আমেরিকা আফগান মাটি ছাড়তেই ফের আফগান মাটিতে বাড়বাড়ন্ত বেড়েছে জঙ্গি সংগঠনগুলির। আফগানিস্তানের ক্ষমতায় আবার রয়েছে কট্টরপন্থী সশস্ত্র গোষ্ঠী তালিবান। এই আবহে কাবুলের উত্তরে অবস্থিত বাগরাম বিমানঘাঁটি নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিতে পারে তালিবান। জানা গিয়েছে, জঙ্গি দমনের লক্ষ্যে বাগরামকে অন্য কোনও দেশের হাতে তুলে দেওয়া যায় কি না, তা নিয়ে পর্যালোচনা করতে আজ বৈঠকে বসতে পারে তালিবান মন্ত্রিসভা। সেই ক্ষেত্রে আমেরিকা বা চিনের হাতে এই বিমানঘাঁটি তুলে দেওয়ার সম্ভাবনা প্রবল।
গত ৫ জুলাই বাগরাম বিমানঘাঁটি ছেড়ে চলে গিয়েছিল আমেরিকা। এদিকে তালিবান সরকারে ক্ষমতা দখলের শীতল লড়াই চলছে। একদিকে প্রতিরক্ষামন্ত্রী মোল্লা ইয়াকুব, অপরদিকে পাকিস্তানের আইএসআই সমর্থিত স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবং জঙ্গি নেতা হিসেবে পরিচিত সিরাজউদ্দিন হাক্কানি। এঁদের রেষেরাষিতে তালিবান শাসন ব্যবস্থায় সম্পূর্ণ বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়েছে।
বর্তমানে আমেরিকা আল-কায়েদা, হাক্কানি নেটওয়ার্ক নিয়ে চিন্তিত। হক্কানি নেটওয়ার্ক আবার তালিবান সরকারের গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এরই মাঝে উদয় হয়েছে জঙ্গি গোষ্ঠী ইসলামিক স্টেট-খোরাসান। এদিকে আফগান-পাক সীমান্তে থাকা তিন জঙ্গি গোষ্ঠী নিয়ে চিন্তিত চিনও। এদিকে জইশ-ই-মহম্মদ, লস্কর-ই-তৈবার মতো জঙ্গি সংগঠনগুলি আফগানিস্তানকে লঞ্চপ্যাড হিসেবে ব্যবহার করে ভারতের উপর হামলা চালানোর পরিকল্পনা করছে। আফগানিস্তানে থাকা জঙ্গি সংগঠন নিয়ে চিন্তায় রয়েছে মধ্য এশিয়ার দেশগুলিও। তবে অন্তর্দ্বন্দ্বে জর্জরিত তালিবান সরকার কতটা এই জঙ্গি সংগঠনগুলিকে দমন করতে পারবে, তা নিয়ে সংশয় সবার।
এই পরিস্থিতিতে আন্তর্জাতিক কোনও তৃতীয় শক্তির হাতে বাগরাম বিমানঘাঁটি হস্তান্তরের কথা ভাবছে তালিবান। এদিকে পাকিস্তান চাইছে যাতে বাগরামকে চিনের হাতে তুলে দেওয়া হয়। তবে তালিবানের মধ্যে একাংশ চিন বিরোধী। তাই তারা ফের বাগরামকে আমেরিকার হাতেই তুলে দিতে আগ্রহী।