কে ছিলেন?
২০০৫ সালের বিএসপির বিধায়ক রাজু পালের খুনের ঘটনার অন্যতম প্রত্যক্ষদর্শী ছিলেন উমেশ। চলতি বছর ২৪ ফেব্রুয়ারিতে প্রয়াগরাজে ধুমানগঞ্জের বাড়ির বাইরে উমেশ এবং তাঁর নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা দুই পুলিশকর্মীকে খুন করা হয়। উমেশের স্ত্রী'র অভিযোগের ভিত্তিতে আতিকদের বিরুদ্ধে এফআইআর রুজু করা হয়। আতিককে গ্রেফতার করে পুলিশ।
আজ আসাদ ও গুলামকে এনকাউন্টার মধ্যেই আতিক এবং তার ভাইকে প্রয়াগরাজের নগর দায়রা আদালতে পেশ করেছে পুলিশ। গুজরাটের সবরমতী জেল থেকে সড়কপথে আতিককে প্রয়াগরাজে নিয়ে আসা হয়। সেইসময় এনকাউন্টারের আশঙ্কা প্রকাশ করেছিল আতিক। যে আতিক ২০০৫ সালে বিএসপি বিধায়কের খুনের ঘটনায় অন্যতম অভিযুক্ত।
(এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক )